ফয়জুল কালাম

আমাদের নবিজির মর্যাদা -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং: ৩৮২
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৭
- ঈমানের অধ্যায়
৮০. সর্বনিম্ন মর্যাদার জান্নাতবাসী
৩৮২। আমর আন নাকিদ ও যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেনঃ কিয়ামত দিবসে আমি জান্নাতের গেইটে এসে দরজা খোলার অনুমতি চাইব। তখন খাজাঞ্চি বলবেন, আপনি কে? আমি উত্তর করব, মুহাম্মাদ। খাজাঞ্চি বলবেন, আপনার জন্যই দরজা খুলতে আমি নির্দেশিত হয়েছি। আপনার পূর্বে অন্য কারো জন্য দরজা খুলব না।
كتاب الإيمان
باب أَدْنَى أَهْلِ الْجَنَّةِ مَنْزِلَةً فِيهَا
وَحَدَّثَنِي عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " آتِي بَابَ الْجَنَّةِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَأَسْتَفْتِحُ فَيَقُولُ الْخَازِنُ مَنْ أَنْتَ فَأَقُولُ مُحَمَّدٌ . فَيَقُولُ بِكَ أُمِرْتُ لاَ أَفْتَحُ لأَحَدٍ قَبْلَكَ " .

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং: ১০৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৫২১ - ১
- মসজিদ ও নামাযের স্থান সমূহের বর্ণনা
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ
১০৪৬। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ আল আনসারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমাকে পাঁচটি জিনিস দেয়া হয়েছে, যা পূর্ববর্তী কাউকে দেয়া হয়নিঃ ১. প্রত্যেক নবীকে বিশেষ ভাবে তার গোত্রের প্রতি পাঠানো হয়েছে, আর আমাকে পাঠানো হয়েছে লাল-কাল সবার প্রতি ২. আমার জন্য গনিমতের মাল হালাল করা হয়েছে আমার পূর্ববর্তীকারও জন্য তা হালাল ছিল না; ৩. আমার জন্য সমগ্র ভূপৃষ্ঠ পবিত্র, পবিত্রকারী ও মসজিদ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে সুতরাং যেখানে যার নামাযের ওয়াক্ত হবে, সেখানে সে নামায আদায় করে নিবে ৪. আমাকে রো’ব বা প্রবল প্রভাব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে, যা এক মাসের ব্যবধান থেকে অনুভূত হয়; ৫. আর আমাকে সুপারিশ করার অনুমতি দান করা হয়েছে।
كتاب المساجد ومواضع الصلاة
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنْ يَزِيدَ الْفَقِيرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أُعْطِيتُ خَمْسًا لَمْ يُعْطَهُنَّ أَحَدٌ قَبْلِي كَانَ كُلُّ نَبِيٍّ يُبْعَثُ إِلَى قَوْمِهِ خَاصَّةً وَبُعِثْتُ إِلَى كُلِّ أَحْمَرَ وَأَسْوَدَ وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ وَلَمْ تُحَلَّ لأَحَدٍ قَبْلِي وَجُعِلَتْ لِيَ الأَرْضُ طَيِّبَةً طَهُورًا وَمَسْجِدًا فَأَيُّمَا رَجُلٍ أَدْرَكَتْهُ الصَّلاَةُ صَلَّى حَيْثُ كَانَ وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ بَيْنَ يَدَىْ مَسِيرَةِ شَهْرٍ وَأُعْطِيتُ الشَّفَاعَةَ " .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ৫৭৬২
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৬২। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর কতিপয় সাহাবী এক স্থানে বসিয়া কথাবার্তা বলিতেছিলেন। এই সময় হুযূর (ﷺ) সেই দিকে বাহির হইলেন এবং তাহাদের নিকটে পৌঁছিয়া তাহাদের কথাবার্তা ও আলোচনাগুলি শুনিলেন। তাহাদের একজন বলিলেন, আল্লাহ্ তা'আলা হযরত ইবরাহীমকে খলীল বানাইয়াছেন। আরেকজন বলিলেন, হযরত মুসা কালীমুল্লাহ্) ছিলেন এমন, আল্লাহ্ তা'আলা যাঁহার সহিত সরাসরি কথা বলিয়াছেন। অপর একজন বলিলেন, হযরত ঈসা ছিলেন কালেমাতুল্লাহ্ ও রূহুল্লাহ্ এবং আরেকজন বলিলেন, হযরত আদমকে আল্লাহ্ তা'আলা ছফীউল্লাহ বানাইয়াছেন। এই সময় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাদের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া বলিলেন, আমি তোমাদের কথাবার্তা এবং তোমরা যে বিস্ময় প্রকাশ করিয়াছ তাহা শুনিয়াছি। ইবরাহীম যে খলীলুল্লাহ্ ছিলেন ইহা ঠিকই। মুসা যে সরাসরি আল্লাহর সাথে কথাবার্তা বলিয়াছেন ইহাও সত্য কথা। ঈসা যে রূহুল্লাহ্ ও কালেমাতুল্লাহ্ ছিলেন ইহাও প্রকৃত কথা এবং আদম যে আল্লাহর মনোনীত, মর্যাদাসম্পন্ন ছিলেন, ইহাও সম্পূর্ণ বাস্তব। তবে জানিয়া রাখ, আমি হইলাম, 'আল্লাহর হাবীব', ইহাতে গর্ব নয় এবং কিয়ামতের দিন আমিই হামদের ঝাণ্ডা উত্তোলন ও বহনকারী হইব—আদম ও অন্যান্য নবীগণ উক্ত ঝাণ্ডার নীচেই থাকিবেন, ইহাতে গর্ব নয়। কিয়ামতের দিন আমিই হইব সর্বপ্রথম শাফা'আতকারী এবং সর্বপ্রথম আমার সুপারিশই কবূল করা হইবে, ইহাতে গর্ব নয়। আমিই সর্বপ্রথম জান্নাতের দরওয়াজার কড়া নাড়া দিব। তখন আল্লাহ্ তা'আলা আমার জন্য উহা খুলিয়া দিবেন এবং আমাকে উহাতে প্রবেশ করাইবেন। আর আমার সঙ্গে থাকিবে গরীব ঈমানদারগণ, ইহাতে গর্ব নয়। পরিশেষে কথা হইল, আর আমিই পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের চাইতে সম্মানিত, ইহাও গর্ব নয়। —তিরমিযী ও দারেমী
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَن ابْن عَبَّاس قَالَ: جَلَسَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخَرَجَ حَتَّى إِذَا دَنَا مِنْهُمْ سَمِعَهُمْ يَتَذَاكَرُونَ قَالَ بَعْضُهُمْ: إِنَّ اللَّهَ اتَّخَذَ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلًا وَقَالَ آخَرُ: مُوسَى كَلَّمَهُ اللَّهُ تَكْلِيمًا وَقَالَ آخَرُ: فَعِيسَى كَلِمَةُ الله وروحه. وَقَالَ آخَرُ: آدَمُ اصْطَفَاهُ اللَّهُ فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: «قَدْ سَمِعْتُ كَلَامَكُمْ وَعَجَبَكُمْ أَنَّ إِبْرَاهِيمَ خَلِيل الله وَهُوَ كَذَلِكَ وَآدَمُ اصْطَفَاهُ اللَّهُ وَهُوَ كَذَلِكَ أَلَا وَأَنَا حَبِيبُ اللَّهِ وَلَا فَخْرَ وَأَنَا حَامِلُ لِوَاءِ الْحَمْدِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ تَحْتَهُ آدَمُ فَمَنْ دُونَهُ وَلَا فَخْرَ وَأَنَا أَوَّلُ شَافِعٍ وَأَوَّلُ مُشَفَّعٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا فَخْرَ وَأَنَا أَوَّلُ مَنْ يُحَرِّكُ حَلَقَ الْجَنَّةِ فَيَفْتَحُ اللَّهُ لِي فَيُدْخِلُنِيهَا وَمَعِي فُقَرَاءُ الْمُؤْمِنِينَ وَلَا فَخْرَ وَأَنَا أَكْرَمُ الْأَوَّلِينَ وَالْآخَرِينَ عَلَى اللَّهِ وَلَا فَخر» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ والدارمي





(ضَعِيف)
tahqiq

তাহকীক:

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং: ৩৬১৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৬১৩
নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
নবী (ﷺ) এর মর্যাদা
৩৬১৩। মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রাহঃ)... উবাই ইবন কা'ব (রাযিঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেনঃ নবীগণ (আ)-এর মাঝে আমার উদাহরণ হল এমন এক ব্যক্তির মত যে একখানা ঘর বানাল। তা অত্যন্ত সুন্দর করল, পরিপূর্ণ করল এবং মনোরম করে তৈরী করল। কিন্তু এতে একটি ইঁটের স্থান ছেড়ে দিল। লোকেরা ইমারতটি ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগল এবং তারা খুবই বিস্মিত হল। আর তারা বললঃ এই ইঁটটির স্থান যদি পূর্ণ করে দেওয়া হত! নবীগণের মাঝে আমি হলাম সেই (পরিপূর্ণকারী) ইঁটটির স্থানে। এই সনদেই নবী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ কিয়ামতের দিন আমি হব নবীগণের ইমাম, তাঁদের খতীব, শাফাআতের অধিকারী। আর এ কোন অহংকার নয়।
أبواب المناقب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابٌ فِي فَضْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ الطُّفَيْلِ بْنِ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " مَثَلِي فِي النَّبِيِّينَ كَمَثَلِ رَجُلٍ بَنَى دَارًا فَأَحْسَنَهَا وَأَكْمَلَهَا وَأَجْمَلَهَا وَتَرَكَ مِنْهَا مَوْضِعَ لَبِنَةٍ، فَجَعَلَ النَّاسُ يَطُوفُونَ بِالبِنَاءِ وَيَعْجَبُونَ مِنْهُ، وَيَقُولُونَ: لَوْ تَمَّ مَوْضِعُ تِلْكَ اللَّبِنَةِ، وَأَنَا فِي النَّبِيِّينَ مَوْضِعُ تِلْكَ اللَّبِنَةِ "
وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: «إِذَا كَانَ يَوْمُ القِيَامَةِ كُنْتُ إِمَامَ النَّبِيِّينَ وَخَطِيبَهُمْ وَصَاحِبَ شَفَاعَتِهِمْ، غَيْرُ فَخْرٍ» : «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ»

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং: ৫৭৭০
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবীকুল শিরোমণি -এর মর্যাদাসমূহ
৫৭৭০। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যাবতীয় উত্তম চরিত্র ও উত্তম কার্যাবলী পরিপূর্ণ করার জন্যই আল্লাহ্ তা'আলা আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন। — শরহে সুন্নাহ
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَنْ جَابِرٌ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قا ل: «إِنَّ اللَّهَ بَعَثَنِي لِتَمَامِ مَكَارِمِ الْأَخْلَاقِ وَكَمَالِ محَاسِن الْأَفْعَال» . رَوَاهُ فِي شرح السّنة
tahqiq

তাহকীক:

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং: ২৮১১
আন্তর্জাতিক নং: ২৮১১
অনুমতি প্রার্থনা ও বিবিধ শিষ্টাচারের অধ্যায়
পুরুষদের জন্য লাল কাপড় পরিধানের অনুমতি।
২৮১১. হান্নাদ (রাহঃ) ...... জাবির ইবনে সামুরা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এক চন্দ্রোজ্জ্বল রাতে একবার নবী (ﷺ) এর দিকে আরেকবার চঁদের দিকে তাকালাম। তাঁর শরীরে একটি লাল ডুরাযুক্ত পোশাক (হুল্লা) ছিল। তিনি আমার দৃষ্টিতে চাঁদের চেয়েও সুন্দর ছিলেন।
أبواب الاستئذان والآداب عن رسول الله صلى الله عليه وسلم
بَابُ مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ فِي لُبْسِ الحُمْرَةِ لِلرِّجَالِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْثَرُ بْنُ الْقَاسِمِ، عَنِ الأَشْعَثِ، وَهُوَ ابْنُ سَوَّارٍ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي لَيْلَةٍ إِضْحِيَانٍ فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَإِلَى الْقَمَرِ وَعَلَيْهِ حُلَّةٌ حَمْرَاءُ فَإِذَا هُوَ عِنْدِي أَحْسَنُ مِنَ الْقَمَرِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الأَشْعَثِ .

وَرَوَى شُعْبَةُ، وَالثَّوْرِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ رَأَيْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حُلَّةً حَمْرَاءَ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مَحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ بِهَذَا . وَفِي الْحَدِيثِ كَلاَمٌ أَكْثَرُ مِنْ هَذَا . قَالَ سَأَلْتُ مُحَمَّدًا قُلْتُ لَهُ حَدِيثُ أَبِي إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ أَصَحُّ أَوْ حَدِيثُ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ فَرَأَى كِلاَ الْحَدِيثَيْنِ صَحِيحًا . وَفِي الْبَابِ عَنِ الْبَرَاءِ وَأَبِي جُحَيْفَةَ .