আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
২২- ওমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৪ টি
হাদীস নং: ১৬৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯১ - ১৭৯২
১১২২. উমরা আদায়কারী কখন হালাল হবে।
আতা (রাহঃ) সূত্রে জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) তাঁর সাহাবীগণকে তাদের হজ্জকে উমরায় রূপান্তরিত করার পর তাওয়াফ করে চুল ছেঁটে হালাল হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আতা (রাহঃ) সূত্রে জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) তাঁর সাহাবীগণকে তাদের হজ্জকে উমরায় রূপান্তরিত করার পর তাওয়াফ করে চুল ছেঁটে হালাল হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
১৬৭৬। ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আওফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উমরা করলেন, আমরাও তাঁর সঙ্গে উমরা করলাম। তিনি মক্কা প্রবেশ করে তাওয়াফ করলেন, আমরাও তাঁর সঙ্গে তাওয়াফ করলাম। এরপর তিনি সাফা-মারওয়ায় সা’ঈ করলেন, আমরাও তাঁর সঙ্গে সা’ঈ করলাম। আর আমরা তাঁকে মক্কাবাসীদের থেকে লুকিয়ে রাখছিলাম যাতে কোন মুশরিক তাঁর প্রতি কোন কিছু নিক্ষেপ করতে না পারে।
বর্ণনাকারী বলেন, আমার এক সাথী তাঁকে বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি কাবা শরীফে প্রবেশ করেছিলেন? তিনি বললেন, না।
প্রশ্নকারী তাঁকে বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খাদীজা (রাযিঃ) সম্বন্ধে কি বলেছেন? তিনি বললেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ খাদীজাকে বেহেশতের মাঝে মোতি দিয়ে নির্মিত এমন একটি ঘরের সুসংবাদ দাও যেখানে কোন শোরগোল থাকবে না এবং কোন প্রকার কষ্ট ক্লেশও থাকবে না।
বর্ণনাকারী বলেন, আমার এক সাথী তাঁকে বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি কাবা শরীফে প্রবেশ করেছিলেন? তিনি বললেন, না।
প্রশ্নকারী তাঁকে বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খাদীজা (রাযিঃ) সম্বন্ধে কি বলেছেন? তিনি বললেন, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ খাদীজাকে বেহেশতের মাঝে মোতি দিয়ে নির্মিত এমন একটি ঘরের সুসংবাদ দাও যেখানে কোন শোরগোল থাকবে না এবং কোন প্রকার কষ্ট ক্লেশও থাকবে না।
باب مَتَى يَحِلُّ الْمُعْتَمِرُ وَقَالَ عَطَاءٌ عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَجْعَلُوهَا عُمْرَةً وَيَطُوفُوا ثُمَّ يُقَصِّرُوا وَيَحِلُّوا
1791 - حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ جَرِيرٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، قَالَ: «اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاعْتَمَرْنَا مَعَهُ، فَلَمَّا دَخَلَ مَكَّةَ طَافَ وَطُفْنَا مَعَهُ، وَأَتَى الصَّفَا وَالمَرْوَةَ وَأَتَيْنَاهَا مَعَهُ» وَكُنَّا نَسْتُرُهُ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ أَنْ يَرْمِيَهُ أَحَدٌ، فَقَالَ لَهُ صَاحِبٌ لِي: أَكَانَ دَخَلَ الكَعْبَةَ؟ . قَالَ: لاَ
1792 - قَالَ: فَحَدِّثْنَا مَا قَالَ لِخَدِيجَةَ؟ قَالَ: «بَشِّرُوا خَدِيجَةَ بِبَيْتٍ مِنَ الجَنَّةِ مِنْ قَصَبٍ، لاَ صَخَبَ فِيهِ، وَلاَ نَصَبَ»
1792 - قَالَ: فَحَدِّثْنَا مَا قَالَ لِخَدِيجَةَ؟ قَالَ: «بَشِّرُوا خَدِيجَةَ بِبَيْتٍ مِنَ الجَنَّةِ مِنْ قَصَبٍ، لاَ صَخَبَ فِيهِ، وَلاَ نَصَبَ»
হাদীস নং: ১৬৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯৩ - ১৭৯৪
১১২২. উমরা আদায়কারী কখন হালাল হবে।
১৬৭৭। হুমায়দী (রাহঃ) ......... আমর ইবনে দীনার (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমরার মাঝে বায়তুল্লাহর তাওয়াফের পর সাফা-মারওয়ার তাওয়াফ না করে যে স্ত্রীর নিকট গমন করে, এমন ব্যক্তি সম্পর্কে আমরা ইবনে উমর (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বললেন, নবী (ﷺ) (মক্কায়) এসে বায়তুল্লাহ সাতবার তাওয়াফ করে মাকামে ইবরাহীমের পাশে দু’রাক’আত নামায আদায় করেছেন। এরপর সাতবার সাফা-মারওয়ার মাঝে সা’ঈ করেছেন। আর তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ তো রয়েছে আল্লাহর রাসূলের মাঝেই।
(রাবী) আমর ইবনে দীনার (রাহঃ) বলেন, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-কেও আমরা জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বলেছেন, সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ না করা পর্যন্ত কেউ তার স্ত্রীর নিকট অবশ্যই যাবে না।
(রাবী) আমর ইবনে দীনার (রাহঃ) বলেন, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-কেও আমরা জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বলেছেন, সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ না করা পর্যন্ত কেউ তার স্ত্রীর নিকট অবশ্যই যাবে না।
باب مَتَى يَحِلُّ الْمُعْتَمِرُ
1793 - حَدَّثَنَا الحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، قَالَ: سَأَلْنَا ابْنَ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، عَنْ رَجُلٍ طَافَ بِالْبَيْتِ فِي عُمْرَةٍ، وَلَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالمَرْوَةِ أَيَأْتِي امْرَأَتَهُ؟ فَقَالَ: " قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَطَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا، وَصَلَّى خَلْفَ المَقَامِ رَكْعَتَيْنِ، وَطَافَ بَيْنَ الصَّفَا وَالمَرْوَةِ سَبْعًا وَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ،
1794 - قَالَ: وَسَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَقَالَ: «لاَ يَقْرَبَنَّهَا حَتَّى يَطُوفَ بَيْنَ الصَّفَا وَالمَرْوَةِ»
1794 - قَالَ: وَسَأَلْنَا جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَقَالَ: «لاَ يَقْرَبَنَّهَا حَتَّى يَطُوفَ بَيْنَ الصَّفَا وَالمَرْوَةِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৬৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯৫
১১২২. উমরা আদায়কারী কখন হালাল হবে।
১৬৭৮। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... আবু মুসা আশ’আরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) মক্কার বাতহায় অবতরণ করলে আমি তাঁর নিকট গেলাম। তিনি বললেনঃ তুমি কি হজ্জ করেছ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তুমি কিসের ইহরাম বেঁধেছিলে? আমি বললাম, নবী (ﷺ) এর ইহরামের মত আমিও ইহরামের তালবিয়া পাঠ করেছি। তিনি বললেনঃ ভাল করেছ। এখন বায়তুল্লাহ এবং সাফা-মারওয়ার সা’ঈ করে হালাল হয়ে যাও। তারপর আমি বায়তুল্লাহ এবং সাফা-মারওয়ার সা’য়ী করে কায়স গোত্রের এক মহিলার কাছে গেলাম। সে আমার মাথার উকুন বেছে দিল। এরপর আমি হজ্জের ইহরাম বাঁধলাম এবং উমর (রাযিঃ)-এর খিলাফত পর্যন্ত আমি এভাবেই ফতোয়া দিতে থাকি। উমর (রাযিঃ) বললেন, যদি আমরা আল্লাহর কিতাব গ্রহণ করি তা তো আমাদের পূর্ণ করার নির্দেশ দেয়। আর যদি আমরা নবী (ﷺ) এর বাণী গ্রহণ করি তাহলে নবী (ﷺ) কুরবানীর জানোয়ার তার স্থানে পৌছার পূর্ব পর্যন্ত হালাল হননি।
باب مَتَى يَحِلُّ الْمُعْتَمِرُ
1795 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَيْسِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ طَارِقِ بْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَدِمْتُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْبَطْحَاءِ وَهُوَ مُنِيخٌ فَقَالَ: «أَحَجَجْتَ؟» قُلْتُ: نَعَمْ، قَالَ: «بِمَا أَهْلَلْتَ» قُلْتُ: لَبَّيْكَ بِإِهْلاَلٍ كَإِهْلاَلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «أَحْسَنْتَ، طُفْ بِالْبَيْتِ، وَبِالصَّفَا وَالمَرْوَةِ، ثُمَّ أَحِلَّ» فَطُفْتُ بِالْبَيْتِ [ص:7] وَبِالصَّفَا وَالمَرْوَةِ، ثُمَّ أَتَيْتُ امْرَأَةً مِنْ قَيْسٍ فَفَلَتْ رَأْسِي، ثُمَّ أَهْلَلْتُ بِالحَجِّ، فَكُنْتُ أُفْتِي بِهِ، حَتَّى كَانَ فِي خِلاَفَةِ عُمَرَ فَقَالَ: إِنْ أَخَذْنَا بِكِتَابِ اللَّهِ فَإِنَّهُ يَأْمُرُنَا بِالتَّمَامِ، وَإِنْ أَخَذْنَا بِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنَّهُ لَمْ يَحِلَّ حَتَّى يَبْلُغَ الهَدْيُ مَحِلَّهُ

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৬৭৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯৬
১১২২. উমরা আদায়কারী কখন হালাল হবে।
১৬৭৯। আহমদ (রাহঃ) ......... আবুল আসওয়াদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু বকর (রাযিঃ) এর কন্যা আসমা (রাযিঃ) এর আযাদকৃত গোলাম আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) তাঁর নিকট বর্ণনা করেছেন, যখনই আসমা (রাযিঃ) হাজ্জূন এলাকা দিয়ে গমন করতেন তখনই তাঁকে বলতে শুনেছেন صَلَّى اللَّهُ عَلَى رسوله আল্লাহ তাঁর রাসূলের প্রতি রহমত নাযিল করুন, এ স্থানে আমরা নবী (ﷺ) এর সঙ্গে অবতরণ করেছিলাম। তখন আমাদের বোঝা ছিল খুব অল্প, যানবাহন ছিল একেবারে নগণ্য এবং সম্বল ছিল খুবই কম। আমি, আমার বোন আয়িশা (রাযিঃ), যুবাইর (রাযিঃ) এবং অমুক অমুক উমরা আদায় করলাম। তারপর বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করে আমরা সকলেই হালাল হয়ে গেলাম এবং সন্ধ্যাকালে হজ্জের ইহরাম বাঁধলাম।
باب مَتَى يَحِلُّ الْمُعْتَمِرُ
1796 - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنَا عَمْرٌو، عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، مَوْلَى أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ كَانَ يَسْمَعُ أَسْمَاءَ تَقُولُ: «كُلَّمَا مَرَّتْ بِالحَجُونِ صَلَّى اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مُحَمَّدٍ لَقَدْ نَزَلْنَا مَعَهُ هَا هُنَا، وَنَحْنُ يَوْمَئِذٍ خِفَافٌ قَلِيلٌ، ظَهْرُنَا قَلِيلَةٌ أَزْوَادُنَا، فَاعْتَمَرْتُ أَنَا وَأُخْتِي عَائِشَةُ، وَالزُّبَيْرُ، وَفُلاَنٌ وَفُلاَنٌ، فَلَمَّا مَسَحْنَا البَيْتَ أَحْلَلْنَا ثُمَّ أَهْلَلْنَا مِنَ العَشِيِّ بِالحَجِّ»

তাহকীক: