আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

الجامع الصحيح للبخاري

১৮- তাহাজ্জুদ - নফল নামাযের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ১১৬১
আন্তর্জাতিক নং: ১২৩৩
৭৮২. নামাযে থাকা অবস্থায় কেউ তার সঙ্গে কথা বললে এবং তা শুনে যদি সে হাত দিয়ে ইশারা করে।
১১৬১। ইয়াহয়া ইবনে সুলাইমান (রাহঃ) ......... কুরাইব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, ইবনে আব্বাস, মিসওয়ার ইবনে মাখরামা এবং আব্দুর রহমান ইবনে আযহার (রাযিঃ) তাঁকে আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে পাঠালেন এবং বলে দিলেন, তাঁকে আমাদের সকলের তরফ থেকে সালাম পৌঁছিয়ে আসরের পরের দু’রাকআত নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে। তাঁকে একথাও বলবে যে, আমরা খবর পেয়েছি যে, আপনি সে দু’রাকআত আদায় করেন, অথচ আমাদের কাছে পৌঁছেছে যে, নবী (ﷺ) সে দু’রাকআত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এরসঙ্গে আরও বলেন যে, আমি উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এর সাথে এ নামাযের কারণে লোকদের মারধর করতাম।
কুরাইব (রাহঃ) বলেন, আমি আয়িশা (রাযিঃ) এর কাছে গিয়ে তাঁকে তাঁদের পয়গাম পৌঁছিয়ে দিলাম। তিনি বললেন, উম্মে সালামা (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা কর। [কুরাইব (রাহঃ) বলেন] আমি সেখান থেকে বের হয়ে তাঁদের কাছে গেলাম এবং তাঁদেরকে আয়িশা (রাযিঃ)-এর কথা জানালাম। তখন তাঁরা আমাকে আয়িশা (রাযিঃ)-এর কাছে যে বিষয় নিয়ে পাঠিয়েছিলেন, তা নিয়ে পুনরায় উম্মে সালামা (রাযিঃ)-এর কাছে পাঠালেন। উম্মে সালামা (রাযিঃ) বললেন, আমিও নবী (ﷺ) কে তা থেকে নিষেধ করতে শুনেছি। অথচ তারপর তাঁকে তা আদায় করতেও দেখেছি।
একদিন তিনি আসরের নামাযের পর আমার ঘরে তাশরীফ আনলেন। তখন আমার কাছে বনু হারাম গোত্রের আনসারী কয়েকজন মহিলা উপস্থিত ছিলেন। আমি বাঁদীকে এ বলে তাঁর কাছে পাঠালাম যে, তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে তাঁকে বলবে, উম্মে সালামা (রাযিঃ) আপনার কাছে জানতে চেয়েছেন, আপনাকে (আসরের পর নামাযের) দু’রাকআত থেকে নিষেধ করতে শুনেছি; অথচ দেখছি, আপনি তা আদায় করছেন? যদি তিনি হাত দিয়ে ইশারা করেন, তাহলে পিছনে সরে থাকবে, বাঁদি তা-ই করল। তিনি ইশারা করলেন, সে পিছনে সরে থাকল। নামায শেষ করে তিনি বললেন, হে আবু উমাইয়ার কন্যা! আসরের পরের দু’রাকআত নামায সম্পর্কে তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছ। আব্দুল কায়স গোত্রের কিছু লোক আমার কাছে এসেছিল। তাদের কারণে যুহরের পরের দু’রাকআত আদায় করা থেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। এ দু’রাকআত সে দু’রাকআত।*

*ঘটনাটি একবারের হলেও নবী (ﷺ) এর বৈশিষ্ট্যের কারণে তা নিয়মিত নামাযে পরিনত হয়। কারণ, নবী (ﷺ) কোন আমল একবার শুরু করলে তা নিয়মিত করতেন।
باب إِذَا كُلِّمَ وَهُوَ يُصَلِّي فَأَشَارَ بِيَدِهِ وَاسْتَمَعَ
1233 - حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ: حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، وَالمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَزْهَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ، أَرْسَلُوهُ إِلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَقَالُوا: اقْرَأْ عَلَيْهَا السَّلاَمَ مِنَّا جَمِيعًا، وَسَلْهَا عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ صَلاَةِ العَصْرِ، وَقُلْ لَهَا: إِنَّا أُخْبِرْنَا عَنْكِ أَنَّكِ تُصَلِّينَهُمَا، وَقَدْ بَلَغَنَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْهَا، وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَكُنْتُ أَضْرِبُ النَّاسَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ عَنْهَا، فَقَالَ كُرَيْبٌ: فَدَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، فَبَلَّغْتُهَا مَا أَرْسَلُونِي، فَقَالَتْ: سَلْ أُمَّ سَلَمَةَ، فَخَرَجْتُ إِلَيْهِمْ، فَأَخْبَرْتُهُمْ بِقَوْلِهَا، فَرَدُّونِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ بِمِثْلِ مَا أَرْسَلُونِي بِهِ إِلَى عَائِشَةَ، فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَى عَنْهَا، ثُمَّ رَأَيْتُهُ يُصَلِّيهِمَا حِينَ صَلَّى العَصْرَ، ثُمَّ دَخَلَ عَلَيَّ وَعِنْدِي نِسْوَةٌ مِنْ بَنِي حَرَامٍ مِنَ الأَنْصَارِ، فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ الجَارِيَةَ، فَقُلْتُ: قُومِي بِجَنْبِهِ فَقُولِي لَهُ: تَقُولُ لَكَ أُمُّ سَلَمَةَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، سَمِعْتُكَ تَنْهَى عَنْ هَاتَيْنِ، وَأَرَاكَ [ص:70] تُصَلِّيهِمَا، فَإِنْ أَشَارَ بِيَدِهِ، فَاسْتَأْخِرِي عَنْهُ، فَفَعَلَتِ الجَارِيَةُ، فَأَشَارَ بِيَدِهِ، فَاسْتَأْخَرَتْ عَنْهُ، فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ: «يَا بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ، سَأَلْتِ عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ العَصْرِ، وَإِنَّهُ أَتَانِي نَاسٌ مِنْ عَبْدِ القَيْسِ، فَشَغَلُونِي عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ فَهُمَا هَاتَانِ»