ফয়জুল কালাম
লোকদেখানো ও দুনিয়া অর্জনের জন্য কুরআন তিলাওয়াত করা -এর বিষয়সমূহ
৪ টি হাদীস
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং:২৩৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৮৩
রিয়া এবং যশ কামনা।
২৩৮৬. আবু কুরায়ব (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ জুব্বুল হুজন থেকে তোমরা আল্লাহর কাছে পানাহ চাও। সাহাবীগণ বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, জুব্বুল হুজন কি? তিনি বললেনঃ জাহান্নামের একটি উপত্যকা। এ থেকে খোদ জাহান্নামও প্রতিদিন একশ’ বার পানাহ চায়। বলা হলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, কে তাতে দাখেল হবে। তিনি বললেনঃ ঐসব ক্বারী যারা লোকদের দেখানোর জন্য আমল করে।
باب مَا جَاءَ فِي الرِّيَاءِ وَالسُّمْعَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنِي الْمُحَارِبِيُّ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ سَيْفٍ الضَّبِّيِّ، عَنْ أَبِي مُعَانٍ الْبَصْرِيِّ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " تَعَوَّذُوا بِاللَّهِ مِنْ جُبِّ الْحُزْنِ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا جُبُّ الْحُزْنِ قَالَ " وَادٍ فِي جَهَنَّمَ تَتَعَوَّذُ مِنْهُ جَهَنَّمُ كُلَّ يَوْمٍ مِائَةَ مَرَّةٍ " . قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَنْ يَدْخُلُهُ قَالَ " الْقُرَّاءُ الْمُرَاءُونَ بِأَعْمَالِهِمْ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ.

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
সুনানে আবু দাউদ
হাদীস নং:৮৩০
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩০
১৪৫. নিরক্ষর ও অনারব* লোকদের কিরা’আতের পরিমাণ।
৮৩০. ওয়াহব ইবনে বাকিয়্যা ..... জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা যখন আমরা কিরাআত পাঠে মগ্ন ছিলাম, তখন হঠাৎ সেখানে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আগমন করেন এবং এ সময় আমাদের মধ্যে আরব বেদুইন ও অনারব লোকেরা ছিল। তিনি বলেনঃ তোমরা পাঠ কর, সকলেই উত্তম। কেননা অদুর ভবিষ্যতে এমন সম্প্রদায় নির্গত হবে, যারা কুরআনকে তীরের মত ঠিক করবে (অর্থাৎ তাজবীদ নিয়ে অত্যন্ত বাড়াবাড়ি করবে), তা দ্রুত গতিতে পাঠ করবে, ধীরস্থিরভাবে পড়বে না।**
* সাধারণতঃ সমস্ত লোকদের আজমী বলা হয়, যারা আরব এলাকার বাইরে বসবাস করে এবং আরবী যাদের মাতৃভাষা নয়। আজমী শব্দের আভিধানিক অর্থ হল- মুক্ত। আরবরা অহংকার হেতু অনারব (আরব জগতের বাইরের) লোকদের আজমী বলত। - (অনুবাদক)
** অর্থাৎ নবী করীম (ﷺ) আখেরী যামানার এক শ্রেণীর কুরআন পাঠকদের সম্পর্কে এরূপ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, যারা হিদায়াতের পরিবর্তে স্বীয় যশ, মান ও খ্যাতির জন্য কুরআন পাঠ করবে। এতে তাদের উদ্দেশ্য হবে দুনিয়ার ফায়দা হাসিল করা, আখিরাতের কল্যণ লাভের জন্য তারা সচেষ্ট হবে না।
باب مَا يُجْزِئُ الأُمِّيَّ وَالأَعْجَمِيَّ مِنَ الْقِرَاءَةِ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ حُمَيْدٍ الأَعْرَجِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ نَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَفِينَا الأَعْرَابِيُّ وَالأَعْجَمِيُّ فَقَالَ " اقْرَءُوا فَكُلٌّ حَسَنٌ وَسَيَجِيءُ أَقْوَامٌ يُقِيمُونَهُ كَمَا يُقَامُ الْقِدْحُ يَتَعَجَّلُونَهُ وَلاَ يَتَأَجَّلُونَهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং:২৯১৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৯১৭
যে কুরআনের একটি হরফ পড়বে তার সাওয়াব কী হবে।
২৯১৭. মাহমুদ ইবনে গায়লান (রাহঃ) ..... ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা তিনি এক কুরআন পাঠকারীর পাশ দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলেনঃ সে কুরআন পড়ে পড়ে মানুষের কাছে ভিক্ষা করছিল। তা দেখে তিনি ইন্না লিল্লাহ্... পড়লেন। পরে বললেনঃ আমি নবী (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি কুরআন পড়বে সে যেন আল্লাহর কাছেই কেবল যাচঞা করে। অচিরেই এমন একদল লোকের আবির্ভব ঘটবে যারা কুরআন পড়বে এবং এর ওসীলা দিয়ে মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইবে।
মাহমুদ (রাহঃ) বলেনঃ খায়ছামা বসরী-যার বরাতে জাবির জু’ফী হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন তিনি খায়ছামা ইবনে আব্দুর রহমান নন।এই খায়ছামা (রাহঃ) হলেন একজন বসরী শায়খ। তাঁর কুনিয়াত হল আবু নসর। তিনি আনাস ইবনে মালিক, (রাযিঃ) সূত্রে একাধীক হাদীস বর্ণনা করেছেন। এই খায়ছামা (রাহঃ) থেকে জাবির জু’ফীও হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন।
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنَ القُرْآنِ مَالَهُ مِنَ الأَجْرِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ خَيْثَمَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّهُ مَرَّ عَلَى قَاصٍّ يَقْرَأُ ثُمَّ سَأَلَ فَاسْتَرْجَعَ ثُمَّ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ فَلْيَسْأَلِ اللَّهَ بِهِ فَإِنَّهُ سَيَجِيءُ أَقْوَامٌ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ يَسْأَلُونَ بِهِ النَّاسَ " . وَقَالَ مَحْمُودٌ وَهَذَا خَيْثَمَةُ الْبَصْرِيُّ الَّذِي رَوَى عَنْهُ جَابِرٌ الْجُعْفِيُّ وَلَيْسَ هُوَ خَيْثَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَخَيْثَمَةُ هَذَا شَيْخٌ بَصْرِيٌّ يُكْنَى أَبَا نَصْرٍ قَدْ رَوَى عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَحَادِيثَ وَقَدْ رَوَى جَابِرٌ الْجُعْفِيُّ عَنْ خَيْثَمَةَ هَذَا أَيْضًا أَحَادِيثَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:২২১৭
২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিরাআতের ভিন্নতা ও কুরআন সংকলন প্রসঙ্গে
২২১৭। হযরত বুরায়দা আসলামী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে কোরআন পড়িয়া মানুষের নিকট খাবার মাগিবে, কেয়ামতে সে এমন অবস্থায় উপস্থিত হইবে যে তাহার চেহারায় হাড় থাকিবে, উহার উপর গোশত থাকিবে না। —বায়হাকী শো' আবুল ঈমানে
عَن بُرَيْدَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ يَتَأَكَّلُ بِهِ النَّاسَ جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَوَجْهُهُ عظم لَيْسَ عَلَيْهِ لحم» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان

তাহকীক:
তাহকীক চলমান