ফয়জুল কালাম

রোজার ফজিলত -এর বিষয়সমূহ

১১ টি হাদীস

সহীহ বুখারী

হাদীস নং:১৭৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৯৯
১১৮৭. রমযান বলা হবে, না রমযান মাস বলা হবে? আর যাদের মতে উভয়টি বলা যায়।
১৭৭৮। ইয়াহয়া ইবনে বুকায়র (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলতেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ রমযান আসলে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয় আর শৃঙ্খলিত করে দেয়া হয় শয়তানকে।
باب هَلْ يُقَالُ رَمَضَانُ أَوْ شَهْرُ رَمَضَانَ وَمَنْ رَأَى كُلَّهُ وَاسِعًا
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي أَنَسٍ، مَوْلَى التَّيْمِيِّينَ أَنَّ أَبَاهُ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ فُتِّحَتْ أَبْوَابُ السَّمَاءِ، وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ جَهَنَّمَ، وَسُلْسِلَتِ الشَّيَاطِينُ ".

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:১৬৫৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৬০ -
১৮. কিয়ামে রমযান অর্থাৎ তারাবীহ সম্পর্কে উৎসাহ দান
১৬৫৪। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও সাওয়াবের আশায় রমযানের রোযা পালন করবে তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি লায়লাতুল কাদরে ঈমান ও সাওয়াবের আশায় রাত জাগরণ (ইবাদত) করবে তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ وَهُوَ التَّرَاوِيحُ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، حَدَّثَهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " .

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:১৬৫২
আন্তর্জাতিক নং: ৭৫৯ -
১৮. কিয়ামে রমযান অর্থাৎ রমযান মাসে রাতের ইবাদত সম্পর্কে উৎসাহ দান
১৬৫২। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও নিষ্ঠার সাথে (সাওয়াব প্রাপ্তির বিশ্বাস নিয়ে) রমযানে রাত্রি জাগরণ করে (তারাবীহ পড়ে), তার পূর্ববর্তী গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ وَهُوَ التَّرَاوِيحُ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ " .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:১৯৫৯
প্রথম অনুচ্ছেদ
১৯৫৯। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন মানব সন্তানের নেক আমল বাড়ান হইয়া থাকে; প্রত্যেক নেক আমল দশ গুণ হইতে সাত শত গুণ পর্যন্ত। আল্লাহ্ তা'আলা বলেন: রোযা ব্যতীত। কেননা, রোযা আমারই জন্য এবং আমিই উহার প্রতিফল দান করিব (যত ইচ্ছা তত)। সে আমারই জন্য আপন প্রবৃত্তি ও খানা-পিনার জিনিস ত্যাগ করে। রোযাদারের জন্য দুইটি (প্রধান) আনন্দ রহিয়াছে, একটি তাহার ইফতারের সময় এবং অপরটি বেহেশতে আপন পরওয়ারদেগারের সাক্ষাৎ লাভের সময়। নিশ্চয় রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মেশকের যুশ্ব অপেক্ষাও অধিক সুগন্ধময়। রোযা হইতেছে মানুষের জন্য (দোযখের আগুন হইতে রক্ষার) ঢালস্বরূপ। সুতরাং যখন তোমাদের কাহারও রোযার দিন আসে, সে যেন অশ্লীল কথা না বলে এবং অনর্থ শোরগোল না করে। যদি কেহ তাহাকে গালি দেয় অথবা তাহার সাথে ঝগড়া করিতে চায়, সে যেন বলে, আমি একজন রোযাদার। মোত্তাঃ
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ الْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: إِلَّا الصَّوْمَ فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ يَدَعُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ مِنْ أَجْلِي لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ: فَرْحَةٌ عِنْدَ فِطْرِهِ وَفَرْحَةٌ عِنْدَ لِقَاءِ رَبِّهِ وَلَخُلُوفِ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ وَالصِّيَامُ جُنَّةٌ وَإِذَا كَانَ يَوْمُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ فَلَا يَرْفُثْ وَلَا يصخب وفإن سَابَّهُ أَحَدٌ أَوْ قَاتَلَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّي امْرُؤٌ صَائِم
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:৬৮২
আন্তর্জাতিক নং: ৬৮২
রমযান মাসের ফযীলত।
৬৭৯. আবু কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনে আলা ইবনে কুরায়ব (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ রমযান মাসের প্রথম রাতেই শয়তান ও দুষ্ট জ্বীনদের শৃঙখলাবদ্ধ করে ফেলা হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়, এর একটি দরজাও তখন আর খোলা হয় না; জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়, এর একটি দরজাও আর বন্ধ করা হয় না। আর একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকেনঃ হে কল্যাণকামী! অগ্রসর হও। হে পাপাসক্ত! বিরত হও। আর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রয়েছে জাহান্নাম থেকে বহু লোককে মুক্তি দান। প্রত্যেক রাতেই এরূপ হতে থাকে। - ইবনে মাজাহ ১৬৪২ এ বিষয়ে আব্দুর রহমান ইবনে আওফ ইবনে মাসউদ ও সালমান (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ بْنِ كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ صُفِّدَتِ الشَّيَاطِينُ وَمَرَدَةُ الْجِنِّ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ فَلَمْ يُفْتَحْ مِنْهَا بَابٌ. وَفُتِّحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ فَلَمْ يُغْلَقْ مِنْهَا بَابٌ وَيُنَادِي مُنَادٍ يَا بَاغِيَ الْخَيْرِ أَقْبِلْ وَيَا بَاغِيَ الشَّرِّ أَقْصِرْ وَلِلَّهِ عُتَقَاءُ مِنَ النَّارِ وَذَلِكَ كُلَّ لَيْلَةٍ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَسَلْمَانَ .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:১৯৬৩
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
১৯৬৩। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ রোযা এবং কুরআন (কিয়ামতে) আল্লাহর নিকট বন্দার জন্য সুপারিশ করিবে। রোযা বলিবে, আয় পরওয়ারদেগার! আমি তাহাকে দিনে তাহার খানা ও প্রবৃত্তি হইতে বাধা দিয়াছি। সুতরাং তাহার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন এবং কুরআন বলিবে, আমি তাহাকে রাতে নিদ্রা হইতে বাধা দিয়াছি। সুতরাং তাহার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। অতএব, উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হইবে। —বায়হাকী শোআবুল ঈমানে
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: الصِّيَامُ وَالْقُرْآنُ يَشْفَعَانِ لِلْعَبْدِ يَقُولُ الصِّيَامُ: أَيْ رَبِّ إِنِّي مَنَعْتُهُ الطَّعَامَ وَالشَّهَوَاتِ بِالنَّهَارِ فَشَفِّعْنِي فِيهِ وَيَقُولُ الْقُرْآنُ: مَنَعْتُهُ النُّوْمَ بِاللَّيْلِ فَشَفِّعْنِي فِيهِ فيشفعان . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

সুনানে ইবনে মাজা

হাদীস নং:১৬৪৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৪
রামাযান মাসের ফযীলত
১৬৪৪। আবু বদর 'আব্বাদ ইবন ওয়ালীদ (রাহঃ).....আনাস ইবন মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রামাযান মাস এলো, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের কাছে এ মাস এসেছে। আর এতে রয়েছে এমন এক রাত, যা হাজার মাস থেকে উত্তম। এ থেকে বঞ্চিত ব্যক্তি তো সমস্ত কল্যাণ থেকে বঞ্চিত। এর কল্যাণ থেকে যে ব্যক্তি বঞ্চিত, সে প্রকৃত পক্ষেই বঞ্চিত।
بَاب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ عَبَّادُ بْنُ الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِلَالٍ حَدَّثَنَا عِمْرَانُ الْقَطَّانُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ دَخَلَ رَمَضَانُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِنَّ هَذَا الشَّهْرَ قَدْ حَضَرَكُمْ وَفِيهِ لَيْلَةٌ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ مَنْ حُرِمَهَا فَقَدْ حُرِمَ الْخَيْرَ كُلَّهُ وَلَا يُحْرَمُ خَيْرَهَا إِلَّا مَحْرُومٌ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:১৯৬৫
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
১৯৬৫। হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমাদিগকে শা'বান মাসের শেষ তারিখে ভাষণ দান করিলেন এবং বলিলেনঃ হে মানবমণ্ডলি ! তোমাদের প্রতি ছায়া বিস্তার করিয়াছে একটি মহান মাস – মোবারক মাস, এমন মাস যাহাতে একটি রাত রহিয়াছে হাজার মাস অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ। আল্লাহ্ উহার রোযাসমূহকে করিয়াছেন (তোমাদের উপর) ফরয এবং উহার রাত্রিতে নামায পড়াকে করিয়াছেন (তোমাদের জন্য) নফল। যে ব্যক্তি সে মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে একটি নফল কাজ করিল, সে ঐ ব্যক্তির সমান হইল, যে অন্য মাসে একটি ফরয আদায় করিল। আর যে ব্যক্তি সে মাসে একটি ফরয আদায় করিল, সে ঐ ব্যক্তির সমান হইল, যে অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করিল। উহা সবরের মাস আর সবরের সওয়ার হইল বেহেশত। উহা সহানুভূতি প্রদর্শনের মাস। ইহা সেই মাস যাহাতে মু'মিনের রিযিক বাড়াইয়া দেওয়া হয়। যে ঐ মাসে কোন রোযাদারকে ইফতার করাইবে, উহা তাহার জন্য তাহার গোনাহসমূহের ক্ষমাস্বরূপ হইবে এবং দোযখের আগুন হইতে মুক্তির কারণ হইবে। এছাড়া তাহার সওয়াব হইবে সেই রোযাদার ব্যক্তির সমান অথচ রোযাদারের সওয়াবও কম হইবে না। সাহাবীগণ বলেন, আমরা বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তি তো এমন সামর্থ্য রাখে না, যদ্দ্বারা রোযাদারকে ইফতার করাইতে পারে ? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেন, আল্লাহ্ তা'আলা এই সওয়াব দান করিবেন যে রোযাদারকে ইফতার করায় এক চুমুক দুধ দ্বারা অথবা একটি খেজুর দ্বারা অথবা এক চুমুক পানি দ্বারা। আর যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে তৃপ্তির সাথে খাওয়ায়, আল্লাহ্ তা'আলা তাহাকে আমার হাওয (কাওসার) হইতে পানীয় পান করাইবেন যাহার পর পুনরায় সে তৃষ্ণার্ত হইবে না জান্নাতে প্রবেশ পর্যন্ত। উহা এমন মাস যাহার প্রথম দিক রহমত, মধ্যম দিক মাগফিরাত আর শেষ দিক হইতেছে দোযখ হইতে মুক্তি। আর যে এই মাসে আপন দাস-দাসীদের (অধীনদের) প্রতি কার্যভার লাঘব করিয়া দিবে আল্লাহ্ তা'আলা তাহাকে মাফ করিয়া দিবেন এবং তাহাকে দোযখ হইতে মুক্তি দান করিবেন।
وَعَن سلمَان قَالَ: خَطَبَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آخِرِ يَوْمٍ مِنْ شَعْبَانَ فَقَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ أَظَلَّكُمْ شَهْرٌ عَظِيمٌ مُبَارَكٌ شَهْرٌ فِيهِ لَيْلَةٌ خَيْرٌ مَنْ أَلْفِ شهر جعل الله تَعَالَى صِيَامَهُ فَرِيضَةً وَقِيَامَ لَيْلِهِ تَطَوُّعًا مَنْ تَقَرَّبَ فِيهِ بخصلة من الْخَيْرِ كَانَ كَمَنْ أَدَّى فَرِيضَةً فِيمَا سِوَاهُ وَمَنْ أَدَّى فَرِيضَةً فِيهِ كَانَ كَمَنْ أَدَّى سَبْعِينَ فَرِيضَةً فِيمَا سِوَاهُ وَهُوَ شَهْرُ الصَّبْرِ وَالصَّبْر ثَوَابه الْجنَّة وَشهر الْمُوَاسَاة وَشهر يزْدَاد فِيهِ رِزْقُ الْمُؤْمِنِ مَنْ فَطَّرَ فِيهِ صَائِمًا كَانَ لَهُ مَغْفِرَةً لِذُنُوبِهِ وَعِتْقَ رَقَبَتِهِ مِنَ النَّارِ وَكَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أَجْرِهِ شَيْءٌ» قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ لَيْسَ كلنا يجد مَا نُفَطِّرُ بِهِ الصَّائِمَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يُعْطِي اللَّهُ هَذَا الثَّوَابَ مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا عَلَى مَذْقَةِ لَبَنٍ أَوْ تَمْرَةٍ أَوْ شَرْبَةٍ مِنْ مَاءٍ وَمَنْ أَشْبَعَ صَائِمًا سَقَاهُ اللَّهُ مِنْ حَوْضِي شَرْبَةً لَا يَظْمَأُ حَتَّى يَدْخُلَ الْجَنَّةَ وَهُوَ شَهْرٌ أَوَّلُهُ رَحْمَةٌ وَأَوْسَطُهُ مَغْفِرَةٌ وَآخِرُهُ عِتْقٌ مِنَ النَّارِ وَمَنْ خَفَّفَ عَنْ مَمْلُوكِهِ فِيهِ غَفَرَ الله لَهُ وَأعْتقهُ من النَّار» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:৭৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৭৯৭
শীতকালের রোযা।
৭৯৫. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) ...... আমির ইবনে মাসউদ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, শীতকালের রোযা হল অনায়াশলব্ধ গনিমত সম্পদের মত। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি মুরসাল। কারণ, আমির ইবনে মাসউদের রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সঙ্গে সাক্ষাত লাভ ঘটেনি। তিনি হলেন ইবরাহীম ইবনে আমির আল-কুরাশীর পিতা। যার থেকে শু‘বা ও সাওরী (রাহঃ) রিওয়ায়াত করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الصَّوْمِ فِي الشِّتَاءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ نُمَيْرِ بْنِ عَرِيبٍ، عَنْ عَامِرِ بْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْغَنِيمَةُ الْبَارِدَةُ الصَّوْمُ فِي الشِّتَاءِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ مُرْسَلٌ . عَامِرُ بْنُ مَسْعُودٍ لَمْ يُدْرِكِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ وَالِدُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عَامِرٍ الْقُرَشِيِّ الَّذِي رَوَى عَنْهُ شُعْبَةُ وَالثَّوْرِيُّ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

সুনানে ইবনে মাজা

হাদীস নং:১৭৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৭৪৫
সাওম শরীরের যাকাত
১৭৪৫। আবু বকর ও মুহরিয ইবন সালামা আদানী (রাহঃ)....আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ প্রত্যেক বস্তুর যাকাত আছে। আর সাওম হলো শরীরের যাকাত। মুহরিয তার হাদীসে আরো বলেছেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ সাওম সবরের অর্ধাংশ।
بَاب فِي الصَّوْمِ زَكَاةُ الْجَسَدِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ ح و حَدَّثَنَا مُحْرِزُ بْنُ سَلَمَةَ الْعَدَنِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ جَمِيعًا عَنْ مُوسَى بْنِ عُبَيْدَةَ عَنْ جُمْهَانَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِكُلِّ شَيْءٍ زَكَاةٌ وَزَكَاةُ الْجَسَدِ الصَّوْمُ زَادَ مُحْرِزٌ فِي حَدِيثِهِ وَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الصِّيَامُ نِصْفُ الصَّبْرِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:২০৭৪
৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে
২০৭৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে আল্লাহর সন্তোষ লাভের উদ্দেশ্যে এক দিন রোযা রাখিবে, আল্লাহ্ তা'আলা তাহাকে দোযখ হইতে দূরে রাখিবেন একটি কাক – বাচ্চা কাল হইতে অতি বৃদ্ধ হইয়া মৃত্যুবরণ করা পর্যন্ত যতদূর উড়িতে পারে ততদূরে (অর্থাৎ বহুদূরে)। – আহমদ।
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَامَ يَوْمًا ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ بَعَّدَهُ اللَّهُ مِنْ جَهَنَّمَ كَبُعْدِ غُرَابٍ طَائِرٍ وَهُوَ فرخ حَتَّى مَاتَ هرما» . رَوَاهُ أَحْمد
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান