ফয়জুল কালাম
জুমার দিনের ফজিলত -এর বিষয়সমূহ
৫ টি হাদীস
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ১৮৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ৮৫৪ - ১
- জুমআ সংক্রান্ত অধ্যায়
৪. জুমআর দিনের ফযীলত
১৮৪৯। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে দিনগুলোতে সূর্য উদয় হয় তন্মধ্যে জুমআর দিনই সর্বোত্তম। সেদিনে আদম (আলাইহিস সালাম)-কে সৃষ্টি করা হয়। সে দিনে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং সেদিনে জান্নাত হতে বের করা হয়।
كتاب الجمعة
باب فَضْلِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
وَحَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ عَلَيْهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ أُدْخِلَ الْجَنَّةَ وَفِيهِ أُخْرِجَ مِنْهَا " .
তাহকীক:
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ১৮৪৩
আন্তর্জাতিক নং: ৮৫২ - ২
- জুমআ সংক্রান্ত অধ্যায়
৩. জুমআর দিন দুআ কবুলের মুহূর্ত প্রসঙ্গ
১৮৪৩। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবুল কাসিম (ﷺ) বলেছেন, জুমআর (দিবসে) এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, কোন মুসলিম বান্দা নামাযে দাঁড়ান অবস্থায় সে মুহূর্তটি পেলে এবং আল্লাহর নিকট কোন কল্যাণ প্রার্থনা করলে, আল্লাহ অবশ্যই তাকে তা দিবেন। তিনি হাতদ্বারা ইশারা করে সময়ের স্বল্পতা বুঝিয়েছেন।
كتاب الجمعة
باب فِي السَّاعَةِ الَّتِي فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ أَبُو الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ فِي الْجُمُعَةِ لَسَاعَةً لاَ يُوَافِقُهَا مُسْلِمٌ قَائِمٌ يُصَلِّي يَسْأَلُ اللَّهَ خَيْرًا إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ." وَقَالَ بِيَدِهِ يُقَلِّلُهَا يُزَهِّدُهَا.
তাহকীক:
সুনানে আবু দাউদ
হাদীস নং: ১০৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ১০৪৬
নামাযের অধ্যায়
২১৩. জুমআর নামাযের বিভিন্ন বিধান।
১০৪৬. আল্-কানবী (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ যে সব দিনে সূর্যোদয় হয় তার মধ্যে জুমআর দিনই উত্তম। ঐ দিনেই আদম (আলাইহিস সালাম) সৃষ্টি হয়েছিলেন, ঐ দিনই তাঁকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়, ঐ দিনই তাঁর তওবা কবুল হয় এবং ঐ দিন তিনি ইন্তিকাল করেন। ঐ দিনই কিয়ামত কায়েম হবে, এই দিন জীন ও ইনসান ব্যতীত সমস্ত প্রাণীকুল সুবহে সাদেক হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত কিয়ামত অনুষ্ঠিত হওয়ার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত থাকবে। এই দিনের মধ্যে এমন একটি সময় নিহিত আছে, তখন কোন মুসলিম বান্দা নামায আদায়ের পর আল্লাহর নিকট যা প্রার্থনা করবে তাই প্রাপ্ত হবে।
কাব (রাযিঃ) বলেন, এইরূপ দুআ কবুলের সময় সারা বছরের মধ্যে মাত্র এক দিন। রাবী বলেন, আমি তাঁকে বললাম, বছরের একটি দিন নয়, বরং এটা প্রতি জুমআর দিনের মধ্যে নিহিত আছে। রাবী বলেন, অতঃপর কাব (রাযিঃ) তার প্রমাণস্বরূপ তাওরাত পাঠ করে বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) সত্য বলেছেন।
আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর আমি বিশিষ্ট সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) এর সাথে সাক্ষাত করি (যিনি ইহুদীদের মধ্যে বিজ্ঞ আলিম ছিলেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন) এবং তাঁকে এ ব্যাপারে অবহিত করি। এই সময় কাব (রাযিঃ)-ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বলেন, দুআ কবুলের সেই বিশেষ সময় সম্পর্কে আমি জ্ঞাত আছি। তখন আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, আমাকে ঐ সময় সম্পর্কে অবহিত করুন।
আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বলেন, তা হল জুমআর দিনের সর্বশেষ সময়। আমি বললাম, তা জুমআর দিনের সর্বশেষ সময় কিরূপে হবে? অথচ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ যে কোন বান্দা নামায আদায়ের পর উক্ত সময়ে দুআ করলে তার দুআ কবুল হবে। অথচ আপনার বর্ণিত সময়ে কোন নামায আদায় করা যায় না। আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি বলেন নি যে, কোন ব্যক্তি নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকলে নামায আদায় না করা পর্যন্ত তাকে নামাযে রত হিসাবে গণ্য করা হয়? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলেনঃ তা ঐ সময়টি।
كتاب الصلاة
باب فَضْلِ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَلَيْلَةِ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَيْرُ يَوْمٍ طَلَعَتْ فِيهِ الشَّمْسُ يَوْمُ الْجُمُعَةِ فِيهِ خُلِقَ آدَمُ وَفِيهِ أُهْبِطَ وَفِيهِ تِيبَ عَلَيْهِ وَفِيهِ مَاتَ وَفِيهِ تَقُومُ السَّاعَةُ وَمَا مِنْ دَابَّةٍ إِلاَّ وَهِيَ مُسِيخَةٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مِنْ حِينَ تُصْبِحُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ شَفَقًا مِنَ السَّاعَةِ إِلاَّ الْجِنَّ وَالإِنْسَ وَفِيهِ سَاعَةٌ لاَ يُصَادِفُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ يُصَلِّي يَسْأَلُ اللَّهَ حَاجَةً إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهَا " . قَالَ كَعْبٌ ذَلِكَ فِي كُلِّ سَنَةٍ يَوْمٌ . فَقُلْتُ بَلْ فِي كُلِّ جُمُعَةٍ . قَالَ فَقَرَأَ كَعْبٌ التَّوْرَاةَ فَقَالَ صَدَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ ثُمَّ لَقِيتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَلاَمٍ فَحَدَّثْتُهُ بِمَجْلِسِي مَعَ كَعْبٍ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ قَدْ عَلِمْتُ أَيَّةَ سَاعَةٍ هِيَ . قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ فَقُلْتُ لَهُ فَأَخْبِرْنِي بِهَا . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ هِيَ آخِرُ سَاعَةٍ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ . فَقُلْتُ كَيْفَ هِيَ آخِرُ سَاعَةٍ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يُصَادِفُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ وَهُوَ يُصَلِّي " . وَتِلْكَ السَّاعَةُ لاَ يُصَلَّى فِيهَا . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَلاَمٍ أَلَمْ يَقُلْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ جَلَسَ مَجْلِسًا يَنْتَظِرُ الصَّلاَةَ فَهُوَ فِي صَلاَةٍ حَتَّى يُصَلِّيَ " . قَالَ فَقُلْتُ بَلَى . قَالَ هُوَ ذَاكَ .
তাহকীক:
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং: ১৩৬৩
- নামাযের অধ্যায়
৪২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জুমুআর সালাত
১৩৬৩। হযরত আবু লুবাবা ইবনে আব্দুল মুনযের (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ জুমুআর দিন সকল দিনের সর্দার দিন এবং সকল দিন অপেক্ষা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত দিন। উহা কোরবানীর দিন ও ঈদুল ফিতরের দিন অপেক্ষাও আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত। উহাতে পাঁচটি (গুরুত্বপূর্ণ) বিষয় রহিয়াছে। উহাতেই আল্লাহ্ পাক আদমকে সৃষ্টি করিয়াছেন, উহাতেই আল্লাহ্ তাঁহাকে যমীনে প্রেরণ করিয়া ছেন এবং উহাতেই তিনি তাঁহাকে মৃত্যু দান করিয়াছেন। উহাতেই এমন একটি মুহূর্ত রহিয়াছে, যদি কোন বান্দা সে মুহূর্তে আল্লাহর নিকট কিছু যাজ্ঞা করে তিনি তাহাকে উহা নিশ্চয় দান করেন, যে পর্যন্ত না সে হারাম কিছু যাত্রা করে এবং উহাতেই কেয়ামত কায়েম হইবে। এমন কোন সম্মানিত ফিরিশতা নাই, আসমান নাই, যমীন নাই, বাতাস নাই, পাহাড় নাই ও সমুদ্র নাই, যে জুমুআর দিন সম্পর্কে ভীত নহে। (কি জানি হঠাৎ কেয়ামত কায়েম হইয়া যায়। ) – ইবনে মাজাহ্
كتاب الصلاة
عَنْ أَبِي لُبَابَةَ بْنِ عَبْدِ الْمُنْذِرِ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ سَيِّدُ الْأَيَّامِ وَأَعْظَمُهَا عِنْدَ اللَّهِ وَهُوَ أَعْظَمُ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ يَوْمِ الْأَضْحَى وَيَوْمِ الْفِطْرِ فِيهِ خَمْسُ خِلَالٍ: خَلَقَ اللَّهُ فِيهِ آدَمَ وَأَهْبَطَ اللَّهُ فِيهِ آدَمُ إِلَى الْأَرْضِ وَفِيهِ تَوَفَّى اللَّهُ آدَمَ وَفِيهِ سَاعَةٌ لَا يَسْأَلُ الْعَبْدُ فِيهَا شَيْئًا إِلَّا أَعْطَاهُ مَا لَمْ يَسْأَلْ حَرَامًا وَفِيهِ تَقُومُ السَّاعَةُ مَا مِنْ مَلَكٍ مُقَرَّبٍ وَلَا سَمَاءٍ وَلَا أَرْضٍ وَلَا رِيَاحٍ وَلَا جِبَالٍ وَلَا بَحْرٍ إِلَّا هُوَ مُشْفِقٌ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ . رَوَاهُ ابْن مَاجَه
তাহকীক:
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং: ১০৭৪
আন্তর্জাতিক নং: ১০৭৪
জানাযা-কাফন-দাফনের অধ্যায়
জুমআ বারের মৃত্যু।
১০৭৪. মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার ও আবু আমির আকাদী (রাহঃ) .... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যে কোন মুসলিম ব্যক্তি জুমআ বারে বা জুমআর রাতে ইন্তিকাল করবে তাকে আল্লাহ্ তাআলা কবরের ফিতনা থেকে হিফাযত করবেন।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন এই হাদীসটি গারীব। এর সনদ মুত্তাসিল নয়। রাবীআ ইবনে সায়ফ এই হাদীসটিকে আসলে আবু আব্দুর রহমান হুবুল্লী- আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। কারণ, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে রাবীআ ইবনে সায়ফ সরাসরি কিছু শুনেছেন বলে আমরা জানি না।
أبواب الجنائز عن رسول الله ﷺ
باب مَا جَاءَ فِيمَنْ مَاتَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، وَأَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ سَيْفٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَوْ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ إِلاَّ وَقَاهُ اللَّهُ فِتْنَةَ الْقَبْرِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِمُتَّصِلٍ . رَبِيعَةُ بْنُ سَيْفٍ إِنَّمَا يَرْوِي عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَلاَ نَعْرِفُ لِرَبِيعَةَ بْنِ سَيْفٍ سَمَاعًا مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو .
তাহকীক: