ফয়জুল কালাম

বিপদকালীন নামাজ -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:১৯৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ৯০১ -
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১৯৬৪। হারামালা ইবনে ইয়াহয়া, আবু তাহির ও মুহাম্মাদ ইবনে সালামা মুরাদী (রাহঃ) ......... নবী (ﷺ) সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবদ্দশায় একবার সূর্যগ্রহণ হয়। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বেরিয়ে মসজিদে গেলেন এবং তিনি দাঁড়ালেন, তাকবীর বললেন, লোকেরা তাঁর পিছনে কাতারবন্দী হয়ে দাড়াল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দীর্ঘ কিরা’আত পাঠ করলেন। তারপর তাকবীর বলে দীর্ঘ রুকু’ করলেন। এরপর মাথা উঠিয়ে "সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা, রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ" বললেন এবং দাঁড়িয়ে দীর্ঘ কিরা’আত পাঠ করলেন, কিন্তু প্রথম কিরা’আতের তুলনায় অনেক কম, এরপর আল্লাহু আকবার বলে দীর্ঘক্ষণ রুকু’ করলেন,কিন্তু প্রথম রুকু হতে কম, তারপর "সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদা, রাব্বানা ওয়া লাকাম হামদ” বললেন এবং সিজদা করলেন। [রাবী আবু তাহির (রাহঃ) সিজদা করার কথা উল্লেখ করেন নি।] এরপর দ্বিতীয় রাকআতও অনুরূপ করলেন। এভাবে তিনি (দু’ রাক’আত) চার রুকু’ সিজদা পূর্ণ করেন। তিনি (নবী (ﷺ)) মসজিদ হতে রেরিয়ে আসার পূর্বেই সূর্য পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। এরপর দাঁড়িয়ে লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদান করলেন। আল্লাহ তাআলার যথাযোগ্য হামদ ও সানা বর্ণনা করত বললেনঃ সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শনালীর মধ্যে দুটি নিদর্শন। কারো জন্ম বা মৃত্যুর কারণে এদের গ্রহণ হয় না। তোমরা যখন গ্রহণ দেখতে পাও, তখন আতঙ্কিত হয়ে নামাযের দিকে ছুটে যেও এবং তিনি আরো বলেন, আল্লাহ তাআলা তোমাদের থেকে (সূর্য) পরিষ্কার না করা পর্যন্ত নামায আদায় করতে থাক। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমি এখানে দাঁড়িয়ে ঐ সকল জিনিস দেখতে পেয়েছি যা তোমাদের সাথে ওয়াদা করা হয়েছে। এমনকি আমি দেখতে পেয়েছিলাম যে, আমি জান্নাতের আঙ্গুরের এক শুচ্ছ নিয়ে আসতে উদ্ধত হয়েছিলাম। যখন তোমরা আমাকে সম্মুখে অগ্রসর হতে দেখেছিলে। রাবী মুরাদী (রাহঃ) أَتَقَدَّمُ বলেছেন। আমি জাহান্নামকে দেখতে পেলাম যে, এক অংশকে গ্রাস করছে। এটা সেই সময় যখন তোমরা আমাকে পিছু হটে আসতে দেখেছো। আমর ইবনে লুহাইকে জাহান্নামে দেখেছি। সে হল ঐ ব্যক্তি যে সর্বপ্রথম দেব-দেবীর নামে ষাড় ছেড়ে দিবার প্রথা চালু করেছিলেন। রাবী আবু তাহির (রাহঃ) ″নামাযের দিকে ছুটে যেও″ পর্যন্ত বর্ণনা করেছেন, পরবর্তী অংশ বর্ণনা করেননি।
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، ح وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْمَسْجِدِ فَقَامَ وَكَبَّرَ وَصَفَّ النَّاسُ وَرَاءَهُ فَاقْتَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قِرَاءَةً طَوِيلَةً ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ قَامَ فَاقْتَرَأَ قِرَاءَةً طَوِيلَةً هِيَ أَدْنَى مِنَ الْقِرَاءَةِ الأُولَى ثُمَّ كَبَّرَ فَرَكَعَ رُكُوعًا طَوِيلاً هُوَ أَدْنَى مِنَ الرُّكُوعِ الأَوَّلِ ثُمَّ قَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ " . ثُمَّ سَجَدَ - وَلَمْ يَذْكُرْ أَبُو الطَّاهِرِ ثُمَّ سَجَدَ - ثُمَّ فَعَلَ فِي الرَّكْعَةِ الأُخْرَى مِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى اسْتَكْمَلَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ وَأَرْبَعَ سَجَدَاتٍ وَانْجَلَتِ الشَّمْسُ قَبْلَ أَنْ يَنْصَرِفَ ثُمَّ قَامَ فَخَطَبَ النَّاسَ فَأَثْنَى عَلَى اللَّهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهَا فَافْزَعُوا لِلصَّلاَةِ " . وَقَالَ أَيْضًا " فَصَلُّوا حَتَّى يُفَرِّجَ اللَّهُ عَنْكُمْ " . وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " رَأَيْتُ فِي مَقَامِي هَذَا كُلَّ شَىْءٍ وُعِدْتُمْ حَتَّى لَقَدْ رَأَيْتُنِي أُرِيدُ أَنْ آخُذَ قِطْفًا مِنَ الْجَنَّةِ حِينَ رَأَيْتُمُونِي جَعَلْتُ أُقَدِّمُ - وَقَالَ الْمُرَادِيُّ أَتَقَدَّمُ - وَلَقَدْ رَأَيْتُ جَهَنَّمَ يَحْطِمُ بَعْضُهَا بَعْضًا حِينَ رَأَيْتُمُونِي تَأَخَّرْتُ وَرَأَيْتُ فِيهَا ابْنَ لُحَىٍّ وَهُوَ الَّذِي سَيَّبَ السَّوَائِبَ " . وَانْتَهَى حَدِيثُ أَبِي الطَّاهِرِ عِنْدَ قَوْلِهِ " فَافْزَعُوا لِلصَّلاَةِ " . وَلَمْ يَذْكُرْ مَا بَعْدَهُ .

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:১৯৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৯১২
১. সূর্যগ্রহণের নামাযে কবরের আযাবের উল্লেখ
১৯৮৯। আবু আমির আশ-আরী আব্দুল্লাহ ইবনে বাররাদ, মুহাম্মাদ ইবনুল আলী (রাহঃ) ......... আবু মুসা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যুগে সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। তিনি দাঁড়ালেন এ আশঙ্কায় যে, কিয়ামতের মহাপ্রলয় বুঝি সংঘটিত হবে। তিনি (তাড়াতাড়ি) মসজিদে এলেন। অত্যন্ত দীর্ঘ কিয়াম, দীর্ঘ রুকু ও দীর্ঘ সিজদার সঙ্গে নামায আদায় করলেন। আমি আর কোন নামাযে কখনো এরূপ দেখিনি। এরপর তিনি (রাসুল) বলেন, আল্লাহর প্রেরিত এসব নিদর্শনাবলী কারো মৃত্যুর জন্য হয় না, কারো জন্মের জন্যও হয় না। তিনি এগুলো প্রেরণ করেন তাঁর বান্দাদের সতর্ক করার জন্য। যখন তোমরা এসব নিদর্শনাবলীর কিছু দেখতে পাও তখন তোমরা আতঙ্কিত হৃদয়ে আল্লাহর যিক্‌র, দুআ ও ইস্তিগফারে মশগুল হও।
باب ذِكْرِ عَذَابِ الْقَبْرِ فِي صَلاَةِ الْخُسُوفِ
حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الأَشْعَرِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَرَّادٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ خَسَفَتِ الشَّمْسُ فِي زَمَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَامَ فَزِعًا يَخْشَى أَنْ تَكُونَ السَّاعَةُ حَتَّى أَتَى الْمَسْجِدَ فَقَامَ يُصَلِّي بِأَطْوَلِ قِيَامٍ وَرُكُوعٍ وَسُجُودٍ مَا رَأَيْتُهُ يَفْعَلُهُ فِي صَلاَةٍ قَطُّ ثُمَّ قَالَ " إِنَّ هَذِهِ الآيَاتِ الَّتِي يُرْسِلُ اللَّهُ لاَ تَكُونُ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ وَلَكِنَّ اللَّهَ يُرْسِلُهَا يُخَوِّفُ بِهَا عِبَادَهُ فَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْهَا شَيْئًا فَافْزَعُوا إِلَى ذِكْرِهِ وَدُعَائِهِ وَاسْتِغْفَارِهِ " . وَفِي رِوَايَةِ ابْنِ الْعَلاَءِ كَسَفَتِ الشَّمْسُ وَقَالَ " يُخَوِّفُ عِبَادَهُ " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:৩৮৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৯১
পরিচ্ছেদ : নবী (ﷺ) -এর সহধর্মিণীগণের ফযীলত৩৮
৩৮৯১। আব্বাস আম্বারী (রাহঃ)... ইকরিমা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : ফজরের সালাতের পর ইবন আব্বাস (রাযিঃ)-কে বলা হল : নবী (ﷺ) -এর অমুক সহধর্মিণীর ইন্তিকাল হয়েছে। তিনি (এ খবর শুনে) কিছু সালাত আদায় করলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল : এ সময়ে কি আপনি সালাত আদায় করছেন? তিনি বললেন : রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কি বলেন নি যে, যখন কোন ভীতিকর নিদর্শন দেখবে, তখনই সালাত আদায় করবে? নবী (ﷺ) -এর সহধর্মিণীর দুনিয়া থেকে প্রস্থান অপেক্ষা ভীতিকর নিদর্শন আর কি হতে পারে? হাদীসটি হাসান- গারীব । এ সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমরা আর কিছু জানি না ।
بَابٌ فِي فَضْلِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
حَدَّثَنَا عَبَّاسٌ العَنْبَرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ كَثِيرٍ العَنْبَرِيُّ أَبُو غَسَّانَ قَالَ: حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ جَعْفَرٍ وَكَانَ ثِقَةً، عَنْ الحَكَمِ بْنِ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، قَالَ: قِيلَ لِابْنِ عَبَّاسٍ بَعْدَ صَلَاةِ الصُّبْحِ مَاتَتْ فُلَانَةُ لِبَعْضِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَجَدَ، فَقِيلَ لَهُ: أَتَسْجُدُ هَذِهِ السَّاعَةَ؟ فَقَالَ: أَلَيْسَ قَدْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا رَأَيْتُمْ آيَةً فَاسْجُدُوا»، فَأَيُّ آيَةٍ أَعْظَمُ مِنْ ذَهَابِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ": «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ، لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ هَذَا الوَجْهِ»