আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
২০- যাকাতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ১৩৯৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৮১ - ১৪৮২
৯৩৬. খেজুরের পরিমাণ আন্দাজ করা।
১৩৯৫। সাহল ইবনে বাক্কার (রাহঃ) ......... আবু হুমাইদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ) এর সাথে তাবূকের যুদ্ধে শরীক হয়েছি। যখন তিনি ওয়াদিল কুরা নামক স্থানে পৌঁছলেন, তখন এক মহিলা তার নিজের বাগানে উপস্থিত ছিল। নবী (ﷺ) সাহাবাদের লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমরা এই বাগানের ফলগুলোর পরিমাণ আন্দাজ কর। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজে দশ ওসাক পরিমাণ আন্দাজ করলেন। তারপর মহিলাকে বললেনঃ উৎপন্ন ফলের হিসাব রেখো। আমরা তাবূক পৌঁছলে, তিনি বললেনঃ সাবধান! আজ রাতে প্রবল ঝড় প্রবাহিত হবে। কাজেই কেউ যেন দাঁড়িয়ে না থাকে এবং প্রত্যেকেই যেন তার উট বেঁধে রাখে। তখন আমরা নিজ নিজ উট বেঁধে নিলাম। প্রবল ঝড় হতে লাগল। এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে গেলে ঝড় তাকে তায় নামক পর্বতে নিক্ষেপ করল। আয়লা নগরীর শাসনকর্তা নবী (ﷺ) এর জন্য একটি সাদা খচ্চর ও চাদর হাদিয়া দিলেন। আর নবী (ﷺ) তাকে সেখানকার শাসনকর্তারূপে বহাল থাকার লিখিত নির্দেশ দিলেন। (ফেরার পথে) ওয়াদিল কুরা পৌঁছে সেই মহিলাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমার বাগানে কি পরিমাণ ফল হয়েছে? মহিলা বলল, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অনুমিত পরিমাণ, দশ ওসাকই হয়েছে। নবী (ﷺ) বললেনঃ আমি দ্রুত মদীনায় পৌঁছতে ইচ্ছুক। তোমাদের কেউ আমার সাথে দ্রুত যেতে চাইলে জলদি কর। ইবনে বাক্কার (রাহঃ) এমন একটি বাক্য বললেন, যার অর্থ, যখন তিনি মদীনা দেখতে পেলেন তখন বললেনঃ ইহা ত্বাবা (মদীনার অপর নাম)। এরপর যখন তিনি উহুদ পর্বত দেখতে পেলেন তখন বললেনঃ এই পর্বত আমাদেরকে ভালবাসে এবং আমরাও তাকে ভালবাসি। আনসারদের সর্বোত্তম গোত্রটি সম্পর্কে আমি তোমাদের খবর দিব কি? তারা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ বনু নাজ্জার গোত্র, তারপর বনু আব্দুল আশহাল গোত্র, এরপর বনু সাঈদা গোত্র অথবা বনু হারিস ইবনে খাযরাজ গোত্র। আনসারদের সকল গোত্রেই কল্যাণ রয়েছে।
সাহল ইবনে বাক্কার (রাহঃ) সুলাইমান ইবনে বিলাল সূত্রে আমর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেনঃ এরপর বনু হারিস ইবনে খাযরাজ গোত্র, এরপর বনু সায়িদা গোত্র। এবং সুলাইমান (রাহঃ)......... নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উহুদ পর্বত আমাদেরকে ভালবাসে, আমরাও তাকে ভালবাসি।
আবু আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, যে বাগান দেওয়াল দ্বারা বেষ্টিত তাকে বলা হয় حَدِيقَةٌ এবং যা দেওয়াল দ্বারা বেষ্টিত নয়, তাকে حَدِيقَةٌ বলা হয় না।
সাহল ইবনে বাক্কার (রাহঃ) সুলাইমান ইবনে বিলাল সূত্রে আমর (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেনঃ এরপর বনু হারিস ইবনে খাযরাজ গোত্র, এরপর বনু সায়িদা গোত্র। এবং সুলাইমান (রাহঃ)......... নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উহুদ পর্বত আমাদেরকে ভালবাসে, আমরাও তাকে ভালবাসি।
আবু আব্দুল্লাহ (রাহঃ) বলেন, যে বাগান দেওয়াল দ্বারা বেষ্টিত তাকে বলা হয় حَدِيقَةٌ এবং যা দেওয়াল দ্বারা বেষ্টিত নয়, তাকে حَدِيقَةٌ বলা হয় না।
باب خَرْصِ التَّمْرِ/ الثَّمَرِ
1481 - حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ بَكَّارٍ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ يَحْيَى، عَنْ عَبَّاسٍ السَّاعِدِيِّ، عَنْ أَبِي حُمَيْدٍ السَّاعِدِيِّ، قَالَ: غَزَوْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَزْوَةَ تَبُوكَ، فَلَمَّا جَاءَ وَادِيَ القُرَى إِذَا امْرَأَةٌ فِي حَدِيقَةٍ لَهَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَصْحَابِهِ: «اخْرُصُوا» ، وَخَرَصَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشَرَةَ أَوْسُقٍ، فَقَالَ لَهَا: «أَحْصِي مَا يَخْرُجُ مِنْهَا» فَلَمَّا أَتَيْنَا تَبُوكَ قَالَ: «أَمَا إِنَّهَا سَتَهُبُّ اللَّيْلَةَ رِيحٌ شَدِيدَةٌ، فَلاَ يَقُومَنَّ أَحَدٌ، وَمَنْ كَانَ مَعَهُ بَعِيرٌ فَلْيَعْقِلْهُ» فَعَقَلْنَاهَا، وَهَبَّتْ رِيحٌ شَدِيدَةٌ، فَقَامَ رَجُلٌ، فَأَلْقَتْهُ بِجَبَلِ طَيِّءٍ، وَأَهْدَى مَلِكُ أَيْلَةَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَغْلَةً بَيْضَاءَ، وَكَسَاهُ بُرْدًا وَكَتَبَ لَهُ بِبَحْرِهِمْ، فَلَمَّا أَتَى وَادِيَ القُرَى قَالَ لِلْمَرْأَةِ: «كَمْ جَاءَ حَدِيقَتُكِ» قَالَتْ: عَشَرَةَ أَوْسُقٍ، خَرْصَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنِّي مُتَعَجِّلٌ إِلَى المَدِينَةِ، فَمَنْ أَرَادَ مِنْكُمْ أَنْ يَتَعَجَّلَ مَعِي، فَلْيَتَعَجَّلْ» فَلَمَّا قَالَ ابْنُ بَكَّارٍ كَلِمَةً مَعْنَاهَا: أَشْرَفَ عَلَى المَدِينَةِ قَالَ: «هَذِهِ طَابَةُ» فَلَمَّا رَأَى أُحُدًا قَالَ: «هَذَا جُبَيْلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ، أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ دُورِ الأَنْصَارِ» قَالُوا: بَلَى، قَالَ: «دُورُ بَنِي النَّجَّارِ، ثُمَّ دُورُ بَنِي عَبْدِ الأَشْهَلِ، ثُمَّ دُورُ بَنِي [ص:126] سَاعِدَةَ - أَوْ دُورُ بَنِي الحَارِثِ بْنِ الخَزْرَجِ - وَفِي كُلِّ دُورِ الأَنْصَارِ - يَعْنِي - خَيْرًا»
1482 - وَقَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ: حَدَّثَنِي عَمْرٌو، «ثُمَّ دَارُ بَنِي الحَارِثِ، ثُمَّ بَنِي سَاعِدَةَ» وَقَالَ سُلَيْمَانُ: عَنْ سَعْدِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ عَبَّاسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أُحُدٌ جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ» قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: «كُلُّ بُسْتَانٍ عَلَيْهِ حَائِطٌ فَهُوَ حَدِيقَةٌ، وَمَا لَمْ يَكُنْ عَلَيْهِ حَائِطٌ لَمْ يُقَلْ حَدِيقَةٌ»
1482 - وَقَالَ سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ: حَدَّثَنِي عَمْرٌو، «ثُمَّ دَارُ بَنِي الحَارِثِ، ثُمَّ بَنِي سَاعِدَةَ» وَقَالَ سُلَيْمَانُ: عَنْ سَعْدِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ عَبَّاسٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «أُحُدٌ جَبَلٌ يُحِبُّنَا وَنُحِبُّهُ» قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ: «كُلُّ بُسْتَانٍ عَلَيْهِ حَائِطٌ فَهُوَ حَدِيقَةٌ، وَمَا لَمْ يَكُنْ عَلَيْهِ حَائِطٌ لَمْ يُقَلْ حَدِيقَةٌ»

তাহকীক:

বর্ণনাকারী: