ফয়জুল কালাম
সকল শ্রেষ্ঠত্ব শুধু আল্লাহর রাসুলের অনুসরণে -এর বিষয়সমূহ
৪ টি হাদীস
সহীহ বুখারী
হাদীস নং:৪৬৯৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫০৬৩
শাদী করতে উৎসাহ দান।
৪৬৯৭। সা‘ঈদ ইবনে আবু মারয়াম (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিন জনের একটি দল রাসূল (ﷺ)-এর ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য রাসূল (ﷺ)-এর বিবিগণের গৃহে আগমন করল। যখন তাঁদেরকে এ সম্পর্কে অবহিত করা হলো, তখন তারা এ ইবাদতের পরিমাণ যেন কম মনে করল এবং বলল, আমরা রাসূল (ﷺ) - এর সমকক্ষ হতে পারি না। কারণ, তার আগে ও পরের সকল গুনাহ্ মাফ করে দেয়া হয়েছে। এমন সময় তাদের মধ্য থেকে একজন বলল, আমি সারা জীবন রাতে নামায আদায় করতে থাকব। অপর একজন বলল, আমি সারা বছর রোযা পালন করব এবং কখনও বিরতি দিব না। অপরজন বলল, আমি নারী বিবর্জিত থাকব-কখনও শাদী করব না।
এরপর রাসূল (ﷺ) তাদের নিকট এলেন এবং বললেন, “তোমরা কি ঐ সকল ব্যক্তি যারা এরূপ কথাবার্তা বলেছ? আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহকে তোমাদের চেয়ে বেশী ভয় করি এবং তোমাদের চেয়ে তাঁর প্রতি আমি বেশী আনুগত্যশীল; অথচ আমি রোযা পালন করি, আবার রোযা থেকে বিরতও থাকি। নামায আদায় করি এবং ঘুমাই ও বিয়ে-শাদী করি। সুতরাং যারা আমার সুন্নতের প্রতি বিরাগ ভাব পোষণ করবে, তারা আমার দলভুক্ত নয়।
باب التَّرْغِيبُ فِي النِّكَاحِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدُ بْنُ أَبِي حُمَيْدٍ الطَّوِيلُ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ جَاءَ ثَلاَثَةُ رَهْطٍ إِلَى بُيُوتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَسْأَلُونَ عَنْ عِبَادَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا أُخْبِرُوا كَأَنَّهُمْ تَقَالُّوهَا فَقَالُوا وَأَيْنَ نَحْنُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَدْ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ. قَالَ أَحَدُهُمْ أَمَّا أَنَا فَإِنِّي أُصَلِّي اللَّيْلَ أَبَدًا. وَقَالَ آخَرُ أَنَا أَصُومُ الدَّهْرَ وَلاَ أُفْطِرُ. وَقَالَ آخَرُ أَنَا أَعْتَزِلُ النِّسَاءَ فَلاَ أَتَزَوَّجُ أَبَدًا. فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " أَنْتُمُ الَّذِينَ قُلْتُمْ كَذَا وَكَذَا أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لأَخْشَاكُمْ لِلَّهِ وَأَتْقَاكُمْ لَهُ، لَكِنِّي أَصُومُ وَأُفْطِرُ، وَأُصَلِّي وَأَرْقُدُ وَأَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ، فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي ".
সহীহ বুখারী
হাদীস নং:৫৬৭১
আন্তর্জাতিক নং: ৬১০১
৩২৩৪. কারো মুখোমুখী তিরস্কার না করা।
৫৬৭১। উমর ইবনে হাফস (রাহঃ) ......... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একবার নবী (ﷺ) নিজে কোন কাজ করলেন এবং অন্যদের তা করার অনুমতি দিলেন। তথাপি একদল লোক তা থেকে বিরত রইল। এ খবর নবী (ﷺ) এর নিকট পৌছলে তিনি ভাষণ দিলেন এবং আল্লাহর প্রশংসার পর বললেনঃ কিছু লোকের কি হয়েছে? তারা এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে চায়, যা আমি নিজে করছি। আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহর সম্পর্কে তাদের চেয়ে অধিক জ্ঞাত এবং আমি তাঁকে তাদের চাইতে অনেক বেশী ভয় করি।
باب مَنْ لَمْ يُوَاجِهِ النَّاسَ بِالْعِتَابِ
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ، عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَتْ عَائِشَةُ صَنَعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا فَرَخَّصَ فِيهِ فَتَنَزَّهَ عَنْهُ قَوْمٌ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَخَطَبَ فَحَمِدَ اللَّهَ ثُمَّ قَالَ " مَا بَالُ أَقْوَامٍ يَتَنَزَّهُونَ عَنِ الشَّىْءِ أَصْنَعُهُ، فَوَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُهُمْ بِاللَّهِ وَأَشَدُّهُمْ لَهُ خَشْيَةً ".

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং:২৪৬৪
আন্তর্জাতিক নং: ১১১০
১৩. জানাবাত অবস্থায় কারো প্রভাত হলে তার রোযা শুদ্ধ হবে
২৪৬৪। ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব, কুতায়বা ও ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফতোয়া জিজ্ঞাসা করার জন্য এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর নিকট এল। এ সময় তিনি দরজার পেছন থেকে কথাগুলো শুনছিলেন। লোকটি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! জানাবাতের অবস্থায় আমার ফজরের নামাযের সময় হয়ে যায়, এমতাবস্থায় আমি রোযা পালন করতে পারি কি? উত্তরে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, জানাবাতের অবস্থায় আমারও ফজরের নামাযের সময় হয়ে যায় আমি তো রোযা পালন করি।
এরপর লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি তো আমাদের মত নন। আল্লাহ তাআলা আপনার পূর্বাপর সমুদয় গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।। তখন তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! আমার আশা, আমি আল্লাহকে তোমাদের চেয়ে সর্বাধিক ভয় করি এবং আমি সর্বাধিক অবগত ঐ বিষয় সম্পর্কে, যা থেকে আমার বিরত থাকা আবশ্যক।
باب صِحَّةِ صَوْمِ مَنْ طَلَعَ عَلَيْهِ الْفَجْرُ وَهُوَ جُنُبٌ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ ابْنُ أَيُّوبَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ، جَعْفَرٍ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، - وَهُوَ ابْنُ مَعْمَرِ بْنِ حَزْمٍ الأَنْصَارِيُّ أَبُو طُوَالَةَ - أَنَّ أَبَا يُونُسَ، مَوْلَى عَائِشَةَ أَخْبَرَهُ عَنْ عَائِشَةَ، - رضى الله عنها - أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَسْتَفْتِيهِ وَهِيَ تَسْمَعُ مِنْ وَرَاءِ الْبَابِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ تُدْرِكُنِي الصَّلاَةُ وَأَنَا جُنُبٌ أَفَأَصُومُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَأَنَا تُدْرِكُنِي الصَّلاَةُ وَأَنَا جُنُبٌ فَأَصُومُ " . فَقَالَ لَسْتَ مِثْلَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ . فَقَالَ " وَاللَّهِ إِنِّي لأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَخْشَاكُمْ لِلَّهِ وَأَعْلَمَكُمْ بِمَا أَتَّقِي " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং:৫২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৫২৭
জুমআর দিন মিসওয়াক করা এবং সুগদ্ধি ব্যবহার করা।
৫২৭. আহমদ ইবনে মানী (রাহঃ) ..... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ রাসূল (ﷺ) একবার আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ)-কে কোন এক অভিযানে প্রেরণ করেন। সে দিন ছিল জুমআর দিন। তার সঙ্গীরা সকলে ভোরেই রওয়ানা হয়ে গেলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রাযিঃ) বলেনঃ আমি পিছনে রয়ে গেলাম। (মনে করলাম) রাসূল (ﷺ)-এর সঙ্গে নামায আদায় করে পরে তাদের সঙ্গে গিয়ে মিলিত হব। যা হোক, তিনি যখন রাসূল (ﷺ)-এর সঙ্গে নামায আদায় করলেন তখন তিনি তাকে দেখনে পেলেন। বললেনঃ তোমার সঙ্গীদের সঙ্গে ভোরে রওয়ানা হতে তোমাকে কে বাধা দিল? তিনি বললেনঃ পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব যদি তুমি বিলিয়ে দাও তবুও তুমি তাদের এই একটি সকালের ফযীলত ধরতে পারবে না।
ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ এই সনদ ছাড়া হাদীসটি সম্পর্কে আমরা জানি না। আলী ইবনে মাদীনী (রাহঃ) বর্ণনা করেন, ইয়াহয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ) বর্ণনা করেছেন যে, শুবা (রাহঃ) বলেনঃ মিকসাম (রাহঃ) থেকে হাকাম (রাহঃ) মাত্র পাঁচটি হাদীস শুনেছেন। এরপর শু’বা (রাহঃ) উক্ত পাঁচটির বিবরণ দেন, কিন্তু এই হাদীসটির উল্লেখ সেখানে নেই। এতে বুঝা যায়, মিকসাম (রাহঃ) থেকে হাকাম (রাহঃ) এই হাদীসটি শুনেননি।
জুমআর দিন (সকালে) সফর করা সম্পর্কে আলিমগণ মতবিরোধ করেছেন। কতক আলিম [ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) সহ] নামাযের ওয়াক্ত না হওয়া পর্যন্ত সফরে রওয়ানা হওয়ায় কোন অসুবিধা আছে বলে বলে মনে করেন না। অপর কতক আলিম বলেনঃ রওয়ানা হতে হতে সকাল হয়ে গেলে জুমআর নামায আদায় না করে বের হবে না।
باب مَا جَاءَ فِي السِّوَاكِ وَالطِّيبِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الْحَجَّاجِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ مِقْسَمٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ فِي سَرِيَّةٍ فَوَافَقَ ذَلِكَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَغَدَا أَصْحَابُهُ فَقَالَ أَتَخَلَّفُ فَأُصَلِّي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ أَلْحَقُهُمْ . فَلَمَّا صَلَّى مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَآهُ فَقَالَ " مَا مَنَعَكَ أَنْ تَغْدُوَ مَعَ أَصْحَابِكَ " . فَقَالَ أَرَدْتُ أَنْ أُصَلِّيَ مَعَكَ ثُمَّ أَلْحَقَهُمْ . قَالَ " لَوْ أَنْفَقْتَ مَا فِي الأَرْضِ جَمِيعًا مَا أَدْرَكْتَ فَضْلَ غَدْوَتِهِمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . قَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِينِيِّ قَالَ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ قَالَ شُعْبَةُ لَمْ يَسْمَعِ الْحَكَمُ مِنْ مِقْسَمٍ إِلاَّ خَمْسَةَ أَحَادِيثَ . وَعَدَّهَا شُعْبَةُ وَلَيْسَ هَذَا الْحَدِيثُ فِيمَا عَدَّ شُعْبَةُ فَكَأَنَّ هَذَا الْحَدِيثَ لَمْ يَسْمَعْهُ الْحَكَمُ مِنْ مِقْسَمٍ . وَقَدِ اخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي السَّفَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَلَمْ يَرَ بَعْضُهُمْ بَأْسًا بِأَنْ يَخْرُجَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِي السَّفَرِ مَا لَمْ تَحْضُرِ الصَّلاَةُ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا أَصْبَحَ فَلاَ يَخْرُجْ حَتَّى يُصَلِّيَ الْجُمُعَةَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান