আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

১৮- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১১৬২
আন্তর্জাতিক নং: ১২৩৪
৭৮৩. নামাযের মধ্যে ইশারা করা।
কুরাইব (রাহঃ) উম্মে সালামা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে এ সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন।
১১৬২। কুতাইবা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... সাহল ইবনে সা’দ সাঈদী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) এর কাছে সংবাদ পৌঁছে যে, বনু আমর ইবনে আওফে কিছু ঘটেছে। তাদের মধ্যে আপোস করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি কয়েকজন সাহাবীসহ বেরিয়ে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সেখানে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েন। ইতিমধ্যে নামাযের সময় হয়ে গেল। বিলাল (রাযিঃ) আবু বকর (রাযিঃ)-এর কাছে এসে বললেন, হে আবু বকর! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এদিকে নামাযের সময় হয়ে গিয়েছে, আপনি কি নামাযে লোকদের ইমামতি করতে প্রস্তুত আছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, যদি তুমি চাও। তখন বিলাল (রাযিঃ) ইকামত বললেন এবং আবু বকর (রাযিঃ) সামনে এগিয়ে গিয়ে লোকদের জন্য তাকবীর বললেন। এদিকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাশরীফ আনলেন এবং কাতারের ভিতর দিয়ে হেঁটে (প্রথম) কাতারে এসে দাঁড়িয়ে গেলেন। মুসল্লীগণ তখন হাততালি দিতে লাগলেন। আবু বকর (রাযিঃ)-এর অভ্যাস ছিল যে, নামাযে এদিক সেদিক তাকাতেন না। মুসল্লীগণ যখন অধিক পরিমাণে হাততালি দিতে লাগলেন, তখন তিনি সেদিকে তাকালেন এবং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেখতে পেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইশারা করে নামায আদায় করতে থাকার নির্দেশ দিলেন। আবু বকর (রাযিঃ) দু’হাত তুলে আল্লাহর হামদ বর্ণনা করলেন এবং পিছনের দিকে সরে গিয়ে কাতারে দাঁড়ালেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সামনে এগিয়ে লোকদের নিয়ে নামায আদায় করলেন। নামায শেষ করে মুসল্লীগণের প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, হে লোক সকল! তোমাদের কি হয়েছে, নামাযে কোন ব্যাপার ঘটলে তোমরা হাততালি দিতে থাক কেন? হাততালি তো মেয়েদের জন্য। কারো নামাযের মধ্যে কোন সমস্যা দেখা দিলে সে যেন সুবহানাল্লাহ বলে। কারণ, কেউ অন্যকে সুবহানাল্লাহ বলতে শুনলে অবশ্যই সেদিকে লক্ষ্য করবে। তারপর তিনি বললেন, হে আবু বকর! তোমাকে আমি ইশারা করা সত্ত্বেও কিসে তোমাকে লোকদের নিয়ে নামায আদায় করতে বাধা দিল? আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, কুহাফার ছেলের জন্য এ সমীচীন নয় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামনে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে।
باب الإِشَارَةِ فِي الصَّلاَةِ قَالَهُ كُرَيْبٌ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
1234 - حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ السَّاعِدِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَلَغَهُ أَنَّ بَنِي عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، كَانَ بَيْنَهُمْ شَيْءٌ، فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصْلِحُ بَيْنَهُمْ فِي أُنَاسٍ مَعَهُ، فَحُبِسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَحَانَتِ الصَّلاَةُ، فَجَاءَ بِلاَلٌ إِلَى أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَقَالَ: يَا أَبَا بَكْرٍ، إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ حُبِسَ، وَقَدْ حَانَتِ الصَّلاَةُ، فَهَلْ لَكَ أَنْ تَؤُمَّ النَّاسَ؟ قَالَ: نَعَمْ إِنْ شِئْتَ، فَأَقَامَ بِلاَلٌ، وَتَقَدَّمَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَكَبَّرَ لِلنَّاسِ وَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَمْشِي فِي الصُّفُوفِ، حَتَّى قَامَ فِي الصَّفِّ، فَأَخَذَ النَّاسُ فِي التَّصْفِيقِ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ لاَ يَلْتَفِتُ فِي صَلاَتِهِ، فَلَمَّا أَكْثَرَ النَّاسُ التَفَتَ، فَإِذَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَشَارَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَأْمُرُهُ: «أَنْ يُصَلِّيَ» فَرَفَعَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَدَيْهِ، فَحَمِدَ اللَّهَ وَرَجَعَ القَهْقَرَى وَرَاءَهُ حَتَّى قَامَ فِي الصَّفِّ، فَتَقَدَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَصَلَّى لِلنَّاسِ، فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ، فَقَالَ: " يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا لَكُمْ حِينَ نَابَكُمْ شَيْءٌ فِي الصَّلاَةِ، أَخَذْتُمْ فِي التَّصْفِيقِ إِنَّمَا التَّصْفِيقُ لِلنِّسَاءِ، مَنْ نَابَهُ شَيْءٌ فِي صَلاَتِهِ فَلْيَقُلْ: سُبْحَانَ اللَّهِ، فَإِنَّهُ لاَ يَسْمَعُهُ أَحَدٌ حِينَ يَقُولُ: سُبْحَانَ اللَّهِ إِلَّا التَفَتَ، يَا أَبَا بَكْرٍ، مَا مَنَعَكَ أَنْ تُصَلِّيَ لِلنَّاسِ حِينَ أَشَرْتُ إِلَيْكَ " فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: مَا كَانَ يَنْبَغِي لِابْنِ أَبِي قُحَافَةَ أَنْ يُصَلِّيَ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
হাদীস নং: ১১৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ১২৩৫
৭৮৩. নামাযের মধ্যে ইশারা করা।
১১৬৩। ইয়াহয়া ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) ......... আসমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাযিঃ) এর কাছে গেলাম, তখন তিনি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করছিলেন, আর লোকেরাও নামাযে দাঁড়ানো ছিল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, লোকদের অবস্থা কি? তখন তিনি তাঁর মাথা দ্বারা আকাশের দিকে ইশারা করলেন। আমি বললাম, ইহা কি নিদর্শন? তিনি আবার তাঁর মাথার ইশারায় বললেন, হ্যাঁ।
باب الإِشَارَةِ فِي الصَّلاَةِ
1235 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا الثَّوْرِيُّ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ فَاطِمَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ، قَالَتْ: دَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، وَهِيَ «تُصَلِّي قَائِمَةً وَالنَّاسُ قِيَامٌ» ، فَقُلْتُ: مَا شَأْنُ النَّاسِ؟ «فَأَشَارَتْ بِرَأْسِهَا إِلَى السَّمَاءِ» ، فَقُلْتُ: آيَةٌ؟ فَقَالَتْ بِرَأْسِهَا: «أَيْ نَعَمْ»
হাদীস নং: ১১৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ১২৩৬
৭৮৩. নামাযের মধ্যে ইশারা করা।
১১৬৪। ইসমাঈল (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) এর সহধর্মিণী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর অসুস্থ অবস্থায় তাঁর ঘরে বসে নামায আদায় করছিলেন। একদল সাহাবী তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে লাগলেন। তিনি তাদের প্রতি ইশারা করলেন, বসে যাও। নামায শেষ করে তিনি বললেন, ইমাম নির্ধারণ করা হয়েছে তাঁকে অনুসরণ করার জন্য। কাজেই তিনি রুকু’ করলে তোমরা রুকু’ করবে; আর তিনি মাথা তুললে তোমরাও মাথা তুলবে।
باب الإِشَارَةِ فِي الصَّلاَةِ
1236 - حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهَا قَالَتْ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْتِهِ وَهُوَ شَاكٍ جَالِسًا، وَصَلَّى وَرَاءَهُ قَوْمٌ قِيَامًا، فَأَشَارَ إِلَيْهِمْ أَنِ اجْلِسُوا، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: «إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا، وَإِذَا رَفَعَ فَارْفَعُوا»