আলফিয়্যাতুল হাদীস
আরাফার দিনের রোযা -এর বিষয়সমূহ
১ টি হাদীস
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং:২৬১৭
আন্তর্জাতিক নং: ১১৬২ - ১
৩৩. প্রতি মাসে তিন দিন, আরাফাতের দিন, আশুরার দিন, সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা পালনের ফযীলত
২৬১৭। ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহয়া তামীমী ও কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ......... আবু কাতাদা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর কাছে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসা করল, আপনি কিভাবে রোযা পালন করেন? তার এই কথায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অন্তুষ্ট হলেন। উমর (রাযিঃ) তার অসন্তোষ লক্ষ্য করে বললেন, ″আমরা আল্লাহর উপর (আমাদের) প্রতিপালক হিসেবে, ইসলামের উপর (আমাদের) দ্বীন হিসেবে এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর আমাদের নবী হিসেবে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা আল্লাহর কাছে তাঁর ও তার রাসূলের অসন্তোষ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।″
উমর (রাযিঃ) কথাটি বার বার আওড়াতে থাকলেন এমনকি শেষ পর্যন্ত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অসন্তোষের ভাব দূরীভূত হল। তখন উমর (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! যে ব্যক্তি সারা বছর রোযা পালন করে তার অবস্থা কিরূপ? তিনি বললেন, সে রোযা পালন করেনি এবং ছেড়েও দেয়নি। তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, যে পর্যায়ক্রমে দুই দিন রোযা পালন করে ও একদিন রোযা ত্যাগ করে, তার অবস্থা কিরূপ? তিনি বললেন, এই সামর্থ্য কার আছে?
তিনি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, যে ব্যক্তি একদিন পর একদিন রোযা পালন করে তার অবস্থা কিরূপ? তিনি বললেন, এটা দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর রোযা। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন যে একদিন রোযা পালন করে ও দু’দিন করে না, তার অবস্থা কিরূপ? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমি আশা করি যে আমার এতটা শক্তি হোক।
তিনি পূনরায় বললেন, প্রতি মাসে তিন দিন রোযা পালন করা এবং রমযান মাসের রোযা এক রমযান থেকে পরবর্তী রমযান পর্যন্ত সারা বছর রোযা পালনের সমান। আর আরাফার দিবসের রোযা সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তাতে পূর্ববর্তী বছর ও পরবর্তী বছরের গুনাহর ক্ষতিপূরণ হয়ে যাবে। আর আশূরার রোযা সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, তাতে পূর্ববর্তী বছরের গুনাহসমূহের কাফফারা হয়ে যাবে।
باب اسْتِحْبَابِ صِيَامِ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَصَوْمِ يَوْمِ عَرَفَةَ وَعَاشُورَاءَ وَالِاثْنَيْنِ وَالْخَمِيسِ
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنْ حَمَّادٍ، - قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، - عَنْ غَيْلاَنَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، رَجُلٌ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَيْفَ تَصُومُ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَأَى عُمَرُ - رضى الله عنه - غَضَبَهُ قَالَ رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ غَضَبِ اللَّهِ وَغَضَبِ رَسُولِهِ . فَجَعَلَ عُمَرُ - رضى الله عنه - يُرَدِّدُ هَذَا الْكَلاَمَ حَتَّى سَكَنَ غَضَبُهُ فَقَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ بِمَنْ يَصُومُ الدَّهْرَ كُلَّهُ قَالَ " لاَ صَامَ وَلاَ أَفْطَرَ - أَوْ قَالَ - لَمْ يَصُمْ وَلَمْ يُفْطِرْ " . قَالَ كَيْفَ مَنْ يَصُومُ يَوْمَيْنِ وَيُفْطِرُ يَوْمًا قَالَ " وَيُطِيقُ ذَلِكَ أَحَدٌ " . قَالَ كَيْفَ مَنْ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا قَالَ " ذَاكَ صَوْمُ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ " . قَالَ كَيْفَ مَنْ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمَيْنِ قَالَ " وَدِدْتُ أَنِّي طُوِّقْتُ ذَلِكَ " . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثٌ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ فَهَذَا صِيَامُ الدَّهْرِ كُلِّهِ صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ وَصِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান