ফয়জুল কালাম

মহিলাদের থেকে বায়আত গ্রহণ করা -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ বুখারী

হাদীস নং:২৫৩০
আন্তর্জাতিক নং: ২৭১১
১৬৮৭. ইসলাম গ্রহণ, আহকাম ও ক্রয়-বিক্রয়ে যে সব শর্ত জায়েয
২৫৩০। ইয়াহয়া ইবনে বুকাইর (রাহঃ) .... মারওয়ান ও মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীগণ থেকে বর্ণনা করেন, সেদিন (সুলহে হুদায়বিয়ার সন্ধির দিন) সুহাইল ইবনে আমর যখন সন্ধিপত্র লিখলেন তখন সুহাইল ইবনে আমর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি এরূপ শর্ত আরোপ করল যে, আমাদের কেউ আপনার কাছে আসলে সে আপনার দ্বীন গ্রহণ করা সত্ত্বেও আপনি তাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিবেন। আর আমাদের ও তার মাঝে হস্তক্ষেপ করবেন না। মুমিনরা এটা অপছন্দ করলেন এবং এতে ক্রুদ্ধ হলেন। সুহাইল এটা ছাড়া সন্ধি করতে অস্বীকার করল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে শর্ত মেনেই সন্ধিপত্র লেখালেন। সেদিন তিনি আবু জানদাল (রাযিঃ) কে তার পিতা সুহাইল ইবনে আমরের কাছে ফেরত দিলেন এবং সে চুক্তি মেয়াদের কালে পুরুষদের মধ্যে যেই এসেছিল মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও তিনি তাকে ফেরত দিলেন। মুমিন মহিলাগণও হিজরত করে আসলেন। সে সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে উম্মে কুলসুম বিনতে উকবা ইবনে আবু মুয়ায়ত (রাযিঃ) ছিলেন। তিনি ছিলেন যুবতী। তাঁর পরিজন তাদের নিকট একা তাকে ফেরত দেওয়ার জন্য নবী (ﷺ) এর কাছে দাবী জানালো। কিন্তু তাকে তিনি তাদের কাছে ফেরত দিলেন না। কেননা, সেই মহিলাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা আয়াত নাযিল করেছিলেনঃ মুমিন মহিলাগণ হিজরত করে তোমাদের কাছে আসলে তাদের তোমরা পরীক্ষা কর। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্বন্ধে সম্যক অবগত আছেন। যদি তোমরা জানতে পার যে, তারা মুমিন হবে তাদেরকে কাফিরদের নিকট ফেরত পাঠাবে না (৬০ঃ ১০)। উরওয়া (রাযিঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (ﷺ) ...يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا جَاءَكُمْالْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ এই আয়াতের ভিত্তিতেই তাদের পরীক্ষা করে দেখতেন। উরওয়া (রাযিঃ) বলেন, আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, তাদের মধ্যে যারা এই শর্তে সম্মত হতো তাকে রাসূল (ﷺ) শুধু এ কথা বলতেন, আমি তোমাকে বায়আত করলাম। আল্লাহর কসম! বায়আত গ্রহণে তার হাত কখনো কোন মহিলার হাত স্পর্শ করেনি। তিনি তাদের শুধু (মুখের) কথার মাধ্যমে বায়আত করেছেন।
باب مَا يَجُوزُ مِنَ الشُّرُوطِ فِي الإِسْلاَمِ وَالأَحْكَامِ وَالْمُبَايَعَةِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ مَرْوَانَ، وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، رضى الله عنهما يُخْبِرَانِ عَنْ أَصْحَابِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَمَّا كَاتَبَ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو يَوْمَئِذٍ كَانَ فِيمَا اشْتَرَطَ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ لاَ يَأْتِيكَ مِنَّا أَحَدٌ وَإِنْ كَانَ عَلَى دِينِكَ إِلاَّ رَدَدْتَهُ إِلَيْنَا، وَخَلَّيْتَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهُ. فَكَرِهَ الْمُؤْمِنُونَ ذَلِكَ، وَامْتَعَضُوا مِنْهُ، وَأَبَى سُهَيْلٌ إِلاَّ ذَلِكَ، فَكَاتَبَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلَى ذَلِكَ، فَرَدَّ يَوْمَئِذٍ أَبَا جَنْدَلٍ عَلَى أَبِيهِ سُهَيْلِ بْنِ عَمْرٍو، وَلَمْ يَأْتِهِ أَحَدٌ مِنَ الرِّجَالِ إِلاَّ رَدَّهُ فِي تِلْكَ الْمُدَّةِ، وَإِنْ كَانَ مُسْلِمًا، وَجَاءَ الْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ، وَكَانَتْ أُمُّ كُلْثُومٍ بِنْتُ عُقْبَةَ بْنِ أَبِي مُعَيْطٍ مِمَّنْ خَرَجَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَئِذٍ وَهْىَ عَاتِقٌ، فَجَاءَ أَهْلُهَا يَسْأَلُونَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَرْجِعَهَا إِلَيْهِمْ، فَلَمْ يَرْجِعْهَا إِلَيْهِمْ لِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فِيهِنَّ (إِذَا جَاءَكُمُ الْمُؤْمِنَاتُ مُهَاجِرَاتٍ فَامْتَحِنُوهُنَّ اللَّهُ أَعْلَمُ بِإِيمَانِهِنَّ) إِلَى قَوْلِهِ (وَلاَ هُمْ يَحِلُّونَ لَهُنَّ).

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:১৫৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৫৯৭
মহিলাদের বায়আত।
১৬০৩। কুতায়বা (রাহঃ) ......... উমায়মা বিনতে রুকায়কা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি কতক মহিলাদের সাথে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে বায়আত হয়েছিলাম। তিনি আমাদের বললেন, যতটুকু তোমরা পারো সক্ষম হও (তদানুসারে কাজগুলি করবে)। আমি বললাম আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আমাদের বিষয়ে খোদ আমাদের চেয়েও অধিক দয়ালু। অনন্তর আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাদের বায়আত দিন। বর্ণনাকারী সুফিয়ান বলেন, অর্থাৎ আমাদের হাত ধরে বায়আত করুন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, একজন মহিলাকে আমার কিছু বলা একশ’ মহিলাকে বলার মতই। ইবনে মাজাহ ২৮৭৪ এই বিষয়ে আয়িশা, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ও আসমা বিনতে ইয়াযীদ (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এই হাদীসটি হাসান-সহীহ। মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির (রাহঃ) এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। সুফিয়ান সাওরী, মালিক ইবনে আনাস প্রমুখ (রাহঃ) হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির (রাহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আমি মুহাম্মাদ (বুখারী)-কে এই হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বলেন, এই হাদীসটি ছাড়া উমায়মা বিনতে রুকায়কার অন্য কোন হাদীস আমার জানা নেই। উমায়মা নামে অন্য এক মহিলা আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে যার হাদীস রয়েছে।
باب مَا جَاءَ فِي بَيْعَةِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، سَمِعَ أُمَيْمَةَ بِنْتَ رُقَيْقَةَ، تَقُولُ بَايَعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي نِسْوَةٍ فَقَالَ لَنَا " فِيمَا اسْتَطَعْتُنَّ وَأَطَقْتُنَّ " . قُلْتُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَرْحَمُ بِنَا مِنَّا بِأَنْفُسِنَا . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ بَايِعْنَا . قَالَ سُفْيَانُ تَعْنِي صَافِحْنَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا قَوْلِي لِمِائَةِ امْرَأَةٍ كَقَوْلِي لاِمْرَأَةٍ وَاحِدَةٍ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ . وَرَوَى سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَمَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ نَحْوَهُ . قَالَ وَسَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقَالَ لاَ أَعْرِفُ لأُمَيْمَةَ بِنْتِ رُقَيْقَةَ غَيْرَ هَذَا الْحَدِيثِ . وَأُمَيْمَةُ امْرَأَةٌ أُخْرَى لَهَا حَدِيثٌ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা