ফয়জুল কালাম
ইলম শিক্ষা করা ও প্রচার করার ফজিলত -এর বিষয়সমূহ
৩ টি হাদীস
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:২৫০
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫০। হযরত হাসান বসরী (রহ) হতে মুরসালরূপে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বনী ইস্রাঈলের দু’জন লোক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। এদের একজন ছিলেন আলিম। যিনি ফরজ নামায পড়ে বসতেন। তারপর মানুষকে ইলম শিক্ষা দিতেন। অপর ব্যক্তি সর্বদা রোযা রাখতেন এবং সারারাত নামায পড়তেন। এদের মধ্যে উত্তম কে? এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যে আবেদ সারাদিন রোযা রাখে আর সারারাত নামায পড়ে, তার তুলনায় সেই আলিমের ফজীলত যে ফরয নামায পড়ে বসে, তারপর লোকদেরকে ইলম শিক্ষা দেয় এইরূপ বেশী, যেমন আমার ফজীলত তোমাদের কোন এক সাধারণ ব্যক্তির উপর। -দারেমী
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنْهُ مُرْسَلًا قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ رَجُلَيْنِ كَانَا فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ أَحَدُهُمَا كَانَ عَالِمًا يُصَلِّي الْمَكْتُوبَةَ ثُمَّ يَجْلِسُ فَيُعَلِّمُ النَّاسَ الْخَيْرَ وَالْآخِرُ يَصُومُ النَّهَارَ وَيَقُومُ اللَّيْلَ أَيُّهُمَا أَفْضَلُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فَضْلُ هَذَا الْعَالِمِ الَّذِي يُصَلِّي الْمَكْتُوبَةَ ثُمَّ يَجْلِسُ فَيُعَلِّمُ النَّاسَ الْخَيْرَ عَلَى الْعَابِدِ الَّذِي يَصُومُ النَّهَارَ وَيَقُومُ اللَّيْلَ كَفَضْلِي عَلَى أَدْنَاكُمْ» . رَوَاهُ الدَّارِمِيُّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:২৫৭
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর মসজিদে সাহাবীগণের দুইটি মজলিসের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। (একটি মজলিসে দোয়া করা হচ্ছিল। আর অপর মজলিসে ইলমের আলোচনা চলছিল।) তখন তিনি বললেন, দুইটি মজলিসেই ভাল কাজ চলছে। তবে এর একটি অন্যটির তুলনায় উত্তম। অবশ্য এরা আল্লাহ্কে ডাকছে এবং আল্লাহর প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে। আল্লাহ্ পাক তাদের আকাঙ্ক্ষা ইচ্ছা করলে পূর্ণ করতে পারেন, ইচ্ছা করলে অপূর্ণও রাখতে পারেন; আর এরা যে ইলম শিক্ষা করছে এবং অশিক্ষিতদেরকে শিক্ষাদান করছে এরাই উত্তম। আর আমিই তো শিক্ষাদানকারীরূপে প্রেরিত হয়েছি। এই কথা বলে তিনি এই দলটির মাঝেই বসে গেলেন। -দারেমী
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَرَّ بِمَجْلِسَيْنِ فِي مَسْجِدِهِ فَقَالَ: «كِلَاهُمَا عَلَى خَيْرٍ وَأَحَدُهُمَا أَفْضَلُ مِنْ صَاحِبِهِ أَمَّا هَؤُلَاءِ فَيَدْعُونَ اللَّهَ وَيَرْغَبُونَ إِلَيْهِ فَإِنْ شَاءَ أَعْطَاهُمْ وَإِنْ شَاءَ مَنَعَهُمْ. وَأَمَّا هَؤُلَاءِ فَيَتَعَلَّمُونَ الْفِقْهَ أَوِ الْعِلْمَ وَيُعَلِّمُونَ الْجَاهِلَ فَهُمْ أَفْضَلُ وَإِنَّمَا بُعِثْتُ مُعَلِّمًا» ثمَّ جلس فيهم. رَوَاهُ الدَّارمِيّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:২৫৯
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৯। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (স) আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, দান-খয়রাতের দিক হতে সর্বাপেক্ষা বড় দাতা কে তোমরা বলতে পার কি? সাহাবীগণ বললেন, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই তা সম্যক অবগত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, দানের দিক দিয়ে আল্লাহ্ পাকই হলেন সর্বাপেক্ষা বড় (দানশীল), তারপর আদম সন্তানদের মধ্যে আমিই সর্বাপেক্ষা বড় দানশীল। আমার পর বড় দানশীল হল সেই ব্যক্তি, যে ইলম শিক্ষা করবে এবং তা ছড়িয়ে দিবে। রোজ কিয়ামতে সে একাই একজন আমীর অথবা (বর্ণনাকারীর সন্দেহ) একটি উম্মতরূপে উত্থিত হবে।
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ تَدْرُونَ مَنْ أَجْوَدُ جُودًا؟» قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: «اللَّهُ تَعَالَى أَجْوَدُ جُودًا ثُمَّ أَنَا أَجْوَدُ بَنِي آدَمَ وَأَجْوَدُهُمْ مِنْ بَعْدِي رَجُلٌ عَلِمَ عِلْمًا فَنَشَرَهُ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَمِيرًا وَحده أَو قَالَ أمة وَحده»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান