আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
الجامع الصحيح للبخاري
৯- আযান-ইকামতের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১ টি
হাদীস নং: ৬৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৬৭৭
৪৩৭। যিনি কেবলমাত্র রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নামায ও তাঁর সুন্নত শিক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে লোকদের নিয়ে নামায আদায় করেন।
৬৪৩। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... আবু কিলাবাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার মালিক ইবনে হুওয়াইরিস (রাযিঃ) আমাদের এ মসজিদে এলেন। তিনি বললেন, আমি অবশ্যই তোমাদের নিয়ে নামায আদায় করবো, বস্তুত আমার উদ্দেশ্য নামায আদায় করা নয় বরং নবী (ﷺ) কে আমি যেভাবে নামায আদায় করতে দেখেছি, তা তোমাদের দেখানোই আমার উদ্দেশ্য। (আইয়ুব (রাহঃ) বলেন) আমি আবু কিলাবা (রাহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি কিভাবে নামায আদায় করতেন? তিনি বললেন, আমাদের এই শাইখের (আমর ইবনে সালামা**) মত আর শাইখ প্রথম রাকাআতের সিজদা শেষ করে যখন মাথা উঠাতেন, তখন দাঁড়াবার আগে একটু বসে নিতেন ।*
*পরিভাষায় উক্ত বসাকে 'জলসায়ে-ইস্তেরাহাত' বা 'আরামের বৈঠক' বলা হয়। হানাফীরা এতে আমল করেন না। তার কারণ হিসেবে আল্লামা 'আইনী (রঃ) বলেন, প্রথমত, এটি তিরমিযী শরীফে বর্ণিত- “মহানবী (ﷺ) সিজদা হতে উঠার সময় দু' হাঁটুতে হাত রেখে ভর করে সোজা উঠে যেতেন বা দাঁড়িয়ে যেতেন”- এর সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। দ্বিতীয়ত, আলোচ্য হাদীসের বক্তব্য প্রিয়নবী (ﷺ)-এর বয়স বেশী ও বৃদ্ধাবস্থার প্রসঙ্গ হয়ে থাকবে। তৃতীয়ত, বর্ণনাকারী মালিক ইবনে হুওয়াইরিস (রাযিঃ) ব্যতীত অন্যান্য অনেক প্রবীণ ও বিজ্ঞ সাহাবীগণের সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, প্রিয়নবী (ﷺ) জলসায়ে-ইস্তেরাহাত না করে সরাসরি উঠে যেতেন। এই হাদীসের উপরেই হানাফী মাযহাবের আমল। (দ্রষ্টব্য : মূল আরবী সংস্করণ বুখারী : টীকা অংশ পৃ-৯৩, খ-১: মূল আরবী সংস্করণ তিরমিযী খ-১, পৃ-৬৪-৬৫, টীকা অংশ)
** ফাতহুল বারী। (2/163)
*পরিভাষায় উক্ত বসাকে 'জলসায়ে-ইস্তেরাহাত' বা 'আরামের বৈঠক' বলা হয়। হানাফীরা এতে আমল করেন না। তার কারণ হিসেবে আল্লামা 'আইনী (রঃ) বলেন, প্রথমত, এটি তিরমিযী শরীফে বর্ণিত- “মহানবী (ﷺ) সিজদা হতে উঠার সময় দু' হাঁটুতে হাত রেখে ভর করে সোজা উঠে যেতেন বা দাঁড়িয়ে যেতেন”- এর সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। দ্বিতীয়ত, আলোচ্য হাদীসের বক্তব্য প্রিয়নবী (ﷺ)-এর বয়স বেশী ও বৃদ্ধাবস্থার প্রসঙ্গ হয়ে থাকবে। তৃতীয়ত, বর্ণনাকারী মালিক ইবনে হুওয়াইরিস (রাযিঃ) ব্যতীত অন্যান্য অনেক প্রবীণ ও বিজ্ঞ সাহাবীগণের সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, প্রিয়নবী (ﷺ) জলসায়ে-ইস্তেরাহাত না করে সরাসরি উঠে যেতেন। এই হাদীসের উপরেই হানাফী মাযহাবের আমল। (দ্রষ্টব্য : মূল আরবী সংস্করণ বুখারী : টীকা অংশ পৃ-৯৩, খ-১: মূল আরবী সংস্করণ তিরমিযী খ-১, পৃ-৬৪-৬৫, টীকা অংশ)
** ফাতহুল বারী। (2/163)
باب مَنْ صَلَّى بِالنَّاسِ وَهْوَ لاَ يُرِيدُ إِلاَّ أَنْ يُعَلِّمَهُمْ صَلاَةَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَسُنَّتَهُ
677 - حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ: حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ: جَاءَنَا مَالِكُ بْنُ الحُوَيْرِثِ - فِي مَسْجِدِنَا هَذَا - فَقَالَ: إِنِّي لَأُصَلِّي بِكُمْ وَمَا أُرِيدُ الصَّلاَةَ، أُصَلِّي كَيْفَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي، فَقُلْتُ لِأَبِي قِلاَبَةَ: كَيْفَ كَانَ يُصَلِّي؟ قَالَ: مِثْلَ شَيْخِنَا* هَذَا، قَالَ: وَكَانَ شَيْخًا، «يَجْلِسُ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ السُّجُودِ، قَبْلَ أَنْ يَنْهَضَ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى»
* فتح الباري لابن حجر (2/ 163): قوله مثل شيخنا هو عمرو بن سلمة
* فتح الباري لابن حجر (2/ 163): قوله مثل شيخنا هو عمرو بن سلمة

তাহকীক: