ফয়জুল কালাম

আমানত এবং ইমান উঠে যাওয়া -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:২৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৩ -
৬৩. কতকের অন্তর থেকে ঈমান ও আমানতদারী উঠিয়ে নেয়া এবং অন্তরে ফিতনার সৃষ্টি হওয়া
২৬৫। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা ও আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... হুযাইফা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদেরকে দুটি কথা বলেছিলেন, সে দুটির একটি তো আমি স্বচোখেই দেখেছি আর অপরটির জন্য অপেক্ষা করছি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ মানব হৃদয়ের মূলে আমানত নাযিল হয়, তারপর কুরআন অবতীর্ণ হয়। অনন্তর তারা কুরআন শিখেছে এবং সুন্নাহর জ্ঞান লাভ করেছেন তারপর তিনি আমাদেরকে আমানত উঠিয়ে নেয়ার বর্ণনা দিলেন। বললেনঃ মানুষ ঘুমাবে আর তখন তার অন্তর হতে আমানত তুলে নেয়া হবে। ফলে তার চিহ্ন থেকে যাবে একটি নুকতার মত। এরপর আবার সে ঘুমায় তখন তার অন্তর থেকে আমানত তুলে নেয়া হবে। ফলে তার চিহ্ন থেকে যাবে ফোস্কার মত যেন একটি অঙ্গার, তা তুমি তোমার পায়ে রগড়ে দিলে। তখন তাতে ফোস্কা পড়ে যায় এবং তুমি তা ফোলা দেখতে পাও অথচ তাতে (পুঁজ-পানি ব্যতীত) কিছু নেই। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কয়েকটি কাকর নিয়ে তার পায়ে ঘষলেন এবং বললেনঃ যখন এমন অবস্থা হয়ে যাবে, তখন মানুষ বেচাকেনা করবে কিন্তু কেউ আমানত শোধ করবে না। (আমানতদার ব্যক্তি এত কমে যাবে যে) এমনকি বলা হবে যে, অমুক বংশে একজন আমানতদার আছেন। এমন অবস্থা হবে যে, কাউকে বলা হবে সে কতই না বাহাদুর, কতই না হুশিয়ার, বড়ই বুদ্ধিমান অথচ তার অন্তরে দানা পরিমাণ ঈমান নেই। হুযাইফা (রাযিঃ) বলেন, এমন এক যুগও গেছে যখন যে কারো সাথে লেনদেন করতে দ্বিধা করতাম না। কারণ সে যদি মুসলমান হতো তবে তার দ্বীনদারীই তাকে আমার হক পরিশোধ করতে বাধ্য করত। আর যদি সে খৃষ্টান বা ইহুদী হতো তবে তার প্রশাসক তা শোধ করতে তাকে বাধ্য করত। কিন্তু বর্তমানে আমি অমুক অমুক ব্যতীত কারো সাথে লেনদেন করি না।
باب رَفْعِ الأَمَانَةِ وَالإِيمَانِ مِنْ بَعْضِ الْقُلُوبِ وَعَرْضِ الْفِتَنِ عَلَى الْقُلُوبِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، وَوَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثَيْنِ قَدْ رَأَيْتُ أَحَدَهُمَا وَأَنَا أَنْتَظِرُ الآخَرَ حَدَّثَنَا " أَنَّ الأَمَانَةَ نَزَلَتْ فِي جِذْرِ قُلُوبِ الرِّجَالِ ثُمَّ نَزَلَ الْقُرْآنُ فَعَلِمُوا مِنَ الْقُرْآنِ وَعَلِمُوا مِنَ السُّنَّةِ " . ثُمَّ حَدَّثَنَا عَنْ رَفْعِ الأَمَانَةِ قَالَ " يَنَامُ الرَّجُلُ النَّوْمَةَ فَتُقْبَضُ الأَمَانَةُ مِنْ قَلْبِهِ فَيَظَلُّ أَثَرُهَا مِثْلَ الْوَكْتِ ثُمَّ يَنَامُ النَّوْمَةَ فَتُقْبَضُ الأَمَانَةُ مِنْ قَلْبِهِ فَيَظَلُّ أَثَرُهَا مِثْلَ الْمَجْلِ كَجَمْرٍ دَحْرَجْتَهُ عَلَى رِجْلِكَ فَنَفِطَ فَتَرَاهُ مُنْتَبِرًا وَلَيْسَ فِيهِ شَىْءٌ - ثُمَّ أَخَذَ حَصًى فَدَحْرَجَهُ عَلَى رِجْلِهِ - فَيُصْبِحُ النَّاسُ يَتَبَايَعُونَ لاَ يَكَادُ أَحَدٌ يُؤَدِّي الأَمَانَةَ حَتَّى يُقَالَ إِنَّ فِي بَنِي فُلاَنٍ رَجُلاً أَمِينًا . حَتَّى يُقَالَ لِلرَّجُلِ مَا أَجْلَدَهُ مَا أَظْرَفَهُ مَا أَعْقَلَهُ وَمَا فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنْ خَرْدَلٍ مِنْ إِيمَانٍ " . وَلَقَدْ أَتَى عَلَىَّ زَمَانٌ وَمَا أُبَالِي أَيَّكُمْ بَايَعْتُ لَئِنْ كَانَ مُسْلِمًا لَيَرُدَّنَّهُ عَلَىَّ دِينُهُ وَلَئِنْ كَانَ نَصْرَانِيًّا أَوْ يَهُودِيًّا لَيَرُدَّنَّهُ عَلَىَّ سَاعِيهِ وَأَمَّا الْيَوْمَ فَمَا كُنْتُ لأُبَايِعَ مِنْكُمْ إِلاَّ فُلاَنًا وَفُلاَنًا .