আলফিয়্যাতুল হাদীস

মদীনার ফযীলত -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৩২০৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৭৪ -
৮২. মদীনা শরীফের ফযীলত, এই শহরে বরকত দানের জন্য নবী (ﷺ) এর দুআ, মদীনা ও হারামের মর্যাদা এবং এখানে শিকার ও এখানকার গাছপালা কর্তন নিষিদ্ধ ও মদীনার হারামের সীমা
৩২০৬। হাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল ইবনে উলায়্যা (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ মাওলা মাহরী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত। তারা মদীনায় কষ্ট ও দুঃখে পতিত হন। তিনি আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে বললেন, আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনেক এবং আমরা দুঃখ দুর্দশার সম্মুখীন হয়েছি। তাই আমি আমার পবিবারকে কোন শস্য শ্যামল এলাকায় স্থানান্তরের মনস্থ করেছি। আবু সাঈদ (রাযিঃ) বললেন, তা করো না বরং মদীনাকে আঁকড়ে থাক। কারণ, একদা আমরা নবী (ﷺ) এর সঙ্গে বের হলাম, আমার মনে হয়, তিনি এও বলেছেন যে এবং উসফান পর্যন্ত পৌছলেন। এখানে তিনি কয়েক রাত অবস্থান করলেন। লোকেরা বলল, আল্লাহর কসম! আমরা এখানে অযথা সময় নষ্ট করছি। অথচ আমাদের পরিবার পরিজন আমাদের পশ্চাতে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছে এবং আমরা তাদের (নিরাপত্তার) ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছি না। একথা নবী (ﷺ) এর কাছে পৌছলে তিনি বলেনঃ কি ব্যাপার, তোমাদের একথা আমার নিকটে পৌঁছেছে। রাবী বলেন, আবু সাঈদ (রাযিঃ) কথাটা কিভাবে পুণর্ব্যাক্ত করেছেন তা আমার হুবহু মনে নেই। সেই সত্তার নামে শপথ যার নামে আমি শপথ করে থাকি অথবা সেই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! অবশ্য আমি মনস্থির করেছি, অথবা যদি তোমরা চাও রাবী বলেন, আবু সাঈদ (রাযিঃ) কোনটি বলেছেন তা আমার সঠিক মনে নাই। তবে আমি নিশ্চিত আমার উটকে অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দিব এবং মদীনায় পৌছা পর্যন্ত তার একটি গিটও খুলব না। (যাত্রা বিরতি করব না)। তারপর তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) মক্কাকে হারাম ঘোষণা করেছেন এবং তা পবিত্র ও সন্মানিত হয়েছে। আর আমি মদীনাকে হারাম ঘোষণা করলাম যা দুই পাহাড়ের (আইর ও উহুদ) মধ্যস্থলে অবস্থিত। অতএব এখানে রক্তপাত করা যাবে না, এখানে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে অস্ত্রবহন করা যাবে না এবং পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের উদ্দেশ্য ব্যতীত গাছপালার পাতাও পাড়া যাবে না। হে আল্লাহ! আমাদের এই শহরে বরকত দান করুন হে আল্লাহ! আমাদের সা’ এ বকরত দান করুন। হে আল্লাহ! আমাদের মুদ্দ এ বরকত দান করুন। হে আল্লাহ! বরকতের সাথে আমাদের আরো দুটি বরকত দান করুন। সেই সত্তার শপথ যার হাতে আমার প্রাণ! মদীনার এমন কোন প্রবেশ পথ বা গিরি সংকট নেই যেখানে তোমাদের মদীনায় ফিরে আসা পর্যন্ত দু’জন করে ফিরিশতা পাহারায় নিযুক্ত নেই। পূনরায় তিনি লোকদের উদ্দেশ্যে বললেন, “তোমরা রওয়ানা হও।” অতএব আমরা রওয়ানা হলাম এবং মদীনায় এসে পৌঁছলাম। সেই সত্তার শপথ যার নামে আমরা শপথ করি অথবা যার নামে শপথ করা হয়- হাম্মাদ তার উর্ধ্বতন রাবী কোনটি বলেছেন সে সম্বন্ধে সন্দেহে পড়েছেন। আমরা মদীনায় প্রবেশ করে বাহনের পিঠের হাওদা তখনও খুলিনি ইত্যাবসরে আব্দুল্লাহ ইবনে গাতফান গোত্রের লোকেরা আমাদের উপর অতর্কিত আক্রমণ করে, অথচ এরূপ কিছু করার দুঃসাহস তাদের হয় নি।
باب فَضْلِ الْمَدِينَةِ وَدُعَاءِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيهَا بِالْبَرَكَةِ وَبَيَانِ تَحْرِيمِها وَتَحْرِيمِ صَيْدِهَا وَشَجَرِهَا وَبَيَانِ حُدُودِ حَرَمِهَا
حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ابْنِ عُلَيَّةَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ وُهَيْبٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي، إِسْحَاقَ أَنَّهُ حَدَّثَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، مَوْلَى الْمَهْرِيِّ أَنَّهُ أَصَابَهُمْ بِالْمَدِينَةِ جَهْدٌ وَشِدَّةٌ وَأَنَّهُ أَتَى أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ فَقَالَ لَهُ إِنِّي كَثِيرُ الْعِيَالِ وَقَدْ أَصَابَتْنَا شِدَّةٌ فَأَرَدْتُ أَنْ أَنْقُلَ عِيَالِي إِلَى بَعْضِ الرِّيفِ . فَقَالَ أَبُو سَعِيدٍ لاَ تَفْعَلِ الْزَمِ الْمَدِينَةَ فَإِنَّا خَرَجْنَا مَعَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - أَظُنُّ أَنَّهُ قَالَ - حَتَّى قَدِمْنَا عُسْفَانَ فَأَقَامَ بِهَا لَيَالِيَ فَقَالَ النَّاسُ وَاللَّهِ مَا نَحْنُ هَا هُنَا فِي شَىْءٍ وَإِنَّ عِيَالَنَا لَخُلُوفٌ مَا نَأْمَنُ عَلَيْهِمْ . فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " مَا هَذَا الَّذِي بَلَغَنِي مِنْ حَدِيثِكُمْ - مَا أَدْرِي كَيْفَ قَالَ - وَالَّذِي أَحْلِفُ بِهِ أَوْ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَوْ إِنْ شِئْتُمْ - لاَ أَدْرِي أَيَّتَهُمَا قَالَ - لآمُرَنَّ بِنَاقَتِي تُرْحَلُ ثُمَّ لاَ أَحُلُّ لَهَا عُقْدَةً حَتَّى أَقْدَمَ الْمَدِينَةَ - وَقَالَ - اللَّهُمَّ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ حَرَّمَ مَكَّةَ فَجَعَلَهَا حَرَمًا وَإِنِّي حَرَّمْتُ الْمَدِينَةَ حَرَامًا مَا بَيْنَ مَأْزِمَيْهَا أَنْ لاَ يُهَرَاقَ فِيهَا دَمٌ وَلاَ يُحْمَلَ فِيهَا سِلاَحٌ لِقِتَالٍ وَلاَ يُخْبَطَ فِيهَا شَجَرَةٌ إِلاَّ لِعَلْفٍ اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مُدِّنَا اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي صَاعِنَا اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مُدِّنَا اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي مَدِينَتِنَا اللَّهُمَّ اجْعَلْ مَعَ الْبَرَكَةِ بَرَكَتَيْنِ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا مِنَ الْمَدِينَةِ شِعْبٌ وَلاَ نَقْبٌ إِلاَّ عَلَيْهِ مَلَكَانِ يَحْرُسَانِهَا حَتَّى تَقْدَمُوا إِلَيْهَا - ثُمَّ قَالَ لِلنَّاسِ - ارْتَحِلُوا " . فَارْتَحَلْنَا فَأَقْبَلْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ فَوَالَّذِي نَحْلِفُ بِهِ أَوْ يُحْلَفُ بِهِ - الشَّكُّ مِنْ حَمَّادٍ - مَا وَضَعْنَا رِحَالَنَا حِينَ دَخَلْنَا الْمَدِينَةَ حَتَّى أَغَارَ عَلَيْنَا بَنُو عَبْدِ اللَّهِ بْنِ غَطَفَانَ وَمَا يَهِيجُهُمْ قَبْلَ ذَلِكَ شَىْءٌ .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৩২১৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৭৮ -
৮৩. মদীনায় বসবাসের জন্য উৎসাহ প্রদান এবং এখানকার দুঃখ-কষ্ট ও বিপদকালে ধৈর্যধারণের ফযীলত
৩২১৭। ইয়াহয়া ইবনে আইয়ুব, কুতায়বা ও ইবনে হুজর (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আমার উাম্মাতের যে ব্যক্তি মদীনার দুঃখকষ্ট ও বিপদ আপদে ধৈর্যধারণ করবে, তার জন্যই আমি কিয়ামতের দিন শাফাআতকারী হব অথবা তার পক্ষে সাক্ষী হব।
باب التَّرْغِيبِ فِي سُكْنَى الْمَدِينَةِ وَالصَّبْرِ عَلَى لأْوَائِهَا
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ جَمِيعًا عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَصْبِرُ عَلَى لأْوَاءِ الْمَدِينَةِ وَشِدَّتِهَا أَحَدٌ مِنْ أُمَّتِي إِلاَّ كُنْتُ لَهُ شَفِيعًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَوْ شَهِيدًا " .
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:৩৯১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯১৭
পরিচ্ছেদ : মদীনা মুনাওয়ারার ফযীলত
৩৯১৭। মুহাম্মাদ ইবন বাশ্শার (রাহঃ)... ইব্‌ন উমার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : নবী (ﷺ) বলেছেন : মদীনায় মৃত্যুবরণ করা যদি কারো পক্ষে সম্ভব হয়, তবে সে যেন মদীনায় মারা যায় । কেননা যে ব্যক্তি এখানে মারা যাবে, আমি তার জন্য শাফাআত করব। এ বিষয়ে সুবায়ইয়া বিনত হারিছ আসলামিয়্যা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে ৷ আযাব সাখতিয়ানী (রাহঃ)-এর রিওয়ায়াত হিসাবে হাদীসটি এ সূত্রে হাসান-সাহীহ-গারীব।
باب في فضل المدينة
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ اسْتَطَاعَ أَنْ يَمُوتَ بِالمَدِينَةِ فَلْيَمُتْ بِهَا، فَإِنِّي أَشْفَعُ لِمَنْ يَمُوتُ بِهَا» وَفِي البَابِ عَنْ سُبَيْعَةَ بِنْتِ الحَارِثِ الأَسْلَمِيَّةِ: «هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান