ফয়জুল কালাম
নবিজির সুন্নতের অনুসরণ ও তার ভালোবাসার নিদর্শন -এর বিষয়সমূহ
৭ টি হাদীস
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:১৭৫
৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৭৫। হযরত আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বললেন, হে বৎস! তুমি যদি সারাদিন এইভাবে কাটিয়ে দিতে পার যে, তোমার মনে কারো প্রতি কোনরূপ হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তবে তাই করো। তারপর তিনি বললেন, বৎস! এটা আমার সুন্নতের শামিল এবং যে আমার সুন্নতকে ভালবাসে সে আমাকেই ভালবাসে। আর যে আমাকে ভালবাসে সে বেহেশতে আমার সাথেই থাকবে। -তিরমিযী
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثاني
وَعَن أنس قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا بُنَيَّ إِنْ قَدَرْتَ أَنْ تصبح وتمسي لَيْسَ فِي قَلْبِكَ غِشٌّ لِأَحَدٍ فَافْعَلْ» ثُمَّ قَالَ: «يَا بني وَذَلِكَ من سنتي وَمن أَحْيَا سُنَّتِي فَقَدْ أَحَبَّنِي وَمَنْ أَحَبَّنِي كَانَ مَعِي فِي الْجنَّة» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং:২৬৭৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৭৮
সুন্নত দৃঢ়ভাবে অবলম্বন করা এবং বিদআত থেকে দূরে থাকা।
২৬৭৮. মুসলিম ইবনে হাতিম আনসারী বসরী (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ হে বৎস! যদি তুমি পার, সকালে ও বিকালে তোমার অন্তরে কারো প্রতি বিদ্বেষ থাকবে না তবে তাই কর। তারপর তিনি বললেন, হে বৎস, এ হল আমার রীতি। যে ব্যক্তি আমার রীতি যিন্দা করল সে যেন আমাকে যিন্দা করল। আর যে আমাকে যিন্দা করল সে জান্নাতে আমার সঙ্গে থাকবে।
হাদীসটিতে একটি দীর্ঘ ঘটনা আছে।
হাদীসটি এই সূত্রে হাসান-গারীব। মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ্ আনসারী (রাহঃ) ছিকাহ রাবী। তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ্ও ছিকাহ। আলী ইবনে যায়দ (রাহঃ)-ও সত্যবাদী। কিন্তু তিনি অনেক সময় যে হাদীসটিকে অন্যরা মউকুফ রূপে বর্ণনা করেছেন তিনি তা মারফূ’রূপে বর্ণনা করেন, মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আবুল ওয়ালীদ (রাহঃ) বলেন, শু’বা (রাহঃ) বলেছেন, আলী ইবনে যায়দ আমাদের হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি অনেক বেশী মারফু’রূপে রিওয়ায়াত করতেন। সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) এই দীর্ঘ হাদীসটি ছাড়া অন্য কোন হাদীস আনাস (রাযিঃ) থেকে সরাসরি রিওয়ায়াত করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। আব্বাদ ইবনে মায়সারা মিনকারী (রাহঃ) এই হাদীসটিকে আলী ইবনে যায়দ (রাহঃ) এর সরাসরি বরাতে আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। এতে তিনি সাঈদ ইবনে মুসায়্যাব (রাহঃ) এর মাধ্যমে উল্লেখ করেন নি।
এই বিষয়টি সম্পর্কে আমি মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল বুখারী (রাহঃ) এর সঙ্গে আলোচনা করেছি। কিন্তু তিনি এটি সম্পর্কে তাঁর অজ্ঞতা প্রকাশ করলেন এবং আনাস (রাযিঃ) থেকে সরাসরি সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) এর এটি বা অন্য কোন রিওয়ায়াত আছে বলেও তিনি জানেন না।
আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) ৯৩ হিজরীতে ইনতিকাল করেছেন। আর সাঈদ ইবনুল মুসায়্যাব (রাহঃ) এর দু’বছর পর ৯৫ হিজরীতে মারা যান।
باب مَا جَاءَ فِي الأَخْذِ بِالسُّنَّةِ وَاجْتِنَابِ الْبِدَعِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ حَاتِمٍ الأَنْصَارِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، قَالَ قَالَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا بُنَىَّ إِنْ قَدَرْتَ أَنْ تُصْبِحَ وَتُمْسِيَ لَيْسَ فِي قَلْبِكَ غِشٌّ لأَحَدٍ فَافْعَلْ " . ثُمَّ قَالَ لِي " يَا بُنَىَّ وَذَلِكَ مِنْ سُنَّتِي وَمَنْ أَحْيَا سُنَّتِي فَقَدْ أَحَبَّنِي . وَمَنْ أَحَبَّنِي كَانَ مَعِي فِي الْجَنَّةِ " . وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ طَوِيلَةٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ ثِقَةٌ وَأَبُوهُ ثِقَةٌ وَعَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ صَدُوقٌ إِلاَّ أَنَّهُ رُبَّمَا يَرْفَعُ الشَّىْءَ الَّذِي يُوقِفُهُ غَيْرُهُ . قَالَ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ بَشَّارٍ يَقُولُ قَالَ أَبُو الْوَلِيدِ قَالَ شُعْبَةُ حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ وَكَانَ رَفَّاعًا وَلاَ نَعْرِفُ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَنَسٍ رِوَايَةً إِلاَّ هَذَا الْحَدِيثَ بِطُولِهِ . وَقَدْ رَوَى عَبَّادُ بْنُ مَيْسَرَةَ الْمِنْقَرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَذَاكَرْتُ بِهِ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ فَلَمْ يَعْرِفْهُ وَلَمْ يُعْرَفْ لِسَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَنَسٍ هَذَا الْحَدِيثُ وَلاَ غَيْرُهُ وَمَاتَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ سَنَةَ ثَلاَثٍ وَتِسْعِينَ وَمَاتَ سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ بَعْدَهُ بِسَنَتَيْنِ مَاتَ سَنَةَ خَمْسٍ وَتِسْعِينَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং:২৬৭৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৭৭
সুন্নত দৃঢ়ভাবে অবলম্বন করা এবং বিদআত থেকে দূরে থাকা।
২৬৭৭. আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) ..... কাছীর ইবনে আব্দুল্লাহ্ তৎপিতা তৎপিতামহ আমর ইবনে আওফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) বিলাল ইবনে হারিছ (রাযিঃ)-কে বলেছিলেনঃ জেনে রাখ। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! কি জেনে রাখব? রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ যে ব্যক্তি এমন কোন সুন্নত যিন্দা করবে, যা আমার পর লুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, তদনুসারে যারা আমল করবে তাদের সাওয়াবের অনুরূপ সাওয়াব ঐ ব্যক্তির (যিন্দাকারীর) হবে। তবে তাদের সাওয়াব থেকে কিছু হ্রাস করা হবে না। আর যে ব্যক্তি কোন গুমরাহীর বিদ’আত প্রচলন করে তার উপর আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল সন্তুষ্ট নন, তার উপর যারা চলবে তাদের সকলের গুনাহর সমপরিমাণ গুনাহ ঐ ব্যক্তির উপরও বর্তাবে। কিন্তু এতে তাদের গুনাহ্ থেকে কোন কিছু হ্রাস হবে না। - ইবনে মাজাহ
হাদীসটি হাসান। এ মুহাম্মাদ ইবনে উয়াইনা (রাহঃ) হলেন, মিস্সীসী শামী। কাছীর ইবনে আব্দুল্লাহ্ এর পিতা আব্দুল্লাহ্ হলেন ইবনে আমর ইবনে আওফ মুযানী (রাযিঃ)।
باب مَا جَاءَ فِي الأَخْذِ بِالسُّنَّةِ وَاجْتِنَابِ الْبِدَعِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيِّ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِبِلاَلِ بْنِ الْحَارِثِ " اعْلَمْ " . قَالَ مَا أَعْلَمُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " اعْلَمْ يَا بِلاَلُ " . قَالَ مَا أَعْلَمُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " أَنَّهُ مَنْ أَحْيَا سُنَّةً مِنْ سُنَّتِي قَدْ أُمِيتَتْ بَعْدِي فَإِنَّ لَهُ مِنَ الأَجْرِ مِثْلَ مَنْ عَمِلَ بِهَا مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنِ ابْتَدَعَ بِدْعَةَ ضَلاَلَةٍ لاَ يَرْضَاهَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ كَانَ عَلَيْهِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ عَمِلَ بِهَا لاَ يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أَوْزَارِ النَّاسِ شَيْئًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَمُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ هُوَ مِصِّيصِيٌّ شَامِيٌّ وَكَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ هُوَ ابْنُ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيُّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:১৭৬
৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৭৬। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যে, ব্যক্তি আমার উম্মতের ফাসাদ সৃষ্টির সময় আমার সুন্নতকে মজবুতভাবে ধরে থাকবে, তার জন্য একশত শহীদের ছওয়াব মিলবে।
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثاني
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَمَسَّكَ بِسُنَّتِي عِنْدَ فَسَادِ أُمَّتِي فَلَهُ أجر مائَة شَهِيد»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:১৭৭
৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৭৭। হযরত জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন। যখন হযরত উমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দরবারে এসে বললেন, আমরা ইয়াহুদীদের নিকট তাদের বহু ধর্মীয় ঘটনা শুনে থাকি, যা অত্যন্ত চমৎকার মনে হয়। তার কিছু লিখে রাখতে আপনার মত কি? (তার কথা শুনে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করলেন, তোমরাও কি (তোমাদের ধর্মের ব্যাপারে) দ্বিধাগ্রস্ত, যদ্রূপ ইয়াহুদী নাছারারা দ্বিধাগ্রস্ত? আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের নিকট অত্যন্ত স্পষ্ট এবং উজ্জ্বল দীন নিয়ে এসেছি। হযরত মুসা (আ)-ও যদি জীবিত থাকতেন তা হলে তাকেও আমার ধর্মের অনুসরণ করা ছাড়া গত্যন্তর থাকতো না। আহমদ। বায়হাকীও তার শোয়াবুল ঈমান গ্রন্থে এটি বর্ণনা করেছেন।
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثاني
وَعَنْ جَابِرٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ أَتَاهُ عُمَرُ فَقَالَ إِنَّا نَسْمَعُ أَحَادِيثَ مِنْ يَهُودَ تُعْجِبُنَا أَفْتَرَى أَنْ نَكْتُبَ بَعْضَهَا؟ فَقَالَ: «أَمُتَهَوِّكُونَ أَنْتُمْ كَمَا تَهَوَّكَتِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى؟ لَقَدْ جِئْتُكُمْ بِهَا بَيْضَاءَ نَقِيَّةً وَلَوْ كَانَ مُوسَى حَيًّا مَا وَسِعَهُ إِلَّا اتِّبَاعِي» . رَوَاهُ أَحْمد وَالْبَيْهَقِيّ فِي كتاب شعب الايمان

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:১৯৪
৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিতাব ও সুন্নাহকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা
১৯৪। হযরত জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট তাওরাত কিতাবের একটি নোসখা নিয়ে এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটা তাওরাত কিতাবের একটি কপি। রাসূলে পাক (ﷺ) নীরব রইলেন। হযরত উমর (রাযিঃ) তা পাঠ করতে শুরু করলেন। (সাথে সাথে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চেহারা পরিবর্তন হতে লাগল। তা লক্ষ্য করে হযরত আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, ওমর তোমার সর্বনাশ হয়েছে, তুমি কি দেখছ না! রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর চেহারা মুবারক কি রূপ ধারণ করেছে? তখন ওমর (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর দিকে দৃষ্টিপাত করলেন এবং বললেন, আমি আল্লাহর নাখুশী এবং তাঁর রাসূলের নাখুশী হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি এবং আমরা আল্লাহ্ পাককে প্রভু, ইসলামকে দীন এবং হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-কে নবীরূপে লাভ করে সন্তুষ্ট হয়েছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সেই সত্তার কসম! যার হাতে আমার জীবন! এই সময় যদি তোমাদের নিকট হযরত মুসা (আ)-ও আত্মপ্রকাশ করতেন আর তোমরা আমাকে রেখে তার অনুসরণ করতে তা হলে নিশ্চিতরূপে তোমরা পথভ্রষ্ট হয়ে পড়তে। এমনকি মুসা (আ) যদি এখন জীবিত থাকতেন আর আমার নবুয়াতের যামানা পেতেন তবে তিনিও নিশ্চিতরূপে আমার অনুসরণ করতেন। -দারেমী
باب الاعتصام بالكتاب والسنة - الفصل الثالث
عَن جَابِرٍ: (أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِنُسْخَةٍ مِنَ التَّوْرَاةِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذِهِ نُسْخَةٌ مِنَ التَّوْرَاةِ فَسَكَتَ فَجَعَلَ يقْرَأ وَوجه رَسُول الله يَتَغَيَّرُ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ ثَكِلَتْكَ الثَّوَاكِلُ مَا تَرَى مَا بِوَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَظَرَ عُمَرُ إِلَى وَجْهِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَعُوذُ بِاللَّه من غضب الله وَغَضب رَسُوله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ بَدَا لَكُمْ مُوسَى فَاتَّبَعْتُمُوهُ وَتَرَكْتُمُونِي لَضَلَلْتُمْ عَنْ سَوَاءِ السَّبِيلِ وَلَوْ كَانَ حَيًّا وَأَدْرَكَ نُبُوَّتِي لَاتَّبَعَنِي)
رَوَاهُ الدَّارمِيّ
رَوَاهُ الدَّارمِيّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং:২৬৬৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৬৩
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাদীস সম্পর্কে যা বলা নিষেধ।
২৬৬৩. কুতায়বা (রাহঃ) ...... আবু রাফি’ (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন এবং অন্যেরা তা মারফু’রূপে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কাউকে যেন এমন অবস্থায় না পাই যে, সে সুসজ্জিত আসনে টেক লাগিয়ে বসে থাকবে আর তার কাছে যখন আমার আদিষ্ট কোন বিষয় বা আমার নিষেধ সম্বলিত কোন হাদীস উত্থাপিত হবে সে (তাচ্ছিল্য ভরে) বলবে, আমি তা তা জানি না। আল্লাহর কিতাবে যা পাই আমরা তারই অনুসরণ করব। - ইবনে মাজাহ
হাদীসটি হাসান। কোন কোন রাবী সুফিয়ান-ইবনে মুনকাদির (রাহঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসালরূপে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, কেউ কেউ সালিম আবু নযর-উবাইদুল্লাহ্ ইবনে আবু রাফি‘- তৎপিতা আবু রাফি‘ (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে এর বর্ণনা করেছেন। ইবনে উওয়ায়না (রাহঃ) যখন স্বতন্ত্রভাবে উভয় সনদের উল্লেখ করতেন তখন মুহাম্মাদ ইবনে মুনকাদির (রাহঃ) এর রিওয়ায়াতটিকে সালিম আবু নযর (রাহঃ) এর রিওয়ায়াতটি থেকে সুস্পষ্টভাবে পৃথক করে বর্ণনা করতেন। আর যখন উভয় সনদকে একত্রিত করে রিওয়ায়াত করতেন তখন প্রথমোক্ত ভাবে সনদটির উল্লেখ করতেন। আবু রাফি’ (রাযিঃ) ছিলেন নবী (ﷺ) এর মাওলা (আযাদকৃত গোলাম) তাঁর নাম হল আসলাম।
باب مَا نُهِيَ عَنْهُ أَنْ يُقَالَ عِنْدَ حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، وَسَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِي رَافِعٍ، وَغَيْرُهُ، رَفَعَهُ قَالَ " لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ مُتَّكِئًا عَلَى أَرِيكَتِهِ يَأْتِيهِ أَمْرٌ مِمَّا أَمَرْتُ بِهِ أَوْ نَهَيْتُ عَنْهُ فَيَقُولُ لاَ أَدْرِي مَا وَجَدْنَا فِي كِتَابِ اللَّهِ اتَّبَعْنَاهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنْ سُفْيَانَ عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً وَسَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَكَانَ ابْنُ عُيَيْنَةَ إِذَا رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَلَى الاِنْفِرَادِ بَيَّنَ حَدِيثَ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ مِنْ حَدِيثِ سَالِمٍ أَبِي النَّضْرِ وَإِذَا جَمَعَهُمَا رَوَى هَكَذَا . وَأَبُو رَافِعٍ مَوْلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم اسْمُهُ أَسْلَمُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: