আলফিয়্যাতুল হাদীস

কুরবানির দিন নবিজির খুতবা -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:২৬৫৯
১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানীর দিনের ভাষণ, আইয়্যামে তাশরীক্বে পাথর মারা ও বিদায়ী তাওয়াফ করা
২৬৫৯। হযরত আবু বাকরা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) (দশই যিলহজ্জ) কোরবানীর দিনে আমাদের এক ভাষণ দান দিলেন এবং বললেনঃ বৎসর ঘুরে এসেছে তার তারিখের গঠন অনুযায়ী, যে তারিখে আল্লাহ্ তা'আলা আসমান ও যমীনকে সৃষ্টি করেছেন (এবং বৎসরের সৃষ্টি হয়েছে)। বৎসর বার মাস। এর মধ্যে চারটি মাস হারাম বা সম্মানিত। তিন মাস পর পর এক সাথে যিলকাদা, যিলহজ্জ ও মুহররম এবং (চতুর্থ মাস) মুযার গোত্রের রজব মাস, যা জুমাদাল উখরা ও শা'বানের মধ্যখানে। তৎপর হুযুর (ﷺ) বললেন, এটি কোন্ মাস? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তার রাসূলই অধিক অবগত। অতঃপর তিনি এতক্ষণ চুপ রইলেন যাতে আমরা ভাবলাম যে, সম্ভবতঃ তিনি এর অন্য নাম বলবেন। তৎপর বললেন, ইহা কি যিলহজ্জ নয়! আমরা বলিলাম, হ্যাঁ, ইয়া রাসুলাল্লাহ। অতঃপর বললেন, এটি কোন শহর? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই অধিক অবগত। তিনি এতক্ষণ চুপ রইলেন যাতে আমরা ভাবলাম যে, সম্ভবতঃ তিনি এর অন্য নাম বলবেন। অতঃপর বললেন, এটি কি মক্কা শহর নয়? আমরা বললাম, হা, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! অতঃপর বললেন, এটি কোন দিন? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই অধিক অবগত। তিনি এতক্ষণ চুপ রইলেন যাতে আমরা ভাবলাম সম্ভবতঃ তিনি এর অন্য নাম বলবেন। অতঃপর বললেন, এটি কি কোরবানীর দিন নয়? আমরা বললাম, হা, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। তখন তিনি বললেনঃ তোমাদের জীবন, সম্পদ ও সম্মান তোমাদের জন্য পবিত্র, যেমন, তোমাদের এই মাসে এই শহরে এই দিন পবিত্র। তোমরা শীঘ্র আল্লাহর নিকট পৌঁছবে আর তিনি তোমাদিগকে তোমাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন। খবরদার। আমার পর তোমরা বিপথগামী হয়ে একে অন্যের জীবননাশ করো না। বল, আমি কি তোমাদিগকে (আল্লাহর নির্দেশ) পৌঁছাই নাই? সাহাবাগণ বললেন, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। তখন তিনি বললেন, হে খোদা তুমি সাক্ষী থাক। অতঃপর বললেন, প্রত্যেক উপস্থিত যেন অনুপস্থিতকে এটি পৌঁছিয়ে দেয়। কেননা, অনেক এমন ব্যক্তি যাকে পরে পৌঁছানো হয় সে আসল শ্রোতা অপেক্ষাও এর পক্ষে অধিক উপলব্ধিকারী ও রক্ষাকারী হতে পারে।—মোত্তাঃ
بَابٌ خُطْبَةُ يَوْمِ النَّحْرِ وَرَمْىِ أَيَّامِ التَّشْرِيْقِ وَالتَّوْدِيْعِ: الْفَصْل الأول
عَنْ أَبِي بَكْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: خَطَبَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ النَّحْرِ قَالَ: «إِنَّ الزَّمَانَ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللَّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ثَلَاثٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ وَرَجَبُ مُضَرَ الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ» وَقَالَ: «أَيُّ شَهْرٍ هَذَا؟» قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ فَقَالَ: «أَلَيْسَ ذَا الْحِجَّةِ؟» قُلْنَا: بَلَى. قَالَ: «أَيُّ بَلَدٍ هَذَا؟» قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ قَالَ: «أَلَيْسَ الْبَلْدَةَ؟» قُلْنَا: بَلَى قَالَ «فَأَيُّ يَوْمٍ هَذَا؟» قُلْنَا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ. قَالَ: «أَلَيْسَ يَوْمَ النَّحْرِ؟» قُلْنَا: بَلَى. قَالَ: «فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا وَسَتَلْقَوْنَ رَبَّكُمْ فَيَسْأَلُكُمْ عَنْ أَعْمَالِكُمْ أَلَا فَلَا تَرْجِعُوا بِعْدِي ضُلَّالًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ أَلَا هَلْ بَلَّغْتُ؟» قَالُوا: نَعَمْ. قَالَ: «اللَّهُمَّ اشْهَدْ فَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ فَرُبَّ مُبَلَّغٍ أَوْعَى مِنْ سَامِعٍ»
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান

explanationহাদীসের ব্যাখ্যা