আলফিয়্যাতুল হাদীস

বিবাহের ফজিলত ও তার প্রতি উৎসাহ প্রদান -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৩২৬৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৪০০ -
১. দৈহিক ও আর্থিক দিক থেকে সমর্থ ব্যক্তিদের বিবাহ করা মুস্তাহাব; আর্থিক অস্বচ্ছল ব্যক্তি রোযা রাখবে
৩২৬৮। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া তামীমী (রাহঃ) ......... আলকামা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এর সঙ্গে মিনায় পৌছলাম। এ সময় উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) এসে তাঁর সাথে মিলিত হলেন। তখন তিনি তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলতে লাগলেন। উসমান (রাযিঃ) তাঁকে বললেন, হে আবু আব্দুর রহমান! আমরা কি আপনার সঙ্গে এমন একটি যুবতী মেয়ের বিয়ে দেব না যে হয়ত আপনার অতীতের কিছু স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিবে? রাবী বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বললেন, আপনি যদি একথা বলেন তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের বলেছেনঃ ”হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যে দাম্পত্য জীবনের ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম, সে যেন বিবাহ করে। কারণ তা (বিবাহ) দৃষ্টি নিচ করে এবং লজ্জাস্থানকে সুরক্ষিত করে। আর যে সক্ষম নয় তার রোযা পালন করা উচিত। কারণ তা তার জন্য যৌন কামনা দমনকারী।
باب اسْتِحْبَابِ النِّكَاحِ لِمَنْ تَاقَتْ نَفْسُهُ إِلَيْهِ وَوَجَدَ مُؤْنَةً وَاشْتِغَالِ مَنْ عَجَزَ عَنِ الْمُؤَنِ بِالصَّوْمِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ جَمِيعًا عَنْ أَبِي مُعَاوِيَةَ، - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، - عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ كُنْتُ أَمْشِي مَعَ عَبْدِ اللَّهِ بِمِنًى فَلَقِيَهُ عُثْمَانُ فَقَامَ مَعَهُ يُحَدِّثُهُ فَقَالَ لَهُ عُثْمَانُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَلاَ نُزَوِّجُكَ جَارِيَةً شَابَّةً لَعَلَّهَا تُذَكِّرُكَ بَعْضَ مَا مَضَى مِنْ زَمَانِكَ . قَالَ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لَئِنْ قُلْتَ ذَاكَ لَقَدْ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ " .

সুনানে আবু দাউদ

হাদীস নং:১৭২৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৭২৯
৩. ইসলামে কোন বৈরাগ্য নেই।
১৭২৯. উসমান ইবনে আবু শায়রা ...... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, ইসলামে কোন বৈরাগ্য নেই।[১] [১] হাদীসটির দ্বিবিধ অর্থ গ্রহণের অবকাশ আছে। বিবাহের সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বিবাহ না করা এবং হজ্জ করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ্জ না করে সন্ন্যাস জীবনযাপন করা ইসলামের নীতি নয়। এটা অনৈসলামিক প্রথা যা খ্রিষ্টান ও হিন্দুদের মধ্যে প্রচলিত।
باب " لاَ صَرُورَةَ " فِي الإِسْلاَمِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ، - يَعْنِي سُلَيْمَانَ بْنَ حَيَّانَ الأَحْمَرَ - عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ صَرُورَةَ فِي الإِسْلاَمِ " .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:৩০৯৬
তৃতীয় অনুচ্ছেদঃ বিবাহের নীতি ও বিবিধ বিষয়
৩০৯৬। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন বান্দা বিবাহ করিল, নিশ্চয় সে তাহার দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করিল এবং বাকী অর্ধেক সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় করিবে।
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا تَزَوَّجَ الْعَبْدُ فَقَدِ اسْتَكْمَلَ نِصْفَ الدِّينِ فَلْيَتَّقِ اللَّهَ فِي النِّصْفِ الْبَاقِي»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা

কানযুল উম্মাল (উর্দু)

হাদীস নং:৪৪৪২৬
نکاح کرنا سنت ہے
44413 جو شخص میری فطرت سے محبت کرتا ہو وہ میری سنت کو اپنا نمونہ بنالے اور نکاح میری سنت میں سے ہے۔ رواہ البیہقی فی السنن عن ابوہریرہ ۔ کلام : حدیث ضعیف ہے دیکھئے ذخیرۃ الحفاظ 5053 و ضعیف الجامع 5342
44413- من أحب فطرتي فليستن بسنتي، وإن من سنتي النكاح. "هق - عن أبي هريرة".
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:১০৮৪
আন্তর্জাতিক নং: ১০৮৪
যার দীন তোমাদের কাছে পছন্দনীয় হয় তাকে বিয়ে কর।
১০৮৪. কুতায়বা (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, যদি তোমাদের কাছে এমন কেউ বিবাহের প্রস্তাব দেয় যার দ্বীন ও চরিত্র তোমাদের পছন্দনীয় হয় তবে তাকে বিয়ে দিয়ে দাও। যদি এরূপ না কর তবে পৃথিবীতে ফিতনা ও বিরাট বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে। এই বিষয়ে আবু হাতিম মুযানী, আয়িশা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটির সনদের ক্ষেত্রে আব্দুল হামীদ ইবনে সুলাইমানের বিরোধিতা করা হয়েছে। লায়ছ ইবনে সা’দ এটিকে ইবনে আজলান- আবু হুরায়রা (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে মুরসাল রূপে বর্ণনা করেছেন। ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, মুহাম্মাদ বুখারী (রাহঃ) বলেছেন যে, লায়ছ (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াতটি বিশুদ্ধ তার অধিক নিকটবর্তী। তিনি আব্দুল হামীদ (রাহঃ)-এর হাদীসটিকে নির্ভরযোগ্য মনে করেন নি।
باب مَا جَاءَ إِذَا جَاءَكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ دِينَهُ فَزَوِّجُوهُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ، عَنِ ابْنِ وَثِيمَةَ النَّصْرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا خَطَبَ إِلَيْكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ دِينَهُ وَخُلُقَهُ فَزَوِّجُوهُ إِلاَّ تَفْعَلُوا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الأَرْضِ وَفَسَادٌ عَرِيضٌ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي حَاتِمٍ الْمُزَنِيِّ وَعَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ قَدْ خُولِفَ عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ سُلَيْمَانَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ . فَرَوَاهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هُرْمُزَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً . قَالَ أَبُو عِيسَى قَالَ مُحَمَّدٌ وَحَدِيثُ اللَّيْثِ أَشْبَهُ . وَلَمْ يَعُدَّ حَدِيثَ عَبْدِ الْحَمِيدِ مَحْفُوظًا .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান