আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
২২- ওমরার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২ টি
হাদীস নং: ১৬৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৮৯
১১২১. হজ্জে যে কাজ করা হয় উমরাতেও তাই করবে
১৬৭৪। আবু নু’আইম (রাহঃ) ......... ইয়ালা ইবনে উমাইয়া (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জি'রানাতে ছিলেন। এ সময় জুব্বা পরিহিত এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট এসে বললেন, আপনি উমরাতে আমাকে কি কাজ করার নির্দেশ দেন? লোকটির জুব্বাতে খালূক বা হলুদ রংের দাগ ছিল। এ সময় আল্লাহ তাআলা নবী (ﷺ) এর উপর ওহী নাযিল করলেন। নবী (ﷺ) কে কাপড় দিয়ে আচ্ছাদিত করে দেওয়া হল। বর্ণনাকারী বলেন, আমি উমর (রাযিঃ) কে বললাম, আল্লাহ তাঁর নবী (ﷺ) এর প্রতি ওহী নাযিল করছেন, এমতাবস্থায় আমি নবী (ﷺ) কে দেখতে চাই।
উমর (রাযিঃ) বললেন, এসো, আল্লাহ নবী (ﷺ) এর প্রতি ওহী নাযিল করছেন, এমতাবস্থায় তুমি কি তাঁকে দেখতে আগ্রহী? আমি বললাম, হ্যাঁ। তারপর উমর (রাযিঃ) কাপড়ের একটি কোণ উঁচু করে ধরলেন। আমি তাঁর দিকে নজর করলাম। নবী (ﷺ) আওয়াজ করছেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয়, তিনি বলছিলেন, উটের আওয়াজের মত আওয়াজ। এ অবস্থা নবী (ﷺ) থেকে দূরীভূত হলে তিনি বললেনঃ উমরা সম্পর্কে প্রশ্নকারী কোথায়? তিনি বললেনঃ তুমি তোমার থেকে জুব্বাটি খুলে ফেল, খালূকের চিহ্ন ধুয়ে ফেল এবং হলুদ রং পরিষ্কার করে নাও। আর তোমার হজ্জে যা করেছ উমরাতে তুমি তাই করবে।
উমর (রাযিঃ) বললেন, এসো, আল্লাহ নবী (ﷺ) এর প্রতি ওহী নাযিল করছেন, এমতাবস্থায় তুমি কি তাঁকে দেখতে আগ্রহী? আমি বললাম, হ্যাঁ। তারপর উমর (রাযিঃ) কাপড়ের একটি কোণ উঁচু করে ধরলেন। আমি তাঁর দিকে নজর করলাম। নবী (ﷺ) আওয়াজ করছেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমার মনে হয়, তিনি বলছিলেন, উটের আওয়াজের মত আওয়াজ। এ অবস্থা নবী (ﷺ) থেকে দূরীভূত হলে তিনি বললেনঃ উমরা সম্পর্কে প্রশ্নকারী কোথায়? তিনি বললেনঃ তুমি তোমার থেকে জুব্বাটি খুলে ফেল, খালূকের চিহ্ন ধুয়ে ফেল এবং হলুদ রং পরিষ্কার করে নাও। আর তোমার হজ্জে যা করেছ উমরাতে তুমি তাই করবে।
باب يَفْعَلُ فِي الْعُمْرَةِ مَا يَفْعَلُ فِي الْحَجِّ
1789 - حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا عَطَاءٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي صَفْوَانُ بْنُ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ - يَعْنِي -، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ بِالْجِعْرَانَةِ، وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ وَعَلَيْهِ أَثَرُ الخَلُوقِ - أَوْ قَالَ: صُفْرَةٌ -، فَقَالَ: كَيْفَ تَأْمُرُنِي أَنْ أَصْنَعَ فِي عُمْرَتِي؟ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسُتِرَ بِثَوْبٍ، وَوَدِدْتُ أَنِّي قَدْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَدْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ الوَحْيُ، فَقَالَ عُمَرُ: تَعَالَ أَيَسُرُّكَ أَنْ تَنْظُرَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَقَدْ أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ الوَحْيَ؟ قُلْتُ: نَعَمْ، فَرَفَعَ طَرَفَ الثَّوْبِ، فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ [ص:6] لَهُ غَطِيطٌ، - وَأَحْسِبُهُ قَالَ: كَغَطِيطِ البَكْرِ - فَلَمَّا سُرِّيَ عَنْهُ قَالَ: «أَيْنَ السَّائِلُ عَنِ العُمْرَةِ اخْلَعْ عَنْكَ الجُبَّةَ، وَاغْسِلْ أَثَرَ الخَلُوقِ عَنْكَ، وَأَنْقِ الصُّفْرَةَ، وَاصْنَعْ فِي عُمْرَتِكَ كَمَا تَصْنَعُ فِي حَجِّكَ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী:
হাদীস নং: ১৬৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৯০
১১২১. হজ্জে যে কাজ করা হয় উমরাতেও তাই করবে
১৬৭৫। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) ......... উরওয়া (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বাল্যকালে একবার নবী (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়িশা (রাযিঃ) কে বললাম, আল্লাহর বাণীঃ সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। সুতরাং যে কাবাগৃহের হজ্জ কিংবা উমরা সম্পন্ন করে এ দু’টির মধ্যে সা’ঈ করে, তার কোন পাপ নেই। (২ঃ ১৫৮) তাই সাফা-মারওয়ার সা’ঈ না করা আমি কারো পক্ষে অপরাধ মনে করি না।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, বিষয়টি এমন নয়। কেননা, তুমি যেমন বলছ, ব্যাপারটি তেমন হলে আয়াতটি অবশ্যই এমন হতঃ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا অর্থাৎ এ দু’টির মাঝে তাওয়াফ না করলে কোন পাপ নেই। এ আয়াত তো আনসারদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। কেননা তারা মানাতের জন্য ইহরাম বাঁধত। আর মানাত কুদায়দের সামনে ছিল। তাই আনসাররা সাফা-মারওয়া তাওয়াফ করতে দ্বিধাবোধ করত।
এরপর ইসলামের আবির্ভাবের পর তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেনঃ ‘সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। সুতারাং যে কাবাগৃহের হজ্জ কিংবা উমরা সম্পন্ন করে এ দু’টির মধ্যে সা’ঈ করে, তার কোন পাপ নেই।
সুফিয়ান ও আবু মুআবিয়া (রাহঃ) হিশাম (রাহঃ) থেকে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সাফা-মারওয়ার তাওয়াফ না করলে আল্লাহ কারো হজ্জ এবং উমরাকে পূর্ণাঙ্গ গণ্য করেন না।
আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, বিষয়টি এমন নয়। কেননা, তুমি যেমন বলছ, ব্যাপারটি তেমন হলে আয়াতটি অবশ্যই এমন হতঃ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا অর্থাৎ এ দু’টির মাঝে তাওয়াফ না করলে কোন পাপ নেই। এ আয়াত তো আনসারদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। কেননা তারা মানাতের জন্য ইহরাম বাঁধত। আর মানাত কুদায়দের সামনে ছিল। তাই আনসাররা সাফা-মারওয়া তাওয়াফ করতে দ্বিধাবোধ করত।
এরপর ইসলামের আবির্ভাবের পর তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে আল্লাহ তাআলা নাযিল করলেনঃ ‘সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। সুতারাং যে কাবাগৃহের হজ্জ কিংবা উমরা সম্পন্ন করে এ দু’টির মধ্যে সা’ঈ করে, তার কোন পাপ নেই।
সুফিয়ান ও আবু মুআবিয়া (রাহঃ) হিশাম (রাহঃ) থেকে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ সাফা-মারওয়ার তাওয়াফ না করলে আল্লাহ কারো হজ্জ এবং উমরাকে পূর্ণাঙ্গ গণ্য করেন না।
باب يَفْعَلُ فِي الْعُمْرَةِ مَا يَفْعَلُ فِي الْحَجِّ
1790 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ قَالَ: قُلْتُ لِعَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا - زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَنَا يَوْمَئِذٍ حَدِيثُ السِّنِّ -: أَرَأَيْتِ قَوْلَ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى {إِنَّ الصَّفَا وَالمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ} [البقرة: 158] اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ البَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا، فَلاَ أُرَى عَلَى أَحَدٍ شَيْئًا أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا، فَقَالَتْ عَائِشَةُ: " كَلَّا، لَوْ كَانَتْ كَمَا تَقُولُ: كَانَتْ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا، إِنَّمَا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِي الأَنْصَارِ كَانُوا يُهِلُّونَ لِمَنَاةَ، وَكَانَتْ مَنَاةُ حَذْوَ قُدَيْدٍ، وَكَانُوا يَتَحَرَّجُونَ أَنْ يَطُوفُوا بَيْنَ الصَّفَا وَالمَرْوَةِ، فَلَمَّا جَاءَ الإِسْلاَمُ سَأَلُوا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَلِكَ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ": {إِنَّ الصَّفَا وَالمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ البَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا} [البقرة: 158] ، زَادَ سُفْيَانُ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ هِشَامٍ: «مَا أَتَمَّ اللَّهُ حَجَّ امْرِئٍ، وَلاَ عُمْرَتَهُ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالمَرْوَةِ»

তাহকীক: