ফয়জুল কালাম

যথাযথ ঋণ লেনদেন করা -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ বুখারী

হাদীস নং:২২২৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৮৭
১৪৮৪. যে ব্যক্তি মানুষের সম্পদ গ্রহণ করে পরিশোধ করার উদ্দেশ্যে অথবা বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে
২২২৯। আব্দুল আযীয ইবনে আব্দুল্লাহ উয়ায়সী (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি মানুষের মাল (ধার) নেয় পরিশোধ করার উদ্দেশ্যে আল্লাহ তা‘আলা তা আদায়ের ব্যবস্থা করে দেন। আর যে তা নেয় বিনষ্ট করার নিয়তে আল্লাহ তা‘আলা তাকে ধ্বংস করেন।
باب مَنْ أَخَذَ أَمْوَالَ النَّاسِ يُرِيدُ أَدَاءَهَا أَوْ إِتْلاَفَهَا
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأُوَيْسِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ ثَوْرِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي الْغَيْثِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَخَذَ أَمْوَالَ النَّاسِ يُرِيدُ أَدَاءَهَا أَدَّى اللَّهُ عَنْهُ، وَمَنْ أَخَذَ يُرِيدُ إِتْلاَفَهَا أَتْلَفَهُ اللَّهُ ".
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৪৭৩০
৩২. ঋণ ছাড়া শহীদদের সকল গুনাহ মাফ
৪৭৩০। যাকারিয়া ইবনে ইয়াহয়া ইবনে সালিহ মিসরী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ ঋণ ছাড়া শহীদের সকল গুনাহই মাফ করে দেওয়া হবে।
باب مَنْ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ كُفِّرَتْ خَطَايَاهُ إِلاَّ الدَّيْنَ
حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ يَحْيَى بْنِ صَالِحٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ، - يَعْنِي ابْنَ فَضَالَةَ - عَنْ عَيَّاشٍ، - وَهُوَ ابْنُ عَبَّاسٍ الْقِتْبَانِيُّ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يُغْفَرُ لِلشَّهِيدِ كُلُّ ذَنْبٍ إِلاَّ الدَّيْنَ " .

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:১০৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ১০৭৮
ঋণের কারণে মু’মিনের রূহ লটকে থাকে, যে পর্যন্ত না তা আদায় করা হয়।
১০৭৮. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, ঋণ পরিশোধ না করা পর্যন্ত মু’মিনের রূহ্ ঋণের সাথে লটকানো থাকে। - ইবনে মাজাহ
باب مَا جَاءَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ " نَفْسُ الْمُؤْمِنِ مُعَلَّقَةٌ بِدَيْنِهِ حَتَّى يُقْضَى عَنْهُ "
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " نَفْسُ الْمُؤْمِنِ مُعَلَّقَةٌ بِدَيْنِهِ حَتَّى يُقْضَى عَنْهُ " .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:২৯১৬
৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দেউলিয়া (দারিদ্র্য) হওয়া এবং ঋণীকে অবকাশ দান
২৯১৬। হযরত বারা ইবনে আযেব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ ঋণী ব্যক্তি (মৃত্যুর পর আপন মর্যাদার স্থানে পৌঁছিতে পারিবে না,) ঋণের দায়ে আব্দ্ধ থাকিবে। সে নিঃসঙ্গ অবস্থায় থাকার অভিযোগ করিতে থাকিবে তাহার পরওয়ারদেগারের নিকট। —শরহে সুন্নাহ
وَعَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَاحِبُ الدَّيْنِ مَأْسُورٌ بِدَيْنِهِ يَشْكُو إِلَى رَبِّهِ الْوَحْدَةَ يَوْمَ الْقِيَامَة» . رَوَاهُ فِي شرح السّنة
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:২৯২৯
৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - দেউলিয়া (দারিদ্র্য) হওয়া এবং ঋণীকে অবকাশ দান
২৯২৯। হযরত মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে জাহশ (রাঃ) বলেন, একদা আমরা মসজিদের সম্মুখস্থ খোলা জায়গায় বসা ছিলাম, যথায় জানাযা রাখা হইত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)ও আমাদের মধ্যে উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি আকাশপানে চোখ উঠাইলেন এবং তাকাইলেন; অতঃপর দৃষ্টিকে অবনত করিয়া ললাটের উপর হাত রাখিলেন এবং বলিলেন, সোবহানাল্লাহ্! সোবহানাল্লাহ্! কী কঠোরতা অবতীর্ণ হইল! বর্ণনাকারী বলেন, আমরা একদিন এক রাত্র চুপই রহিলাম; এই সময়ের মধ্যে (কোন মন্দ দেখিলাম না) সব ভালই দেখিলাম। মুহাম্মাদ বলেন, পরবর্তী দিন ভোর হইলে আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করিলাম, কি কঠোরতা অবতীর্ণ হইয়াছে? তিনি বলিলেন, ঋণ সম্পর্কে কঠোরতা (ওহী মারফত) অবতীর্ণ হইয়াছে! ঐ খোদার কসম যাঁহার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ। কোন ব্যক্তি আল্লাহর পথে শহীদ হইয়া পুনরায় (দুনিয়ার) জীবন লাভ করিয়াছে, আবার শহীদ হইয়া পুনরায় জীবন লাভ করিয়াছে, আবার শহীদ হইয়া (পরকালের জন্য) পুনরুজ্জীবিত হইয়াছে এবং তাহার উপর ঋণ ছিল, সে বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারিবে না, যাবৎ না তাহার ঋণ পরিশোধ করা হয়। —আহমদ ও শরহে সুন্নাহ্
وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا بِفِنَاءِ الْمَسْجِدِ حَيْثُ يُوضَعُ الْجَنَائِز وَرَسُول الله جَالِسٌ بَيْنَ ظَهْرَيْنَا فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَصَره قبل السَّمَاء فَنظر ثُمَّ طَأْطَأَ بَصَرَهُ وَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى جَبْهَتِهِ قَالَ: «سُبْحَانَ الله سُبْحَانَ الله مَا نَزَلَ مِنَ التَّشْدِيدِ؟» قَالَ: فَسَكَتْنَا يَوْمَنَا وَلَيْلَتَنَا فَلَمْ نَرَ إِلَّا خَيْرًا حَتَّى أَصْبَحْنَا قَالَ مُحَمَّدٌ: فَسَأَلْتُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا التَّشْدِيدُ الَّذِي نَزَلَ؟ قَالَ: «فِي الدَّيْنِ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ رَجُلًا قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ عَاشَ ثُمَّ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ عَاشَ ثُمَّ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ عَاشَ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ مَا دَخَلَ الْجَنَّةَ حَتَّى يُقْضَى دَيْنُهُ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَفِي شَرْحِ السُّنَّةِ نَحْوَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান