ফয়জুল কালাম
সুন্নতের বিরোধিতা করে কারও অনুসরণ করা যাবে না -এর বিষয়সমূহ
৩ টি হাদীস
সহীহ বুখারী
হাদীস নং: ৪৬২৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৯৮৬
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
কুরআন সংকলন
৪৬২৫। মুসা ইবনে ইসমা‘ঈল (রাহঃ) ......... যায়দ ইবনে সাবিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়ামামার যদ্ধে বহু লোক শহীদ হবার পর আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) আমাকে ডেকে পাঠালেন। এ সময় উমর (রাযিঃ)ও তাঁর কাছে উপস্থিত ছিলেন। আবু বকর বললেন, উমর (রাযিঃ) আমার কাছে এসে বলেছেন, ইয়ামামার যুদ্ধে শাহাদাত প্রাপ্তদের মধ্যে কারীদের সংখ্যা অনেক। আমি আশঙ্কা করছি, এমনিভাবে যদি কারীগণ শহীদ হয়ে যান, তাহলে কুরআন শরীফের বহু অংশ হারিয়ে যাবে। অতএব আমি মনে করি যে, আপনি কুরআন সংকলনের নির্দেশ দিন। উত্তরে আমি উমর (রাযিঃ) কে বললাম, যে কাজ আল্লাহর রাসূল(ﷺ) করেননি, সে কাজ তুমি কিভাবে করবে? উমর (রাযিঃ) এর জবাবে বললেন, আল্লাহর কসম! এটা একটা উত্তম কাজ। উমর (রাযিঃ) এ কথাটি আমার কাছে বার বার বলতে থাকলে অবশেষে আল্লাহ তাআলা ও কাজের জন্য আমার বক্ষকে প্রশস্ত করে দিলেন এবং এ বিষয়ে উমর যা ভাল মনে করলেন আমিও তাই করলাম।
যায়দ (রাযিঃ) বলেন, আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) আমাকে বললেন, তুমি একজন বুদ্ধিমান যুবক। তোমার ব্যাপারে আমার কোন সংশয় নেই। অধিকন্তু তুমি রাসূল (ﷺ) এর ওহীর লেখক ছিলে। সুতরাং তুমি কুরআন শরীফের অংশগুলোকে তালাশ করে একত্রিত কর। আল্লাহর শপথ! তারা যদি আমাকে একটি পাহাড় এক স্থান হতে অন্যত্র সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিত, তাহলেও তা আমার কাছে কুরআন সংকলেনর নির্দেশের চাইতে কঠিন বলে মনে হত না। আমি বললাম, যে কাজ রাসূল (ﷺ) করেননি, আপনারা সে কাজ কিভাবে করবেন? তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! এটা একটা কল্যাণকর কাজ। এ কথাটি আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ) আমার কাছে বার বার বলতে থাকেন, অবশেষে আল্লাহ পাক আমার বক্ষকে প্রশস্ত ও প্রসন্ন করে দিলেন সে কাজের জন্য, যে কাজের জন্য তিনি আবু বকর এবং উমর (রাযিঃ) এর বক্ষকে প্রশস্ত ও প্রসন্ন করে দিয়েছিলেন।
এরপর আমি কুরআন অনুসন্ধান কাজে আত্মনিয়োগ করলাম এবং খেজুর পাতা, প্রস্তরখণ্ড ও মানুষের বক্ষ থেকে আমি তা সংগ্রহ করতে থাকলাম। এমনকি আমি সূরা তাওবার শেষাংশ আবু খুযায়মা আনসারী (রাযিঃ) থেকে সংগ্রহ করলাম। এ অংশটুকু তিনি ব্যতীত আর কারো কাছে আমি পাইনি। আয়াতগুলো হচ্ছে এইঃ তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের কাছে এক রাসূল (ﷺ) এসেছে। তোমাদেরকে যা বিপন্ন করে তা তাঁর জন্য কষ্টদায়ক। সে তোমাদের মঙ্গলকামী, মু’মিনদের প্রতি সে দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু। এরপর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তুমি বলো, আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নাই। আমি তাঁরই উপর নির্ভর করি এবং তিনি মহান আরশের অধিপতি (১২৮-১২৯)।
তারপর সংকলিত সহীফাসমূহ মৃত্যু পর্যন্ত আবু বকর (রাযিঃ) এর কাছে সংরক্ষিত ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর তা উমর (রাযিঃ) এর কাছে সংরক্ষিত ছিল, যতদিন তিনি জীবিত ছিলেন। এরপর তা উমর-তনয়া হাফসা (রাযিঃ) এর কাছে সংরক্ষিত ছিল।
كتاب فضائل القرآن
باب جَمْعِ الْقُرْآنِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ بْنِ السَّبَّاقِ، أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ أَرْسَلَ إِلَىَّ أَبُو بَكْرٍ مَقْتَلَ أَهْلِ الْيَمَامَةِ فَإِذَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عِنْدَهُ قَالَ أَبُو بَكْرٍ ـ رضى الله عنه ـ إِنَّ عُمَرَ أَتَانِي فَقَالَ إِنَّ الْقَتْلَ قَدِ اسْتَحَرَّ يَوْمَ الْيَمَامَةِ بِقُرَّاءِ الْقُرْآنِ وَإِنِّي أَخْشَى أَنْ يَسْتَحِرَّ الْقَتْلُ بِالْقُرَّاءِ بِالْمَوَاطِنِ، فَيَذْهَبَ كَثِيرٌ مِنَ الْقُرْآنِ وَإِنِّي أَرَى أَنْ تَأْمُرَ بِجَمْعِ الْقُرْآنِ. قُلْتُ لِعُمَرَ كَيْفَ تَفْعَلُ شَيْئًا لَمْ يَفْعَلْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ عُمَرُ هَذَا وَاللَّهِ خَيْرٌ. فَلَمْ يَزَلْ عُمَرُ يُرَاجِعُنِي حَتَّى شَرَحَ اللَّهُ صَدْرِي لِذَلِكَ، وَرَأَيْتُ فِي ذَلِكَ الَّذِي رَأَى عُمَرُ. قَالَ زَيْدٌ قَالَ أَبُو بَكْرٍ إِنَّكَ رَجُلٌ شَابٌّ عَاقِلٌ لاَ نَتَّهِمُكَ، وَقَدْ كُنْتَ تَكْتُبُ الْوَحْىَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَتَتَبَّعِ الْقُرْآنَ فَاجْمَعْهُ فَوَاللَّهِ لَوْ كَلَّفُونِي نَقْلَ جَبَلٍ مِنَ الْجِبَالِ مَا كَانَ أَثْقَلَ عَلَىَّ مِمَّا أَمَرَنِي مِنْ جَمْعِ الْقُرْآنِ قُلْتُ كَيْفَ تَفْعَلُونَ شَيْئًا لَمْ يَفْعَلْهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ هُوَ وَاللَّهِ خَيْرٌ فَلَمْ يَزَلْ أَبُو بَكْرٍ يُرَاجِعُنِي حَتَّى شَرَحَ اللَّهُ صَدْرِي لِلَّذِي شَرَحَ لَهُ صَدْرَ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ فَتَتَبَّعْتُ الْقُرْآنَ أَجْمَعُهُ مِنَ الْعُسُبِ وَاللِّخَافِ وَصُدُورِ الرِّجَالِ حَتَّى وَجَدْتُ آخِرَ سُورَةِ التَّوْبَةِ مَعَ أَبِي خُزَيْمَةَ الأَنْصَارِيِّ لَمْ أَجِدْهَا مَعَ أَحَدٍ غَيْرَهُ (لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِنْ أَنْفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ) حَتَّى خَاتِمَةِ بَرَاءَةَ، فَكَانَتِ الصُّحُفُ عِنْدَ أَبِي بَكْرٍ حَتَّى تَوَفَّاهُ اللَّهُ ثُمَّ عِنْدَ عُمَرَ حَيَاتَهُ ثُمَّ عِنْدَ حَفْصَةَ بِنْتِ عُمَرَ ـ رضى الله عنه ـ.
তাহকীক:
বর্ণনাকারী:
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ২৮৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ১২২৬ - ৫
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
১৯. তামাত্তু হজ্জের বৈধতা
২৮৪৬। মুহাম্মাদ ইবনে মুনান্না ও ইবনে বাশশার (রাহঃ) ......... মুতাররিফ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইমরান ইবনে হুসাইন (রাযিঃ) মৃত্যুকালীন রোগে আমাকে ডেকে পাঠান। তিনি বললেন, আমি তোমাকে কয়েকটি হাদীস বলব, আশা করি আল্লাহ তাআলা আমার পরে তোমাকে এরদ্বারা উপকৃত করবেন। আমি বেচে থাকলে তুমি আমার সূত্রে বর্ণনা করা গোপন রাখবে। আর আমি মারা গেলে তুমি চাইলে তা বর্ণনা করতে পার। আমাকে সালাম করা হতো। জেনে রাখ, আল্লাহর নবী (ﷺ) হজ্জ ও উমরা একত্রে আদায় করেছেন। অতঃপর এ বিষয়ে কোন আয়াতও নাযিল হয়নি এবং নবী (ﷺ) ও তা নিষিদ্ধ করেননি। এক ব্যক্তি (উমর) এ বিষয়ে যা ইচ্ছা করলেন, তা বললেন।
كتاب الحج
باب جَوَازِ التَّمَتُّعِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُطَرِّفٍ، قَالَ بَعَثَ إِلَىَّ عِمْرَانُ بْنُ حُصَيْنٍ فِي مَرَضِهِ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ فَقَالَ إِنِّي كُنْتُ مُحَدِّثَكَ بِأَحَادِيثَ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَنْفَعَكَ بِهَا بَعْدِي فَإِنْ عِشْتُ فَاكْتُمْ عَنِّي وَإِنْ مُتُّ فَحَدِّثْ بِهَا إِنْ شِئْتَ إِنَّهُ قَدْ سُلِّمَ عَلَىَّ وَاعْلَمْ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ جَمَعَ بَيْنَ حَجٍّ وَعُمْرَةٍ ثُمَّ لَمْ يَنْزِلْ فِيهَا كِتَابُ اللَّهِ وَلَمْ يَنْهَ عَنْهَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ رَجُلٌ فِيهَا بِرَأْيِهِ مَا شَاءَ .
তাহকীক:
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং: ২৮৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ১২৩৩ - ১
- হজ্ব - উমরার অধ্যায়
২৪. হাজিদের জন্য তাওয়াফে কুদুম, অতঃপর সাঈ মুস্তাহাব
২৮৬৭। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... ওয়াবারা (রাহঃ) বলেন, আমি ইবনে উমর (রাযিঃ) এর নিকট বসা ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি তার নিকট এসে জিজ্ঞাসা করল, আল-মাওকিফ (আরাফার) এ যাওয়ার পূর্বে বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করা আমার জন্য সঠিক হরে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সে বলল, কিন্তু ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, তুমি বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করো না যে পর্যন্ত না মাওকিফে আস। ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হজ্জ করেছেন এবং মাওকিফে যাওয়ার পূর্বেই বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করেছেন। অতএব তুমি যদি সত্যবাদী হও তবে বল, তোমার কাছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথামত আমল করা উচিত, না ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর কথা মত?
كتاب الحج
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْثَرٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ وَبَرَةَ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ ابْنِ عُمَرَ فَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ أَيَصْلُحُ لِي أَنْ أَطُوفَ بِالْبَيْتِ قَبْلَ أَنْ آتِيَ الْمَوْقِفَ . فَقَالَ نَعَمْ . فَقَالَ فَإِنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ يَقُولُ لاَ تَطُفْ بِالْبَيْتِ حَتَّى تَأْتِيَ الْمَوْقِفَ . فَقَالَ ابْنُ عُمَرَ فَقَدْ حَجَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَطَافَ بِالْبَيْتِ قَبْلَ أَنْ يَأْتِيَ الْمَوْقِفَ فَبِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحَقُّ أَنْ تَأْخُذَ أَوْ بِقَوْلِ ابْنِ عَبَّاسٍ إِنْ كُنْتَ صَادِقًا
তাহকীক: