ফয়জুল কালাম
কুরবানির ফজিলত -এর বিষয়সমূহ
৭ টি হাদীস
সুনানে ইবনে মাজা
হাদীস নং: ৩১২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩১২৭
কুরবানীর অধ্যায়
কুরবানী সাওয়াব
৩১২৭। মুহাম্মাদ ইব্ন খালাফ আসকালীন (রাহঃ)....... যায়িদ ইব্ন আরকাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাহাবীগণ বলেন-ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! এই কুরবানী কি? তিনি বলেন, তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আ)-এর সুন্নত তারা পুনরায় জিজ্ঞাসা করেন, হে আল্লাহর রাসূল! এতে আমাদের জন্য কি (সাওয়াব) রয়েছে? তিনি বলেনঃ প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকী রয়েছে। তাঁরা বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! লোমশপশুদের পরিবর্তে কি হবে (এদের পশম তো অনেক বেশী)? তিনি বলেনঃ লোমশপশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে ও একটি করে নেকী রয়েছে।
كتاب الأضاحي
بَاب ثَوَابِ الْأُضْحِيَّةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَلَفٍ الْعَسْقَلاَنِيُّ، حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا سَلاَّمُ بْنُ مِسْكِينٍ، حَدَّثَنَا عَائِذُ اللَّهِ، عَنْ أَبِي دَاوُدَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ قَالَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا هَذِهِ الأَضَاحِيُّ قَالَ " سُنَّةُ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ " . قَالُوا فَمَا لَنَا فِيهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " بِكُلِّ شَعَرَةٍ حَسَنَةٌ " . قَالُوا فَالصُّوفُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " بِكُلِّ شَعَرَةٍ مِنَ الصُّوفِ حَسَنَةٌ " .
তাহকীক:
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং: ১৫০৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০৭
রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে বর্ণিত কুরবানীর অধ্যায়
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
১৫১৩। আহমাদ ইবনে মানী‘ ও হান্নাদ (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মদীনায় দশ বছর অবস্থান করেছেন এবং তিনি (প্রতিবছর) কুরবানীও করেছেন।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
أبواب الأضاحي عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَهَنَّادٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْمَدِينَةِ عَشْرَ سِنِينَ يُضَحِّي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
তাহকীক:
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং: ৭৫৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৫৭
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায়
যিলহজ্জ মাসের দশ দিনের আমলের ফযীলত।
৭৫৫. হান্নাদ (রাহঃ) ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, এমন কোন দিন নাই যে দিনসমূহের নেক আমল আল্লাহর নিকট যিলহজ্জ মাসের এই দশ দিনের নেক আমল অপেক্ষা অধীক প্রিয়। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর পথে জিহাদও কি তদপেক্ষা প্রিয় নয়? রাসূল (ﷺ) বললেনঃ না। আল্লাহর পথে জিহাদও তদপেক্ষা অধীক প্রিয় নয়। তবে কোন ব্যক্তি যদি জান-মাল নিয়ে আল্লাহর পথে বের হয়ে যায় এবং দুটির কিছু নিয়ে আর ফিরে না আসতে পারে তার কথা স্বতন্ত্র। - ইবনে মাজাহ ১৭২৭, বুখারি
এই বিষয়ে ইবনে উমর, আবু হুরায়রা, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর ও জাবির (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-গারীব-সহীহ।
أبواب الصوم عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي الْعَمَلِ فِي أَيَّامِ الْعَشْرِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُسْلِمٍ، هُوَ الْبَطِينُ وَهُوَ ابْنُ عِمْرَانَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ أَيَّامٍ الْعَمَلُ الصَّالِحُ فِيهِنَّ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ مِنْ هَذِهِ الأَيَّامِ الْعَشْرِ " . فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَلاَ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَلاَ الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ إِلاَّ رَجُلٌ خَرَجَ بِنَفْسِهِ وَمَالِهِ فَلَمْ يَرْجِعْ مِنْ ذَلِكَ بِشَيْءٍ " . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَجَابِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং: ১৪৭০
- নামাযের অধ্যায়
৪৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৭০। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেন কোরবানীর দিনে বনী আদম এমন কোন কাজ করিতে পারে না যাহা আল্লাহর নিকট রক্ত প্রবাহিত করা (অর্থাৎ, কোরবানী করা) অপেক্ষা প্রিয়তর হইতে পারে। কোরবানীর পশুসকল—উহাদের শিং, উহাদের পশম ও উহাদের খুরসহ কেয়ামতের দিন (কোরবানীকারীর পাল্লায়) আসিয়া হাযির হইবে। এবং কোরবানীর পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বেই আল্লাহর নিকট সম্মানের স্থানে পৌঁছিয়া যায়। সুতরাং তোমরা প্রফুল্লচিত্তে কোরবানী করিবে। — তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্
كتاب الصلاة
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا عَمِلَ ابْنُ آدَمَ مِنْ عَمَلٍ يَوْمَ النَّحْرِ أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ مِنْ إِهْرَاقِ الدَّمِ وَإِنَّهُ لَيُؤْتَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقُرُونِهَا وَأَشْعَارِهَا وَأَظْلَافِهَا وَإِنَّ الدَّمَ لَيَقَعُ مِنَ الله بمَكَان قبل أَن يَقع بِالْأَرْضِ فيطيبوا بهَا نفسا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه
তাহকীক:
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং: ৭৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭৫৮
নবীজী ﷺ থেকে বর্ণিত রোযার অধ্যায়
যিলহজ্জ মাসের (প্রথম) দশকে রোযা পালন।
৭৫৬. আবু বকর ইবনে নাফি আল বসরী (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (ﷺ) বলেন, এমন কোন দিন নাই যে দিনসমূহের ইবাদত আল্লাহর নিকট যিলহজ্জ মাসের দশ দিনের ইবাদত অপেক্ষা অধিক প্রিয়। এর প্রতিটি দিনের রোযা এক বছরের রোযার সমতুল্য। এর প্রতিটি রাতের ইবাদত লায়লাতুল কাদরের ইবাদতের সমতুল্য। - ইবনে মাজাহ ১৭২৮
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-গারীব। রাবী মাসউদ ইবনে ওয়াসিল-নাহ্হাস সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমরা কিছু জানিনা। মুহাম্মাদ আল-বুখারী (রাহঃ) কে এই হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনিও এই সূত্র ছাড়া অনুরূপ কিছু পরিচয় দিতে পারেন নি। তিনি বলেন, কাতাদা-সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে উক্ত হাদীসের কিছু অংশ মুরসাল রিওয়ায়াতে বর্ণিত আছে। ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) নাহ্হাস ইবনে কাহম এর স্মৃতিশক্তির সমালোচনা করেছেন।
أبواب الصوم عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
باب مَا جَاءَ فِي صِيَامِ الْعَشْرِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مَسْعُودُ بْنُ وَاصِلٍ، عَنْ نَهَّاسِ بْنِ قَهْمٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا مِنْ أَيَّامٍ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ أَنْ يُتَعَبَّدَ لَهُ فِيهَا مِنْ عَشْرِ ذِي الْحِجَّةِ يَعْدِلُ صِيَامُ كُلِّ يَوْمٍ مِنْهَا بِصِيَامِ سَنَةٍ وَقِيَامُ كُلِّ لَيْلَةٍ مِنْهَا بِقِيَامِ لَيْلَةِ الْقَدْرِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مَسْعُودِ بْنِ وَاصِلٍ عَنِ النَّهَّاسِ . قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَلَمْ يَعْرِفْهُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ مِثْلَ هَذَا . وَقَالَ قَدْ رُوِيَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً شَيْءٌ مِنْ هَذَا . وَقَدْ تَكَلَّمَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ فِي نَهَّاسِ بْنِ قَهْمٍ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .
তাহকীক:
সুনানে নাসায়ী
হাদীস নং: ৪৩৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৬৫
কুরবানীর অধ্যায়
যে কুরবানীর পশু না পায়
৪৩৬৬. ইউনুস ইবনে আব্দুল আ’লা (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এক ব্যক্তিকে বললেনঃ কুরবানীর দিনকে ঈদের দিন করার জন্য আমাকে আদেশ করা হয়েছে। আল্লাহ্ তাআলা এই উম্মতের জন্য একে সাব্যস্ত করেছেন। তখন ঐ ব্যক্তি বললোঃ যদি আমি দুধপান করার জন্য অন্যের দান করা পশু ব্যতীত অন্য কিছু না পাই, তা হলে কি আমি তা-ই কুরবানী করবো? তিনি বললেনঃ না, কিন্তু তুমি তোমার চুল, নখ কেটে ফেলবে এবং গোঁফ ছোট করবে এবং তোমার নাভির নীচের পশম কামাবে; এটাই হবে আল্লাহর নিকট তোমার কুরবানীর পূর্ণতা।
كتاب الضحايا
بَاب مَنْ لَمْ يَجِدْ الْأُضْحِيَّةَ
أَخْبَرَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ وَذَكَرَ آخَرِينَ عَنْ عَيَّاشِ بْنِ عَبَّاسٍ الْقِتْبَانِيِّ عَنْ عِيسَى بْنِ هِلَالٍ الصَّدَفِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِرَجُلٍ أُمِرْتُ بِيَوْمِ الْأَضْحَى عِيدًا جَعَلَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ فَقَالَ الرَّجُلُ أَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ أَجِدْ إِلَّا مَنِيحَةً أُنْثَى أَفَأُضَحِّي بِهَا قَالَ لَا وَلَكِنْ تَأْخُذُ مِنْ شَعْرِكَ وَتُقَلِّمُ أَظْفَارَكَ وَتَقُصُّ شَارِبَكَ وَتَحْلِقُ عَانَتَكَ فَذَلِكَ تَمَامُ أُضْحِيَّتِكَ عِنْدَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ
তাহকীক:
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ৪৯৫৫
- কুরবানীর অধ্যায়
৭. যে ব্যক্তি যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশদিনে প্রবেশ করলো এবং কুরবানী দেওয়ার ইচ্ছা করলো তার জন্য চুল ও নখ কাটা নিষেধ
৪৯৫৫। ইবনে আবু উমর আল-মক্কী (রাহঃ) ......... উম্মে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ যখন (যিলহজ্জ মাসের) প্রথম দশদিন উপস্থিত হয়, আর তোমাদের কেউ কুরবানী করার ইচ্ছা করে, তবে সে যেন তার চুল ও নখের কিছু স্পর্শ (কর্তন) না করে।
সুফিয়ান (রাহঃ) কে বলা হলো, কেউ কেউ তো হাদীসটিকে মারফু’ (সরাসরি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে) বর্ণনা করে না। তিনি বললেন, আমি কিন্তু মারফু’-ই (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকেই) বর্ণনা করি।
كتاب الأضاحى
باب نَهْيِ مَنْ دَخَلَ عَلَيْهِ عَشْرُ ذِي الْحِجَّةِ وَهُوَ مُرِيدُ التَّضْحِيَةِ أَنْ يَأْخُذَ مِنْ شَعْرِهِ أَوْ أَظْفَارِهِ شَيْئًا
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ عَوْفٍ سَمِعَ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيَّبِ، يُحَدِّثُ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا دَخَلَتِ الْعَشْرُ وَأَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يُضَحِّيَ فَلاَ يَمَسَّ مِنْ شَعَرِهِ وَبَشَرِهِ شَيْئًا " . قِيلَ لِسُفْيَانَ فَإِنَّ بَعْضَهُمْ لاَ يَرْفَعُهُ قَالَ لَكِنِّي أَرْفَعُهُ .
তাহকীক: