ফয়জুল কালাম

তাওবা -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং: ৬৬১৩
- যিকর, দুআ, তাওবা ও ইসতিগফারের অধ্যায়
১৩. তাওবার বর্ণনা
৬৬১৩। আবু বকর ইবনে আবি শাঈবা (রাহঃ) ......... আবু বুরদাহ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ) এর সাহাবী আগারর (রাযিঃ) থেকে শুনেছি যে, ইবনে উমর (রাযিঃ) হাদীস বর্ণনা করেছিলেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবা কর। কেননা আমি আল্লাহর কাছে দৈনিক একশ’ বার তাওবা করে থাকি।
كتاب الذكر والدعاء والتوبة والاستغفار
باب في التوبة
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي، بُرْدَةَ قَالَ سَمِعْتُ الأَغَرَّ، وَكَانَ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يُحَدِّثُ ابْنَ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا أَيُّهَا النَّاسُ تُوبُوا إِلَى اللَّهِ فَإِنِّي أَتُوبُ فِي الْيَوْمِ إِلَيْهِ مِائَةَ مَرَّةٍ " .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ২৩৩০
- যাবতীয় দোয়া-যিক্‌র
২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৩০। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়া -ছেনঃ যখন বান্দা গোনাহ স্বীকার করে এবং মাফ চাহে, আল্লাহ্ উহা কবুল করেন। —মোত্তাঃ
كتاب الدعوات
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «إِنَّ الْعَبَدَ إِذَا اعْتَرَفَ ثُمَّ تَابَ تَابَ الله عَلَيْهِ»
tahqiq

তাহকীক:

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ২৩৬৩
- যাবতীয় দোয়া-যিক্‌র
২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৬৩। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ গোনাহ্ হইতে তওবাকারী তাহার ন্যায় যাহার কোন গোনাহ্ নাই। —ইবনে মাজাহ্ বায়হাকী শো'আবুল ঈমানে বলেন, নাহরানী ইহা একা বর্ণনা করিয়াছেন, অথচ তিনি হইলেন ‘মাজহুল' ব্যক্তি। শরহুস্ সুন্নাহ্য় বাগাবী ইহাকে মউকুফ অর্থাৎ, আব্দুল্লাহর কথা হিসাবে বর্ণনা করিয়াছেন। আব্দুল্লাহ্ বলিয়াছেন, “অনুশোচনাই হইল তওবা আর তওবাকারী হইল তাহার ন্যায় যাহার কোন গোনাহ্ নাই ।”
كتاب الدعوات
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبَ مِنَ الذَّنْبِ كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ وَقَالَ تَفَرَّدَ بِهِ النَّهْرَانَيُّ وَهُوَ مَجْهُولٌ. وَفِي (شَرْحِ السُّنَّةِ)

رَوَى عَنْهُ مَوْقُوفًا قَالَ: النَّدَمُ تَوْبَةٌ والتَّائبُ كمن لَا ذَنْبَ لَهُ
tahqiq

তাহকীক:

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ২৩৫৫
- যাবতীয় দোয়া-যিক্‌র
২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৫৫। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ নিশ্চয় মৃত ব্যক্তি হইল সাহায্যপ্রার্থী পানিতে পড়া ব্যক্তির ন্যায়, সে তাহার বাপ, মা, ভাই-বন্ধুর দো'আ পৌঁছার অপেক্ষায় থাকে। যখন তাহার নিকট উহা পৌঁছে, তখন উহা তাহার নিকট সমগ্র দুনিয়া ও উহার সামগ্রী অপেক্ষাও প্রিয়তর হয় এবং আল্লাহ্ তা'আলা কবরবাসীদিগকে যমীনবাসীদের দো'আর কারণে পর্বত-সমতুল রহমত পৌঁছান, আর যিন্দাদের পক্ষ হইতে মুর্দাদের জন্য হাদিয়া হইল তাহাদের জন্য ক্ষমা চাওয়া। —বায়হাকী শোআবুল ঈমানে
كتاب الدعوات
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا الْمَيِّتُ فِي الْقَبْرِ إِلَّا كَالْغَرِيقِ الْمُتَغَوِّثِ يَنْتَظِرُ دَعْوَةً تَلْحَقُهُ مِنْ أَبٍ أَوْ أُمٍّ أَوْ أَخٍ أَوْ صَدِيقٍ فَإِذَا لَحِقَتْهُ كَانَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا وَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى لَيُدْخِلُ عَلَى أَهْلِ الْقُبُورِ مِنْ دُعَاءِ أَهْلِ الْأَرْضِ أَمْثَالَ الْجِبَالِ وَإِنَّ هَدِيَّةَ الْأَحْيَاءِ إِلَى الْأَمْوَاتِ الِاسْتِغْفَارُ لَهُمْ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شعب الْإِيمَان
tahqiq

তাহকীক:

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ২৩৫৪
- যাবতীয় দোয়া-যিক্‌র
২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৫৪। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ আযযা ও জাল্লা বেহেশতে তাঁহার কোন নেক বান্দার মর্যাদা বুলন্দ করিবেন আর সে বলিবে, প্রভু হে! আমার এই মর্যাদা বৃদ্ধি কি কারণে হইল ? তখন আল্লাহ্ বলিবেন, তোমার সন্তান তোমার জন্য ক্ষমা চাওয়ার কারণে। – আহ্‌মদ
كتاب الدعوات
الْفَصْل الثَّالِث
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَيَرْفَعُ الدَّرَجَةَ لِلْعَبْدِ الصَّالِحِ فِي الْجَنَّةِ فَيَقُولُ: يَا رَبِّ أَنَّى لِي هَذِهِ؟ فَيَقُولُ: باستغفار ولدك لَك . رَوَاهُ أَحْمد
tahqiq

তাহকীক:

সুনানে ইবনে মাজা

হাদীস নং: ৪২৫১
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৫১
যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
তাওবা-এর আলোচনা
৪২৫১। আহমাদ ইব্‌ন মানী (রাহঃ)........ আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ সমস্ত আদম সন্তানই গুনাহগার। আর উত্তম গুনাহগার হলো তাওবাকারীরা।
كتاب الزهد
بَاب ذِكْرِ التَّوْبَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مَسْعَدَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏:‏ ‏ "‏ كُلُّ بَنِي آدَمَ خَطَّاءٌ وَخَيْرُ الْخَطَّائِينَ التَّوَّابُونَ ‏"‏ ‏.‏

সুনানে আবু দাউদ

হাদীস নং: ১৫১৪
আন্তর্জাতিক নং: ১৫১৪
নামাযের অধ্যায়
৩৬৭. ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা সম্পর্কে।
১৫১৪. আন- নুফায়লী (রাহঃ) ..... আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ইস্তিগফারের (গুনাহে লিপ্ত হওয়ার পর লজ্জিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা) পরে তওবা করে, তবে তা ইসরার (বারবার) হিসাবে গণ্য হবে না; যদিও সে ব্যক্তি দৈনিক সত্তর বারও এরূপ করে।
كتاب الصلاة
باب فِي الاِسْتِغْفَارِ
حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ وَاقِدٍ الْعُمَرِيُّ، عَنْ أَبِي نُصَيْرَةَ، عَنْ مَوْلًى، لأَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا أَصَرَّ مَنِ اسْتَغْفَرَ وَإِنْ عَادَ فِي الْيَوْمِ سَبْعِينَ مَرَّةً " .