আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
২৪- রোযার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৩ টি
হাদীস নং: ১৮৬৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৯৩
১২৪৯. কুরবানীর দিন রোযা পালন।
১৮৬৯। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, দু’ (দিনের) রোযা ও দু’ (প্রকারের) ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করা হয়েছে, ঈদুল ফিতর ও কুরবানীর (দিনের) রোযা এবং মুলামাসা ও মুনাবাযা* (পদ্ধতিতে ক্রয়- বিক্রয়) হতে।
*জাহিলীয়্যা যুগে প্রচলিত প্রতারণামূলক দু’ প্রকার ক্রয়-বিক্রয়। এতে বিক্রেতা অথবা ক্রেতার স্বাধীন মত প্রকাশের অবকাশ মিলতো না। পর্দার অন্তরাল থেকে না দেখে স্পর্শ করার মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় সাব্যস্ত করাকে মুলামাসা এবং কাপড় বা কংকর ছুঁড়ে মেরে ক্রয়-বিক্রয় সাব্যস্ত করাকে মুনাবাযা বলা হয়। - (বুখারী শরীফ, ১ম খ-, পৃ. ২৬৭, টীকা নং ৬, আসাহহুল মাতাবি', দিল্লী)।
*জাহিলীয়্যা যুগে প্রচলিত প্রতারণামূলক দু’ প্রকার ক্রয়-বিক্রয়। এতে বিক্রেতা অথবা ক্রেতার স্বাধীন মত প্রকাশের অবকাশ মিলতো না। পর্দার অন্তরাল থেকে না দেখে স্পর্শ করার মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় সাব্যস্ত করাকে মুলামাসা এবং কাপড় বা কংকর ছুঁড়ে মেরে ক্রয়-বিক্রয় সাব্যস্ত করাকে মুনাবাযা বলা হয়। - (বুখারী শরীফ, ১ম খ-, পৃ. ২৬৭, টীকা নং ৬, আসাহহুল মাতাবি', দিল্লী)।
باب الصَّوْمِ يَوْمَ النَّحْرِ
1993 - حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ مِينَا، قَالَ: سَمِعْتُهُ يُحَدِّثُ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: " يُنْهَى عَنْ صِيَامَيْنِ، وَبَيْعَتَيْنِ: الفِطْرِ وَالنَّحْرِ، وَالمُلاَمَسَةِ وَالمُنَابَذَةِ "

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৭০
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৯৪
১২৪৯. কুরবানীর দিন রোযা পালন।
১৮৭০। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রাহঃ) ......... যিয়াদ ইবনে জুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি এসে (আব্দুল্লাহ) ইবনে উমর (রাযিঃ) কে বলল যে, এক ব্যক্তি কোন এক দিনের রোযা পালন করার মান্নত করেছে, আমার মনে হয় সে সোমবারের কথা বলেছিল। ঘটনাক্রমে ঐ দিন ঈদের দিন পড়ে যায়। ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহ তাআলা মান্নত পুরা করার নির্দেশ দিয়েছেন আর নবী (ﷺ) এই (ঈদের) দিনে রোযা পালন করতে নিষেধ করেছেন।*
* ঈদের পরে কোন একদিন কাযা করে নিবে বলে ফতওয়া দেওয়া হয়েছে ।
* ঈদের পরে কোন একদিন কাযা করে নিবে বলে ফতওয়া দেওয়া হয়েছে ।
باب الصَّوْمِ يَوْمَ النَّحْرِ
1994 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَقَالَ: رَجُلٌ نَذَرَ أَنْ يَصُومَ يَوْمًا، - قَالَ: أَظُنُّهُ قَالَ: الِاثْنَيْنِ -، فَوَافَقَ ذَلِكَ يَوْمَ عِيدٍ، فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ: «أَمَرَ اللَّهُ بِوَفَاءِ النَّذْرِ وَنَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَوْمِ هَذَا اليَوْمِ»

তাহকীক:
হাদীস নং: ১৮৭১
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৯৫
১২৪৯. কুরবানীর দিন রোযা পালন।
১৮৭১। হাজ্জাজ ইবনে মিনহাল (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, যিনি নবী (ﷺ) এর সঙ্গে বারটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) থেকে চারটি কথা শুনেছি, যা আমার খুব ভাল লেগেছে। তিনি বলেছেন, স্বামী অথবা মাহরাম (যার সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ) পুরুষ ছাড়া কোন নারী যেন দুই দিনের দূরত্বের সফর না করে। ঈদুল ফিতর ও কুরবানীর দিনে রোযা নেই। ফজরের নামাযের পরে সূর্যোদয় এবং আসরের নামাযের পরে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোন নামায নেই। মসজিদে হারাম, মসজিদে আকসা ও আমার এই মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদের উদ্দেশ্যে কেউ যেন সফর না করে।
باب الصَّوْمِ يَوْمَ النَّحْرِ
1995 - حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ المَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، قَالَ: سَمِعْتُ قَزَعَةَ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا سَعِيدٍ الخُدْرِيَّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: - وَكَانَ غَزَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ غَزْوَةً - قَالَ: سَمِعْتُ أَرْبَعًا مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَعْجَبْنَنِي، قَالَ: " لاَ تُسَافِرِ المَرْأَةُ مَسِيرَةَ يَوْمَيْنِ إِلَّا وَمَعَهَا زَوْجُهَا أَوْ ذُو مَحْرَمٍ، وَلاَ صَوْمَ فِي يَوْمَيْنِ: الفِطْرِ وَالأَضْحَى، وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَ الصُّبْحِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، وَلاَ بَعْدَ العَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ، وَلاَ تُشَدُّ الرِّحَالُ إِلَّا إِلَى ثَلاَثَةِ مَسَاجِدَ: مَسْجِدِ الحَرَامِ، وَمَسْجِدِ الأَقْصَى، وَمَسْجِدِي هَذَا "

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: