ফয়জুল কালাম

জামাআতে ফজরের নামাজ আদায় করা -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:৯৭১
১৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সালাতের পর যিকর-আযকার
৯৭১। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লরাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ফজরের নামায পড়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর স্মরণ করে। তারপর দুই রাকাত নফল নামায আদায় করেছে তার জন্য হজ্জ এবং ওমরাহর সওয়াব তুল্য সওয়াব থাকবে। হযরত আনাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পর বলেছেন, পূর্ণ হজ্জ এবং পূর্ণ ওমরাহর। -তিরমিযী
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى الْفَجْرَ فِي جَمَاعَةٍ ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ» . قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَامَّةٍ تَامَّةٍ تَامَّةٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:৪৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৫
দ্বিপ্রহরের নামায।
৪৭৫. আবু জাফর আস্-সামনানী (রাহঃ) ..... আবু দারদা ও আবু যর (রাযিঃ) এর বরাতে রাসূল (ﷺ) সূত্রে আল্লাহ তাআলা থেকে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেনঃ হে আদম সন্তান! তুমি দিনের শুরুতে আমার জন্য চার রাক’আত (নফল) আদায় করে নাও, আমি দিনের শেষ পর্যন্ত তোমার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাব। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই হাদীসটি হাসান-গারীব।
باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الضُّحَى
حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ السِّمْنَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ بَحِيرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ، عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ، وَأَبِي، ذَرٍّ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " عَنِ اللَّهِ، عَزَّ وَجَلَّ أَنَّهُ قَالَ ابْنَ آدَمَ ارْكَعْ لِي مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ أَكْفِكَ آخِرَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .

সুনানে আবু দাউদ

হাদীস নং:১২৮৭
আন্তর্জাতিক নং: ১২৮৭
৩০৬. বেলা এক প্রহরে চাশতের নামায।
১২৮৭. মুহাম্মাদ ইবনে সালামা (রাহঃ) ..... সাহল ইবনে মুআয (রাহঃ) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যদি কোন ব্যক্তি ফজরের নামাযের পর ভালো কাজে লিপ্ত থেকে সূর্য একটু উপরে উঠার পর দুই রাকআত নামায আদায় করে, তবে তার সমস্ত গুনাহ মার্জিত হবে। যদিও এর পরিমাণ সাগরের ফেনার চাইতেও অধিক হয়।
باب صَلاَةِ الضُّحَى
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ زَبَّانَ بْنِ فَائِدٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ مُعَاذِ بْنِ أَنَسٍ الْجُهَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ قَعَدَ فِي مُصَلاَّهُ حِينَ يَنْصَرِفُ مِنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ حَتَّى يُسَبِّحَ رَكْعَتَىِ الضُّحَى لاَ يَقُولُ إِلاَّ خَيْرًا غُفِرَ لَهُ خَطَايَاهُ وَإِنْ كَانَتْ أَكْثَرَ مِنْ زَبَدِ الْبَحْرِ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:১৩১৬
৩৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইশরাক ও চাশ্‌তের সালাত
১৩১৬। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি পূর্বাহ্নের বার রাকআত নামায পড়িবে, আল্লাহ্ তা'আলা তাহার জন্য বেহেশতে স্বর্ণের একটি কোঠা নির্মাণ করিবেন। -তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ কিন্তু তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব। এ সনদ ছাড়া উহার অন্য কোন সনদ আমাদের জানা নাই।
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى الضُّحَى ثِنْتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً بَنَى اللَّهُ لَهُ قَصْرًا مَنْ ذَهَبٍ فِي الْجَنَّةِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الْوَجْهِ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:১৩১৯
৩৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ইশরাক ও চাশ্‌তের সালাত
১৩১৯। হযরত আয়েশা (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, তিনি যোহার নামায আট রাকআত পড়িতেন, অতঃপর বলিতেন, যদি এ সময় আমার পিতা-মাতা জিন্দা হইয়াও আমার নিকট আসেন (তাঁহাদের দেখিবার জন্যও) আমি উহা ছাড়িব না। — মালেক
وَعَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا كَانَتْ تُصَلِّي الضُّحَى ثَمَانِي رَكَعَاتٍ ثُمَّ تَقُولُ: «لَوْ نُشِرَ لِي أَبَوَايَ مَا تركتهَا» . رَوَاهُ مَالك
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:৪৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৬
দ্বিপ্রহরের নামায।
৪৭৬. মুহাম্মাদ ইবনে আব্দিল আ’লা আল-বসরী (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি চাশতের জোড় নামাযে নিত্য সংরক্ষণ করবে, সমূদ্রের ফেনার মতও যদি তার গুনাহ হয়, তা ক্ষমা করে দেওয়া হবে। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ ওয়াকী, নযর ইবনে শুমায়ল (রাহঃ) প্রমূখ হাদীসশাস্ত্রের ইমাম নাহ্হাস ইবনে কাহম (রাহঃ) সূত্রে এই হাদীসটি বর্ণনা করেন। এই হাদীসটি ছাড়া তার অন্য কোন হাদীস সম্পর্কে আমাদের জানা নেই।
باب مَا جَاءَ فِي صَلاَةِ الضُّحَى
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ نَهَّاسِ بْنِ قَهْمٍ، عَنْ شَدَّادٍ أَبِي عَمَّارٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ حَافَظَ عَلَى شُفْعَةِ الضُّحَى غُفِرَ لَهُ ذُنُوبُهُ وَإِنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى وَكِيعٌ وَالنَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنَ الأَئِمَّةِ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ نَهَّاسِ بْنِ قَهْمٍ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِهِ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান