আনওয়ারুল হাদীস

ইস্তিখারার নামায -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ বুখারী

হাদীস নং:১০৯৩
আন্তর্জাতিক নং: ১১৬২
৭৩৯. নফল নামায দু’রাকাআত করে আদায় করা।
১০৯৩। কুতাইবা (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের সব কাজে ইস্তিখারা* শিক্ষা দিতেন, যেমন পবিত্র কুরআনের সূরা আমাদের শিখাতেন। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কউ কোন কাজের ইচ্ছা করলে সে যেন ফরয নয় এমন দু’রাকআত (নফল) নামায আদায় করার পর এ দুআ পড়েঃ “ইয়া আল্লাহ্! আমি আপনার ইলমের উসীলায় আপনার কাছে (উদ্দীষ্ট বিষয়ের) কল্যাণ চাই এবং আপনার কুদরতের ওসীলায় আপনার কাছে শক্তি চাই আর আপনার কাছে চাই আপনার মহান অনুগ্রহ। কেননা, আপনিই (সব কিছুতে) ক্ষমতা রাখেন, আমি কোন ক্ষমতা রাখি না; আপনিই (সব বিষয়ে) অবগত আর আমি অবগত নই; আপনিই গায়েব সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত। ইয়া আল্লাহ্! আমার দ্বীন, আমার জীবন-জীবিকা ও আমার কাজের পরিণাম বিচারে, অথবা বলেছেন, আমার কাজের আশু ও শেষ পরিণতি হিসাবে যদি এ কাজটি আমার জন্য কল্যাণকর বলে জানেন, তা হলে আমার জন্য তার ব্যবস্থা করে দিন। আর তা আমার জন্য সহজ করে দিন। তারপর আমার জন্য তাতে বরকত দান করুন। আর যদি এ কাজটি আমার দ্বীন, আমার জীবন-জীবিকা ও আমার কাজের পরিণাম অথবা বলেছেন, আমার কাজের আশু ও শেষ পরিণতি হিসাবে আমার জন্য ক্ষতি হয় বলে জানেন; তা হলে আপনি তা আমার থেকে সরিয়ে নিন এবং আমাকে তা থেকে ফিরিয়ে রাখুন আর আমার জন্য কল্যাণ নির্ধারিত রাখুন; তা যেখানেই হোক। এরপর সে বিষয়ে আমাকে রাজী থাকার তৌফিক দিন। তিনি ইরশাদ করেন هَذَا الأَمْر এর স্থলে তার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করবে। *নামায ও দু'আর মাধ্যমে উদ্দিষ্ট বিষয়ের কল্যাণ চাওয়া।
بَابُ مَا جَاءَ فِي التَّطَوُّعِ مَثْنَى مَثْنَى
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي الْمَوَالِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعَلِّمُنَا الاِسْتِخَارَةَ فِي الأُمُورِ كَمَا يُعَلِّمُنَا السُّورَةَ مِنَ الْقُرْآنِ يَقُولُ " إِذَا هَمَّ أَحَدُكُمْ بِالأَمْرِ فَلْيَرْكَعْ رَكْعَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ الْفَرِيضَةِ ثُمَّ لِيَقُلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَقْدِرُكَ بِقُدْرَتِكَ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ، فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ، اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي ـ أَوْ قَالَ عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ ـ فَاقْدُرْهُ لِي وَيَسِّرْهُ لِي ثُمَّ بَارِكْ لِي فِيهِ، وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِي فِي دِينِي وَمَعَاشِي وَعَاقِبَةِ أَمْرِي ـ أَوْ قَالَ فِي عَاجِلِ أَمْرِي وَآجِلِهِ ـ فَاصْرِفْهُ عَنِّي وَاصْرِفْنِي عَنْهُ، وَاقْدُرْ لِي الْخَيْرَ حَيْثُ كَانَ ثُمَّ أَرْضِنِي بِهِ ـ قَالَ ـ وَيُسَمِّي حَاجَتَهُ ".