আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
২০- যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ১৩৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৮৩
৯৩৭. বৃষ্টির পানি ও প্রবাহিত পানি দ্বারা সিক্ত ভূমির উৎপাদিত ফসলের উপর উশর।
উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) মধুর ওপর (উশর) ওয়াজিব মনে করেননি।
উমর ইবনে আব্দুল আযীয (রাহঃ) মধুর ওপর (উশর) ওয়াজিব মনে করেননি।
১৩৯৬। সা‘ঈদ ইবনে আবু মারয়াম (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ বৃষ্টি ও প্রবাহিত পানি দ্বারা সিক্ত ভূমিতে উৎপাদিত ফসল বা সেচ ছাড়া উর্বরতার ফলে উৎপন্ন ফসলের উপর উশর ওয়াজিব হয়। আর সেচ দ্বারা উৎপাদিত ফসলের উপর অর্ধ উশর।
ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি প্রথম হাদীসের ব্যাখ্যাস্বরূপ। কেননা প্রথম হাদীস অর্থাৎ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে উশর বা অর্ধ উশরের ক্ষেত্র নির্দিষ্টরূপে বর্ণিত হয়নি। আর এই হাদীসে তার নির্দিষ্ট ক্ষেত্র বর্ণিত হয়েছে। রাবী নির্ভরযোগ্য হলে তাঁর বর্ণনায় অন্য সূত্রের বর্ণনা অপেক্ষা বর্ধিত অংশ থাকলে গ্রহণযোগ্য হয় এবং এ ধরনের বিস্তারিত বর্ণনা অস্পষ্ট বর্ণনার ফয়সালাকারী হয়। যেমন, উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) কাবাগৃহে নামায আদায় করেন নি। বিলাল (রাযিঃ) বলেন, নামায আদায় করেছেন। এক্ষেত্রে বিলাল (রাযিঃ) এর বর্ণনা গৃহীত হয়েছে আর ফযল (রাযিঃ) এর বর্ণনা গৃহীত হয়নি।
ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি প্রথম হাদীসের ব্যাখ্যাস্বরূপ। কেননা প্রথম হাদীস অর্থাৎ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে উশর বা অর্ধ উশরের ক্ষেত্র নির্দিষ্টরূপে বর্ণিত হয়নি। আর এই হাদীসে তার নির্দিষ্ট ক্ষেত্র বর্ণিত হয়েছে। রাবী নির্ভরযোগ্য হলে তাঁর বর্ণনায় অন্য সূত্রের বর্ণনা অপেক্ষা বর্ধিত অংশ থাকলে গ্রহণযোগ্য হয় এবং এ ধরনের বিস্তারিত বর্ণনা অস্পষ্ট বর্ণনার ফয়সালাকারী হয়। যেমন, উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ফযল ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী (ﷺ) কাবাগৃহে নামায আদায় করেন নি। বিলাল (রাযিঃ) বলেন, নামায আদায় করেছেন। এক্ষেত্রে বিলাল (রাযিঃ) এর বর্ণনা গৃহীত হয়েছে আর ফযল (রাযিঃ) এর বর্ণনা গৃহীত হয়নি।
باب الْعُشْرِ فِيمَا يُسْقَى مِنْ مَاءِ السَّمَاءِ وَبِالْمَاءِ الْجَارِي وَلَمْ يَرَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ فِي الْعَسَلِ شَيْئًا
1483 - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «فِيمَا سَقَتِ السَّمَاءُ وَالعُيُونُ أَوْ كَانَ عَثَرِيًّا العُشْرُ، وَمَا سُقِيَ بِالنَّضْحِ نِصْفُ العُشْرِ» قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: «هَذَا تَفْسِيرُ الأَوَّلِ، لِأَنَّهُ لَمْ يُوَقِّتْ فِي الأَوَّلِ يَعْنِي حَدِيثَ ابْنِ عُمَرَ، وَفِيمَا سَقَتِ السَّمَاءُ العُشْرُ، وَبَيَّنَ فِي هَذَا، وَوَقَّتَ وَالزِّيَادَةُ مَقْبُولَةٌ، وَالمُفَسَّرُ يَقْضِي عَلَى المُبْهَمِ، إِذَا رَوَاهُ أَهْلُ الثَّبَتِ» كَمَا رَوَى الفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ: «أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُصَلِّ فِي الكَعْبَةِ» وَقَالَ بِلاَلٌ: «قَدْ صَلَّى» ، فَأُخِذَ بِقَوْلِ بِلاَلٍ وَتُرِكَ قَوْلُ الفَضْلِ

তাহকীক: