আলফিয়্যাতুল হাদীস
কিয়ামত প্রতিষ্ঠা, শিঙ্গায় ফুঁৎকার, হাশর, হিসাব-নিকাশ ও পুলসিরাত -এর বিষয়সমূহ
১৪ টি হাদীস
সহীহ বুখারী
হাদীস নং:৬০৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৬৫০৪
৩৪৫১. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ "আমাকে পাঠানো হয়েছে কিয়ামতের সাথে এদুটি আঙ্গুলের ন্যায়।"
৬০৬০। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ আমাকে প্রেরণ করা হয়েছে কিয়ামতের সাথে এ রকম (তথা দু আঙ্গুলের দূরত্ব সদৃশ)।
بَابُ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةَ كَهَاتَيْنِ»
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ ـ هُوَ الْجُعْفِيُّ ـ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، وَأَبِي التَّيَّاحِ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةَ كَهَاتَيْنِ ".
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং:৬২৫১
৫৩. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ একশ’ বছরের মাথায় বর্তমান কোন ব্যক্তি ভূপৃষ্ঠে জীবিত থাকবে না
৬২৫১। হারুন ইবনে আব্দুল্লাহ ও হাজ্জাজ ইবনে শা’ইর (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি নবী (ﷺ) কে তাঁর ইন্তিকালের এক মাস পূর্বে বলতে শুনেছি যে, তোমরা আমাকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছ, অথচ তার জ্ঞান তো আল্লাহরই কাছে। আমি আল্লাহর কসম করে বলছি যে, পৃথিবীতে এমন কোন প্রাণবন্ত জীব নেই, যার উপর একশ বছর পূর্ণ হবে।
মুহাম্মাদ ইবনে হাতিম (রাহঃ) ......... ইবনে জুরায়জের সূত্রে এই সনদে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি ″তার ওফাতের এক মাস পূর্বে″ কথাটি উল্লেখ করেননি।
باب قَوْلِهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَأْتِي مِائَةُ سَنَةٍ وَعَلَى الأَرْضِ نَفْسٌ مَنْفُوسَةٌ الْيَوْ
حَدَّثَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَحَجَّاجُ بْنُ الشَّاعِرِ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي أَبُو الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ قَبْلَ أَنْ يَمُوتَ بِشَهْرٍ " تَسْأَلُونِي عَنِ السَّاعَةِ وَإِنَّمَا عِلْمُهَا عِنْدَ اللَّهِ وَأُقْسِمُ بِاللَّهِ مَا عَلَى الأَرْضِ مِنْ نَفْسٍ مَنْفُوسَةٍ تَأْتِي عَلَيْهَا مِائَةُ سَنَةٍ " .
حَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ قَبْلَ مَوْتِهِ بِشَهْرٍ .
حَدَّثَنِيهِ مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ قَبْلَ مَوْتِهِ بِشَهْرٍ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং:২৭৩
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৮ - ১
৬৫. শেষ যুগে ঈমান বিদায় নেবে
২৭৩। যুহাইর ইবনে হারব (রাহঃ) ......... আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ পৃথিবীর বুকে আল্লাহ আল্লাহ’ বলার মত লোক অবশিষ্ট থাকবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত এরূপ অবস্থার সৃষ্টি না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবে না।
باب ذَهَابِ الإِيمَانِ آخِرَ الزَّمَانِ
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى لاَ يُقَالَ فِي الأَرْضِ اللَّهُ اللَّهُ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং:৪৮০৪
৫৩. নবী (ﷺ) এর বাণীঃ আমার উম্মতের একদল লোক হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তাদের বিরোধীরা তাদের ক্ষতিসাধন করতে পারবে না
৪৮০৪। আহমাদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে ওয়াহব (রাহঃ) ......... আব্দুর রহমান ইবনে শামাসাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি মাসলামা ইবনে মুখাল্লাদ (রাযিঃ) এর কাছে বসা ছিলাম। তখন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, কিয়ামত কেবল তখনই কায়েম হবে যখন নিকৃষ্টতম লোকরা থাকবে, ওরা জাহেলিয়াত সম্প্রদায়ের লোকদের চাইতেও নিকৃষ্টতর হবে। তারা আল্লাহর কাছে যে বস্তুর জন্যই দু'আ করবে তিনি তা প্রত্যাখান করবেন। তারা যখন এ আলোচনায় ছিলেন এমন সময় উকবা ইবনে আমির (রাযিঃ) সেখানে এলেন। তখন মাসলামা (রাযিঃ) বললেন, হে উকবা, শুনুন, আব্দুল্লাহ কি বলেছেন? তখন উকবা (রাযিঃ) বললেন, তিনি তা অধিক জানেন।
তবে আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি যে, আমার উম্মতের একটি দল আল্লাহর বিধানের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে লড়ে যাবে। তারা তাদের শক্রদের মোকাবিলায় অত্যন্ত প্রতাপশালী হবে। যারা বিরোধিতা করবে, তারা তাদের কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। এভাবে চলতে চলতে তাদের নিকট কিয়ামত এসে যাবে আর তাঁরা এর উপরই প্রতিষ্ঠিত থাকবে। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, হ্যাঁ।
তারপর আল্লাহ একটি বায়ু প্রবাহ প্রেরণ করবেন, সে বায়ু প্রবাহটি হবে কস্তূরীর সুঘ্রাণের ন্যায়। এবং তার পরশ হবে রেশমের পরশের মত। সে বায়ু এমন একটি লোককেও অবশিষ্ট রাখবে না যার অন্তরে একটি দানা পরিমাণ ঈমান থাকবে। তাদের সকলকে তা কবজ করে নেবে। তারপর কেবল নিকৃষ্টতম লোকগুলোই বাকী থাকবে এবং তাদের উপরই কিয়ামত কায়েম হবে।
باب قَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ‘لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ عَلَى الْحَقِّ لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ خَالَفَهُمْ’
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا عَمِّي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ شُمَاسَةَ الْمَهْرِيُّ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ مَسْلَمَةَ بْنِ مُخَلَّدٍ وَعِنْدَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ لاَ تَقُومُ السَّاعَةُ إِلاَّ عَلَى شِرَارِ الْخَلْقِ هُمْ شَرٌّ مِنْ أَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ لاَ يَدْعُونَ اللَّهَ بِشَىْءٍ إِلاَّ رَدَّهُ عَلَيْهِمْ . فَبَيْنَمَا هُمْ عَلَى ذَلِكَ أَقْبَلَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ فَقَالَ لَهُ مَسْلَمَةُ يَا عُقْبَةُ اسْمَعْ مَا يَقُولُ عَبْدُ اللَّهِ . فَقَالَ عُقْبَةُ هُوَ أَعْلَمُ وَأَمَّا أَنَا فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ تَزَالُ عِصَابَةٌ مِنْ أُمَّتِي يُقَاتِلُونَ عَلَى أَمْرِ اللَّهِ قَاهِرِينَ لِعَدُوِّهِمْ لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ خَالَفَهُمْ حَتَّى تَأْتِيَهُمُ السَّاعَةُ وَهُمْ عَلَى ذَلِكَ " . فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ أَجَلْ . ثُمَّ يَبْعَثُ اللَّهُ رِيحًا كَرِيحِ الْمِسْكِ مَسُّهَا مَسُّ الْحَرِيرِ فَلاَ تَتْرُكُ نَفْسًا فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ حَبَّةٍ مِنَ الإِيمَانِ إِلاَّ قَبَضَتْهُ ثُمَّ يَبْقَى شِرَارُ النَّاسِ عَلَيْهِمْ تَقُومُ السَّاعَةُ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:৫৫৩১
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - শিঙ্গায় ফুৎকার
৫৫৩১। হযরত আবু রাযীন উকাইলী (রাঃ) বলেন, একদা আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহ্ তা'আলা তাঁহার সৃষ্টি জগতকে কিভাবে পুনরুত্থিত করিবেন, তাঁহার মালুকের মধ্যে উহার কোন নিদর্শন আছে কি? তিনি বলিলেনঃ আচ্ছা বল দেখি, (খরার সময় তুমি তোমার এলাকার কোন বিরান মাঠের উপর দিয়া অতিক্রম কর নাই ? অতঃপর (বৃষ্টি বর্ষণের পরে) যখন তুমি সেই মাঠের উপর দিয়া অতিক্রম কর তখন উহা বাতাসে দোলায়িত তরতাজা ঘাস ইত্যাদিতে পরিণত হইয়া যায়? আমি বলিলাম, হ্যাঁ, দেখিয়াছি। এইবার হুযূর (ﷺ) বলিলেন; আল্লাহর সৃষ্টি জগতে ইহাই উহার বাস্তব নিদর্শন। অনুরূপভাবেই আল্লাহ্ তা'আলা মৃতকে জীবিত করিবেন। —হাদীস দুইটি রাযীন রেওয়ায়ত করিয়াছেন।
وَعَن أبي رزين الْعقيلِيّ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ يُعِيدُ الله الْخلق؟ مَا آيَةُ ذَلِكَ فِي خَلْقِهِ؟ قَالَ: «أَمَا مَرَرْتَ بِوَادِي قَوْمِكَ جَدْبًا ثُمَّ مَرَرْتَ بِهِ يَهْتَزُّ خَضِرًا؟» قُلْتُ: نَعَمْ. قَالَ: فَتِلْكَ آيَةُ اللَّهِ فِي خلقه (كَذَلِك يحيي اللَّهُ الْمَوْتَى) رَوَاهُمَا رزين

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং:৩৩৩৩
আন্তর্জাতিক নং: ৩৩৩৩
সূরা ইযাশ-শামসু কুওবিরাত
৩৩৩৩. আব্বাস ইবনে আব্দুল আযীয আল-আম্বারী (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে কেয়ামত দিবসের দৃশ্য চাক্ষুস দেখার মত দেখতে পছন্দ করে সে যেন (إِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ) এবং (إِذَا السَّمَاءُ انْفَطَرَتْ) আর (إذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ) সূরাগুলো পাঠ করে।
بَاب وَمِنْ سُورَةِ إِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ
حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَحِيرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَهُوَ ابْنُ يَزِيدَ الصَّنْعَانِيُّ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ كَأَنَّهُ رَأْىُ عَيْنٍ فَلْيَقْرَأْ ( إِذَا الشَّمْسُ كُوِّرَتْ ) و (إِذَا السَّمَاءُ انْفَطَرَتْ ) وَ (إذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ ) " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং:২৪২৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৪২৯
এতদ্বিষয়ে আরেকটি অনুচ্ছেদ।
২৪৩২. সওয়ায়াদ ইবনে নসর (রাহঃ) ...... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তিলাওয়াত করলেনঃيَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا (সেদিন পৃথিবী তার খবর বিবৃতি করবে - যিলযাল ৯৯ঃ ৪)। বললেনঃ পৃথিবীর বৃত্তান্ত কি তা জান? সাহাবীগণ বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তিনি বললেনঃ এর বৃত্তান্ত হল, প্রত্যেক বান্দা ও বান্দীর সে এই কথার সাক্ষ্য দিবে যে তারা তার উপর কি আমল করেছে? বলবে, অমুক অমুক দিনে সে অমুখ অমুক আমল করেছে। এই হল তার বৃত্তান্ত প্রদান, এই হল তার প্রতি আল্লাহর নির্দেশ এর এগুলিই হল তার বৃত্তান্তসমুহ।
بَابٌ مِنْهُ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلمْ (يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا ) قَالَ " أَتَدْرُونَ مَا أَخْبَارُهَا " . قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ . قَالَ " فَإِنَّ أَخْبَارَهَا أَنْ تَشْهَدَ عَلَى كُلِّ عَبْدٍ أَوْ أَمَةٍ بِمَا عَمِلَ عَلَى ظَهْرِهَا أَنْ تَقُولَ عَمِلَ كَذَا وَكَذَا يَوْمَ كَذَا وَكَذَا قَالَ فَهَذِهِ أَخْبَارُهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং:২৪০৩
আন্তর্জাতিক নং: ২৪০৩
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
২৪০৬. সওয়ায়দ ইবনে নসর (রাহঃ) ..... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ এমন কেউ নেই যে মৃত্যুর পর অনুশোচনা করবে না। সাহাবীগণ বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, কিসের অনুশোচনা হবে? তিনি বললেনঃ যদি সৎকর্মশীল হয় তবে আরো বেশী কেন করল না এই জন্য সে অনুশোচনা করবে। আর অন্যায়কারী হলে বলবে সে কেন অন্যায় থেকে বিরত থাকল না।
باب
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ، سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ أَحَدٍ يَمُوتُ إِلاَّ نَدِمَ " . قَالُوا وَمَا نَدَامَتُهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " إِنْ كَانَ مُحْسِنًا نَدِمَ أَنْ لاَ يَكُونَ ازْدَادَ وَإِنْ كَانَ مُسِيئًا نَدِمَ أَنْ لاَ يَكُونَ نَزَعَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَيَحْيَى بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ قَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ شُعْبَةُ وَهُوَ يَحْيَى بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ مَدَنِيٌّ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
সুনানে আবু দাউদ
হাদীস নং:৪৬৮০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৫৫
২৭. মীযান বা পাল্লা সম্পর্কে।
৪৬৮০. ইয়া’কূব ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) .... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। একদা তিনি জাহান্নামের কথা স্মরণ করে কাঁদতে থাকলে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কাঁদছো কেন? তিনি বলেনঃ জাহান্নামের কথা স্মরণ হওয়ায় আমি কাঁদছি। তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ আপনি কি কিয়ামতের দিন আপনার পরিবার-পরিজনের কথা মনে রাখবেন? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ তিনটি স্থান এমন আছে, যেখানে কেউ কারো কথা স্মরণ করবে না। যথা-
১। মীযান বা মাপের সময়, যতক্ষণ না কেউ জানতে পারবে, তার পাল্লা ভারী- না হালকা,
২। কিতাব বা আমলনামা পাওয়ার সময়, যখন বলা হবেঃ দৌড়ে এসো এবং নিজ নিজ আমলনামা পাঠ কর। যতক্ষণ কেউ জানতে পারবে না যে, তা কোন দিক থেকে আসে- ডান, বাম না পেছনের দিক থেকে এবং
৩। সে সময়- যখন সে পুল-সিরাতের উপর থাকবে এবং তা জাহান্নামের উপর রাখা হবে।
باب فِي ذِكْرِ الْمِيزَانِ
حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَحُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، أَنَّ إِسْمَاعِيلَ بْنَ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنَا يُونُسُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَائِشَةَ، : أَنَّهَا ذَكَرَتِ النَّارَ فَبَكَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : " مَا يُبْكِيكِ " . قَالَتْ : ذَكَرْتُ النَّارَ فَبَكَيْتُ، فَهَلْ تَذْكُرُونَ أَهْلِيكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : " أَمَّا فِي ثَلاَثَةِ مَوَاطِنَ فَلاَ يَذْكُرُ أَحَدٌ أَحَدًا : عِنْدَ الْمِيزَانِ حَتَّى يَعْلَمَ أَيَخِفُّ مِيزَانُهُ أَوْ يَثْقُلُ، وَعِنْدَ الْكِتَابِ حِينَ يُقَالُ ( هَاؤُمُ اقْرَءُوا كِتَابِيَهْ ) حَتَّى يَعْلَمَ أَيْنَ يَقَعُ كِتَابُهُ أَفِي يَمِينِهِ أَمْ فِي شِمَالِهِ أَمْ مِنْ وَرَاءِ ظَهْرِهِ، وَعِنْدَ الصِّرَاطِ إِذَا وُضِعَ بَيْنَ ظَهْرَىْ جَهَنَّمَ " . قَالَ يَعْقُوبُ : عَنْ يُونُسَ وَهَذَا لَفْظُ حَدِيثِهِ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং:৩১৬৫
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৬৫
সূরা আল-আম্বিয়া
৩১৬৪. মুজাহিদ ইবনে মুসা বাগদাদী এবং ফযল ইবনে সাহল আ’রাজ প্রমুখ (রাহঃ) ..... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর সামনে এসে বসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার গোলাম আছে। তারা আমার সাথে মিথ্যা বলে, আমার সাথে খেয়ানত করে। আমার নাফরমানী করে। আমি এদের গাল-মন্দ করি মারধর করি। সুতরাং তাদের বিষয়ে আমি কেমন?
তিনি বললেনঃ তোমার সঙ্গে তারা যে খেয়ানত করেছে, নাফরমানী করেছে ও মিথ্যা বলেছে আর তুমি এ সবের জন্য তাদের যে শাস্তি দিয়েছ তা হিসাব করা হবে। তোমার শাস্তি প্রদান যদি তাদের অপরাধের সম পরিমাণ হয়ে থাকে তবে তা বরাবর হয়ে গেল, তুমিও কিছু পাবে না এবং তোমার কিছু ক্ষতিও হবে না। আর তোমার শাস্তি যদি এদের অপরাধের চেয়ে কম পরিমাণের হয় তবে অতিরিক্ত তোমার পাওনা থাকবে। আর তোমার শাস্তি যদি তাদের অপরাধের চেয়ে বেশী হয়ে থাকে তবে যা অতিরিক্ত হয়েছে, তোমার নিকট থেকে তার প্রতিশোধ নেয়া হবে।
রাবীগণ বলেনঃ লোকটি একপাশে সরে গিয়ে চিৎকার করে কাঁদতে লাগল। রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ তুমি কি আল্লাহর কিতাব পাঠ কর নাঃ
ونَضَعُ الْمَوَازِينَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلاَ تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَإِنْ كَانَ مِثْقَالَ
এবং কিয়মত দিবসে আমি স্থাপন করব মানদন্ড, সুতরাং কারো প্রতি কোন অবিচার হবে না (২১ঃ ৪৭)।
লোকটি বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহুর কসম, এদের পৃথক করে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া আমার ও তাদের জন্য অন্য কিছু পাচ্ছি না। আপনাকে সাক্ষী রেখে বলছি। এরা সব আযাদ।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الأَنْبِيَاءِ
حَدَّثَنَا مُجَاهِدُ بْنُ مُوسَى، - بَغْدَادِيٌّ - وَالْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ الأَعْرَجُ بَغْدَادِيٌّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ غَزْوَانَ أَبُو نُوحٍ، حَدَّثَنَا لَيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَجُلاً، قَعَدَ بَيْنَ يَدَىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي مَمْلُوكَيْنِ يُكْذِبُونَنِي وَيَخُونُونَنِي وَيَعْصُونَنِي وَأَشْتُمُهُمْ وَأَضْرِبُهُمْ فَكَيْفَ أَنَا مِنْهُمْ قَالَ " يُحْسَبُ مَا خَانُوكَ وَعَصَوْكَ وَكَذَبُوكَ وَعِقَابُكَ إِيَّاهُمْ فَإِنْ كَانَ عِقَابُكَ إِيَّاهُمْ بِقَدْرِ ذُنُوبِهِمْ كَانَ كَفَافًا لاَ لَكَ وَلاَ عَلَيْكَ وَإِنْ كَانَ عِقَابُكَ إِيَّاهُمْ دُونَ ذُنُوبِهِمْ كَانَ فَضْلاً لَكَ وَإِنْ كَانَ عِقَابُكَ إِيَّاهُمْ فَوْقَ ذُنُوبِهِمُ اقْتُصَّ لَهُمْ مِنْكَ الْفَضْلُ " . قَالَ فَتَنَحَّى الرَّجُلُ فَجَعَلَ يَبْكِي وَيَهْتِفُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَا تَقْرَأُ كِتَابَ اللَّهِ : ( ونَضَعُ الْمَوَازِينَ الْقِسْطَ لِيَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلاَ تُظْلَمُ نَفْسٌ شَيْئًا وَإِنْ كَانَ مِثْقَالَ ) الآيَةَ . فَقَالَ الرَّجُلُ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَجِدُ لِي وَلِهَؤُلاَءِ شَيْئًا خَيْرًا مِنْ مُفَارَقَتِهِمْ أُشْهِدُكُمْ أَنَّهُمْ أَحْرَارٌ كُلَّهُمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَزْوَانَ وَقَدْ رَوَى أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ غَزْوَانَ هَذَا الْحَدِيثَ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং:২৬৩৯
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৩৯
’আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই’-এ কথার সাক্ষ্য দিয়ে যে ব্যক্তি মারা যায়।
২৬৪০. সুওয়ায়দ ইবনে নসর (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ্ তাআলা কিয়ামতের দিন আমার উম্মতের এক ব্যক্তিকে সমস্ত সৃষ্টির সম্মুখে আলাদা করে এনে হাযির করবেন। তার সামনে নিরানব্বইটি (আমলের) নিবন্ধন খাতা খুলে দিবেন। এক একটি নিবন্ধন খাতা হবে যতদূর দৃষ্টি যায় ততদূর পর্যন্ত বিস্তৃত। এরপর তিনি তাকে বললেনঃ এর একটি কিছুও কি অস্বীকার করতে পার? আমার সংরক্ষণকারী লিপিকারগণ (কিরামান কাতিবীন) কি তোমার উপর কোন যুলুম করেছে?
লোকটি বলবেঃ না, হে আমার পরওয়ারদিগার।
আল্লাহ্ তাআলা বলবেন, তোমার কিছু বলার আছে কি? লোকটি বলবেঃ না, হে পরওয়ারদিগার।
তিনি বলবেনঃ হ্যাঁ, আমার কাছে তোমার একটি নেকী আছে। আজ তো তোমার উপর কোন যুলুম হবে না।
তখন একটি ছোট্ট কাগজের টুকরা বের করা হবে। এতে আছে ’আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু’ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, কোন ইলাহা নেই আল্লাহ্ ছাড়া আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর বান্দা ও রাসূল।
আল্লাহ্ তাআলা বলবেনঃ চল, এর ওজনের ক্ষেত্রে হাযির হও। লোকটি বলবেঃ ওহে আমার রব, এই একটি ছোট্ট টুকরা আর এতগুলো নিবন্ধন খাতা। কোথায় কি?
তিনি বলবেনঃ তোমার উপর অবশ্যই কোন যুলুম করা হবে না।
অনন্তর সবগুলো নিবন্ধন খাতা এক পাল্লায় রাখা হবে আর ছোট্র সেই টুকরাটিকে আরেক পাল্লায় রাখা হবে। (আল্লাহর কি মহিমা) সবগুলো দপ্তর (ওজনে) হালকা হয়ে যাবে আর ছোট্ট টুকরাটিই হয়ে পড়বে ভারী। আল্লাহর নামের মুকাবেলায় কোন জিনিসই ভারী হবে না। - ইবনে মাজাহ
হাদীসটি হাসান-গারীব। কুতায়বা (রাহঃ) ......... আমির ইবনে ইয়াহয়া (রাহঃ) থেকে এই সনদে উক্ত মর্মে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
البِطاقة টুকরা, খণ্ড।
باب مَا جَاءَ فِيمَنْ يَمُوتُ وَهُوَ يَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ لَيْثِ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي عَامِرُ بْنُ يَحْيَى، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَعَافِرِيِّ، ثُمَّ الْحُبُلِيِّ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ سَيُخَلِّصُ رَجُلاً مِنْ أُمَّتِي عَلَى رُءُوسِ الْخَلاَئِقِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيَنْشُرُ عَلَيْهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ سِجِلاًّ كُلُّ سِجِلٍّ مِثْلُ مَدِّ الْبَصَرِ ثُمَّ يَقُولُ أَتُنْكِرُ مِنْ هَذَا شَيْئًا أَظَلَمَكَ كَتَبَتِي الْحَافِظُونَ فَيَقُولُ لاَ يَا رَبِّ . فَيَقُولُ أَفَلَكَ عُذْرٌ فَيَقُولُ لاَ يَا رَبِّ . فَيَقُولُ بَلَى إِنَّ لَكَ عِنْدَنَا حَسَنَةً فَإِنَّهُ لاَ ظُلْمَ عَلَيْكَ الْيَوْمَ فَتَخْرُجُ بِطَاقَةٌ فِيهَا أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ فَيَقُولُ احْضُرْ وَزْنَكَ فَيَقُولُ يَا رَبِّ مَا هَذِهِ الْبِطَاقَةُ مَعَ هَذِهِ السِّجِلاَّتِ فَقَالَ إِنَّكَ لاَ تُظْلَمُ . قَالَ فَتُوضَعُ السِّجِلاَّتُ فِي كِفَّةٍ وَالْبِطَاقَةُ فِي كِفَّةٍ فَطَاشَتِ السِّجِلاَّتُ وَثَقُلَتِ الْبِطَاقَةُ فَلاَ يَثْقُلُ مَعَ اسْمِ اللَّهِ شَيْءٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ يَحْيَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ يَحْيَى، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:৫৫৬২
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - হিসাব-নিকাশ, প্রতিশোধ গ্রহণ ও মীযানের বর্ণনা
৫৫৬২। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, আমি কোন কোন নামাযে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলিতেনঃ اللَّهُمَّ حَاسِبْنِيْ حِسَابًا يُسِيرًا (অর্থাৎ, হে আল্লাহ্! আমার নিকট হইতে সহজ হিসাব নিও।) আমি বলিলাম, হে আল্লাহর নবী! সহজ হিসাব কি? তিনি বলিলেনঃ বান্দা তাহার (কৃত গোনাহসমূহের) আমলনামা দেখিবে, অতঃপর আল্লাহ্ তাহাকে মাফ করিয়া দিবেন। হে আয়েশা। জানিয়া রাখ, সেই দিন যাহার হিসাবে যাচাই-বাচাই করা হইবে, সে নিশ্চিত ধ্বংস হইবে। ——আহমদ
وَعَنْهَا قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِي بَعْضِ صَلَاتِهِ: اللَّهُمَّ حَاسِبْنِي حِسَابًا يَسِيرًا قُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا الْحِسَابُ الْيَسِيرُ؟ قَالَ: «أَنْ يَنْظُرَ فِي كِتَابه فيتجاوز عَنْهُ إِنَّهُ مَنْ نُوقِشَ الْحِسَابَ يَوْمَئِذٍ يَا عَائِشَة هلك» . رَوَاهُ أَحْمد

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:৫৫৬৩
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - হিসাব-নিকাশ, প্রতিশোধ গ্রহণ ও মীযানের বর্ণনা
৫৫৬৩। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা তিনি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া বলিলেন, যেইদিন সম্পর্কে মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্ বলিয়াছেনঃ “সেই দিন সমস্ত মানুষ উভয় জাহানের প্রভুর সম্মুখে দণ্ডায়মান হইবে।” আমাকে বলুন! কোন ব্যক্তির সেই কিয়ামতের দিন আল্লাহর সম্মুখে দাঁড়াইবার সাধ্য হইবে? তখন তিনি বলিলেনঃ সেই দিন (-এর ভয়াবহতা) ঈমানদারের জন্য অতি হালকা করা হইবে। এমন কি ঐ দিন তাহার জন্য একটি ফরয নামায (আদায়ের সময়ের) ন্যায় হইবে।
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: أَخْبِرْنِي مَنْ يَقْوَى عَلَى الْقِيَامِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ الَّذِي قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: (يَوْمَ يَقُومُ النَّاسُ لربِّ الْعَالمين) ؟ فَقَالَ: «يُخَفَّفُ عَلَى الْمُؤْمِنِ حَتَّى يَكُونَ عَلَيْهِ كَالصَّلَاةِ الْمَكْتُوبَة»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব
হাদীস নং:৯১৬
কিয়ামুল লায়লের প্রতি অনুপ্রেরণা
৯১৬. হযরত আসমা বিনত ইয়াযীদ (রা) থেকে রাসূলুল্লাহ (সা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন। মানুষকে একটি সমতল ভূখণ্ডে একত্র করা হবে। একজন আহ্বানকারী তখন ডেকে বলবেঃ ঐ সমস্ত লোক কোথায়, যারা তাদের শরীর বিছানা থেকে পৃথক রাখত। তারা সালাত আদায় করত, তবে তাদের সংখ্যা হবে খুবই নগণ্য। তারা বিনা-হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অতঃপর অন্য সব মানুষকে হিসাব-নিকাশের দিকে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।
(বায়হাকী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
التَّرْغِيب فِي قيام اللَّيْل
916 - وَرُوِيَ عَن أَسمَاء بنت يزِيد رَضِي الله عَنْهَا عَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ يحْشر النَّاس فِي صَعِيد وَاحِد يَوْم الْقِيَامَة فينادي مُنَاد فَيَقُول أَيْن الَّذين كَانُوا تَتَجَافَى جنُوبهم عَن الْمضَاجِع فَيقومُونَ وهم قَلِيل فَيدْخلُونَ الْجنَّة بِغَيْر حِسَاب ثمَّ يُؤمر بِسَائِر النَّاس إِلَى الْحساب
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ
رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী: