ফয়জুল কালাম
সাদকাতুল ফিতর -এর বিষয়সমূহ
৩ টি হাদীস
সহীহ বুখারী
হাদীস নং:১৪১৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০৩
৯৫২. সাদ্কাতুল ফিতর ফরয।
১৪১৫। ইয়াহয়া ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে সাকান (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রত্যেক গোলাম, আযাদ, পুরুষ, নারী, অপ্রাপ্ত বয়স্ক এবং প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাদকাতুল ফিতর হিসাবে খেজুর হোক অথবা যব হোক এক সা’ পরিমাণ আদায় করা ফরয করেছেন এবং লোকজনের ঈদের নামাযে বের হওয়ার পূর্বেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।
أَبْوَابُ صَدَقَةِ الفِطْرِ بَابُ فَرْضِ صَدَقَةِ الفِطْرِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّكَنِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَهْضَمٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم زَكَاةَ الْفِطْرِ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ عَلَى الْعَبْدِ وَالْحُرِّ، وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى، وَالصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَأَمَرَ بِهَا أَنْ تُؤَدَّى قَبْلَ خُرُوجِ النَّاسِ إِلَى الصَّلاَةِ.
সুনানে আবু দাউদ
হাদীস নং:১৬২২
আন্তর্জাতিক নং: ১৬২২
২০. অর্ধ সা’ গম প্রদানের বর্ণনাসমুহ
১৬২২. মুহাম্মাদ ইবনুল মুছান্না (রাহঃ) ..... আল-হাসান (আল বসরী) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) রমযানের শেষভাগে বসরার (মসজিদের) মিম্বরে দাঁড়িয়ে ভাষণ দেন এবং বলেনঃ তোমরা তোমাদের রোযার যাকাত (সদকায়ে ফিতর) প্রদান কর। উপস্থিত জনগণ তাঁর বক্তব্য হৃদয়ঙ্গম করতে অসমর্থ হলে তিনি সেখানে উপস্থিত মদীনার লোকদের সম্বোধন করে বলেনঃ তোমরা তোমাদের ভাইদের নিকট যাও এবং তাদের এ সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান কর, কেননা তারা বুঝতে পারছে না। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এই সদকাহ এক সা’ পরিমাণ খেজুর বা বার্লি অথবা অর্ধ সা’ পরিমাণ গম প্রত্যেক স্বাধীন ক্রীতদাস, নর-নারী, ছোট-বড় সকলের উপর ধার্য করেছেন। অতঃপর আলী (রাযিঃ) যখন (বসরায়) এলেন তখন জিনিসপত্রের দর কম দেখে বলেনঃ এখন আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে প্রাচুর্য দান করেছেন। কাজেই তোমরা যদি প্রত্যেক বস্তু হতে সাদ্কাহ (সাদ্কায়ে-ফিতর) হিসাবে এক সা’ পরিমাণ প্রদান কর (তবে ভালো হত)।
রাবী হুমায়দ বলেন, হাসান এই মত পোষণ করতেন যে, রমযানের ফিতরা (সাদ্কায়ে ফিতর) কেবল রোযাদার ব্যক্তির উপর ওয়াজিব।
باب مَنْ رَوَى نِصْفَ، صَاعٍ مِنْ قَمْحٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ حُمَيْدٌ أَخْبَرَنَا عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ خَطَبَ ابْنُ عَبَّاسٍ رَحِمَهُ اللَّهُ فِي آخِرِ رَمَضَانَ عَلَى مِنْبَرِ الْبَصْرَةِ فَقَالَ أَخْرِجُوا صَدَقَةَ صَوْمِكُمْ فَكَأَنَّ النَّاسَ لَمْ يَعْلَمُوا فَقَالَ مَنْ هَا هُنَا مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ قُومُوا إِلَى إِخْوَانِكُمْ فَعَلِّمُوهُمْ فَإِنَّهُمْ لاَ يَعْلَمُونَ فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هَذِهِ الصَّدَقَةَ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ أَوْ شَعِيرٍ أَوْ نِصْفَ صَاعٍ مِنْ قَمْحٍ عَلَى كُلِّ حُرٍّ أَوْ مَمْلُوكٍ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى صَغِيرٍ أَوْ كَبِيرٍ فَلَمَّا قَدِمَ عَلِيٌّ - رضى الله عنه - رَأَى رُخْصَ السِّعْرِ قَالَ قَدْ أَوْسَعَ اللَّهُ عَلَيْكُمْ فَلَوْ جَعَلْتُمُوهُ صَاعًا مِنْ كُلِّ شَىْءٍ . قَالَ حُمَيْدٌ وَكَانَ الْحَسَنُ يَرَى صَدَقَةَ رَمَضَانَ عَلَى مَنْ صَامَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:১৮১৮
২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ফিত্বরার বর্ণনা
১৮১৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সদকায়ে ফিতর নির্ধারণ করিয়াছেন রোযাকে অনর্থক কথা ও অশ্লীল ব্যবহার হইতে পবিত্র করার এবং গরীবদের (মুখে) অন্ন দেওয়ার জন্য। —আবু দাউদ
وَعَن ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَكَاةَ الْفِطْرِ طُهْرَ الصِّيَامِ مِنَ اللَّغْوِ وَالرَّفَثِ وَطُعْمَةً لِلْمَسَاكِينِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

তাহকীক:
তাহকীক চলমান