আলফিয়্যাতুল হাদীস
কারও নিকট চাওয়া থেকে বিরত থাকা; (ﷺ)- এর বাণী ‘‘উপরের হাত নিচের হাত অপেক্ষা উত্তম ’’ -এর বিষয়সমূহ
৬ টি হাদীস
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:১৮৪৩
৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল
১৮৪৩। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, একদা রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে দাঁড়াইয়া সদকা এবং সওয়াল হইতে বিরত থাকা সম্পর্কে আলোচনা করিতে যাইয়া বলিলেন: উপরের হাত হইল নীচের হাত অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। উপরের হাত হইল দাতা হাত এবং নীচের হাত হইল গ্রহীতা হাত।
بَاب مَنْ لَا تَحِلُّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ وَمَنْ تَحِلُّ لَه
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَذْكُرُ الصَّدَقَةَ وَالتَّعَفُّفَ عَنِ الْمَسْأَلَةِ: «الْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنَ الْيَدِ السُّفْلَى وَالْيَد الْعليا هِيَ المنفقة وَالْيَد السُّفْلى هِيَ السائلة»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

সহীহ বুখারী
হাদীস নং:১৩৮৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৪৭১
৯৩২. যাচনা (সওয়াল করা) থেকে বিরত থাকা।
১৩৮৬। মুসা (রাহঃ) ......... যুবাইর ইবনে আওয়াম (রাযিঃ) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ রশি নিয়ে তার পিঠে কাঠের বোঝা বয়ে আনা এবং তা বিক্রি করা, ফলে আল্লাহ তার চেহারাকে (ভিক্ষা করার অপমান থেকে) রক্ষা করেন। তা মানুষের কাছে সওয়াল করার চাইতে উত্তম, চাই তারা দিক বা না দিক।
باب الاِسْتِعْفَافِ عَنِ الْمَسْأَلَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لأَنْ يَأْخُذَ أَحَدُكُمْ حَبْلَهُ فَيَأْتِيَ بِحُزْمَةِ الْحَطَبِ عَلَى ظَهْرِهِ فَيَبِيعَهَا فَيَكُفَّ اللَّهُ بِهَا وَجْهَهُ، خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَنْ يَسْأَلَ النَّاسَ أَعْطَوْهُ أَوْ مَنَعُوهُ ".
সুনানে আবু দাউদ
হাদীস নং:১৬৪১
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪১
২৬. যে অবস্থায় যাঞ্ছা করা বৈধ।
১৬৪১. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ..... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক আনসারী ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে কিছু সাহায্য প্রার্থনা করে। তখন তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমার ঘরে কি কিছু নাই? সে বলেঃ হ্যাঁ, একটি কম্বল মাত্র যার অর্ধেক আমি পরিধান করি এবং বাকী অর্ধেক বিছিয়ে শয়ন করি। আর আছে একটি পেয়ালা, যাতে আমি পানি পান করি। তিনি বলেনঃ উভয় বস্তু আমার নিকট নিয়ে আস। রাবী বলেনঃ সে তা আনয়ন করলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা স্বহস্তে ধারণ পূর্বক (নিলামের ডাকের মত) বলেনঃ কে এই দুটি ক্রয় করতে ইচ্ছুক? এক ব্যক্তি বলে, আমি তা এক দিরহামের বিনিময়ে গ্রহণ করতে চাই।
অতঃপর তিনি বলেনঃ এক দিরহামের অধিক কে দিবে? তিনি দুই বা তিনবার এইরূপ উচ্চারণ করেন। তখন এক ব্যক্তি বলে, আমি তা দুই দিরহামের বিনিময়ে গ্রহণ করব। তিনি সেই ব্যক্তিকে তা প্রদান করেন এবং বিনিময়ে দুইটি দিরহাম গ্রহণ করেন। অতঃপর তিনি তা আনসারীর হাতে তুলে দিয়ে বলেনঃ এর একটি দিরহাম দিয়ে কিছু খাদ্য ক্রয় করে তোমার পরিবার-পরিজনদের দাও; আর বাকী এক দিরহাম দিয়ে একটি কুঠার কিনে আমার নিকট আস। লোকটি কুঠার কিনে আনলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বহস্তে তাতে হাতল লাগিয়ে তার হাতে দিয়ে বলেনঃ এখন তুমি যাও এবং জঙ্গল হতে কাঠ কেটে এনে বিক্রী কর। আর আমি যেন তোমাকে পনের দিন না দেখি।
অতঃপর সে চলে গেল এবং কাঠ কেটে এনে বিক্রয় করতে থাকে। অতঃপর সে (পনের দিন পর) আসল। সে তখন প্রাপ্ত হয়েছিল দশটি দিরহাম যা দিয়ে সে কিছু কাপড় এবং কিছু খাদ্য ক্রয় করল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ ভিক্ষাবৃত্তির চাইতে এটা তোমার জন্য উত্তম। কেননা ভিক্ষাবৃত্তির ফলে কিয়ামতের দিন তোমার চেহারা ক্ষত-বিক্ষত হত। ভিক্ষা চাওয়া তিন শ্রেনীর ব্যক্তি ব্যতীত অন্যদের জন্য হালাল নয়ঃ (১) ধূলা-মলিন নিঃস্ব ভিক্ষুকের জন্য, (২) প্রচন্ড ঋণের চাপে জর্জরিত ব্যক্তির জন্য এবং (৩) যার উপর দিয়াত (রক্তপণ) আছে, অথচ তা পরিশোধের অক্ষমতার কারণে নিজের জীবন বিপন্ন— এ ধরনের ব্যক্তিরা যাচ্ঞা করতে পারে।
باب مَا تَجُوزُ فِيهِ الْمَسْأَلَةُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، عَنِ الأَخْضَرِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ أَبِي بَكْرٍ الْحَنَفِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَسْأَلُهُ فَقَالَ " أَمَا فِي بَيْتِكَ شَىْءٌ " . قَالَ بَلَى حِلْسٌ نَلْبَسُ بَعْضَهُ وَنَبْسُطُ بَعْضَهُ وَقَعْبٌ نَشْرَبُ فِيهِ مِنَ الْمَاءِ . قَالَ " ائْتِنِي بِهِمَا " . فَأَتَاهُ بِهِمَا فَأَخَذَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ وَقَالَ " مَنْ يَشْتَرِي هَذَيْنِ " . قَالَ رَجُلٌ أَنَا آخُذُهُمَا بِدِرْهَمٍ . قَالَ " مَنْ يَزِيدُ عَلَى دِرْهَمٍ " . مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا قَالَ رَجُلٌ أَنَا آخُذُهُمَا بِدِرْهَمَيْنِ . فَأَعْطَاهُمَا إِيَّاهُ وَأَخَذَ الدِّرْهَمَيْنِ وَأَعْطَاهُمَا الأَنْصَارِيَّ وَقَالَ " اشْتَرِ بِأَحَدِهِمَا طَعَامًا فَانْبِذْهُ إِلَى أَهْلِكَ وَاشْتَرِ بِالآخَرِ قَدُومًا فَأْتِنِي بِهِ " . فَأَتَاهُ بِهِ فَشَدَّ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عُودًا بِيَدِهِ ثُمَّ قَالَ لَهُ " اذْهَبْ فَاحْتَطِبْ وَبِعْ وَلاَ أَرَيَنَّكَ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا " . فَذَهَبَ الرَّجُلُ يَحْتَطِبُ وَيَبِيعُ فَجَاءَ وَقَدْ أَصَابَ عَشَرَةَ دَرَاهِمَ فَاشْتَرَى بِبَعْضِهَا ثَوْبًا وَبِبَعْضِهَا طَعَامًا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَذَا خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ تَجِيءَ الْمَسْأَلَةُ نُكْتَةً فِي وَجْهِكَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّ الْمَسْأَلَةَ لاَ تَصْلُحُ إِلاَّ لِثَلاَثَةٍ لِذِي فَقْرٍ مُدْقِعٍ أَوْ لِذِي غُرْمٍ مُفْظِعٍ أَوْ لِذِي دَمٍ مُوجِعٍ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
সুনানে আবু দাউদ
হাদীস নং:১৬৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৬
২৮. ভিক্ষাবৃত্তি বা কারো কাছে কিছু চাওয়া থেকে নিবৃত্ত থাকা।
১৬৪৬. কুতায়বা ইবনে সাঈদ (রাহঃ) ...... ইবনুল ফিরাসী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কি (লোকের নিকট) সাওয়ালকরব? নবী করীম (ﷺ) বলেনঃ না। আর একান্তই যদি তোমাকে কিছু প্রার্থনা করতে হয় তবে অবশ্যই উত্তম লোকদের নিকট চাইবে।
باب فِي الاِسْتِعْفَافِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ سَوَادَةَ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ مَخْشِيٍّ، عَنِ ابْنِ الْفِرَاسِيِّ، أَنَّ الْفِرَاسِيَّ، قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَسْأَلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ وَإِنْ كُنْتَ سَائِلاً لاَ بُدَّ فَاسْأَلِ الصَّالِحِينَ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান

বর্ণনাকারী:
সুনানে আবু দাউদ
হাদীস নং:১৬৪৫
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৪৫
২৮. ভিক্ষাবৃত্তি বা কারো কাছে কিছু চাওয়া থেকে নিবৃত্ত থাকা।
১৬৪৫. মুসাদ্দাদ (রাহঃ) ...... ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি দারিদ্র্য পীড়িত হয়ে তা মানুষের নিকট প্রকাশ করে, আল্লাহ তার দারিদ্র্য দূর করেন না। অপরপক্ষে যে ব্যক্তি তা আল্লাহর কাছে পেশ করে আল্লাহ তাকে অমুখাপেক্ষী করেন, হয় দ্রুত মৃত্যুর মাধ্যমে অথবা সম্পদশালী করার মাধ্যমে।
باب فِي الاِسْتِعْفَافِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، ح حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ حَبِيبٍ أَبُو مَرْوَانَ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، - وَهَذَا حَدِيثُهُ - عَنْ بَشِيرِ بْنِ سَلْمَانَ، عَنْ سَيَّارٍ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ طَارِقٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ فَأَنْزَلَهَا بِالنَّاسِ لَمْ تُسَدَّ فَاقَتُهُ وَمَنْ أَنْزَلَهَا بِاللَّهِ أَوْشَكَ اللَّهُ لَهُ بِالْغِنَى إِمَّا بِمَوْتٍ عَاجِلٍ أَوْ غِنًى عَاجِلٍ " .
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:১৮৫৭
৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - যার জন্য কিছু চাওয়া হালাল নয় এবং যার জন্য হালাল
১৮৫৭। হযরত সওবান (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেনঃ যে আমার নিকট অঙ্গীকার করিতে পারে যে, সে মানুষের নিকট কিছু চাহিবে না, আমি তাহার জন্য জান্নাতের অঙ্গীকার করিতে পারি। ইহা শুনিয়া সওবান বলিলেন, হুযুর, আমি এই অঙ্গীকার করিতে পারি। রাবী বলেন, অতঃপর হযরত সওবান কাহারও নিকট কিছু চাহেন নাই। —আবু দাউদ ও নাসায়ী
وَعَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَكْفُلُ لِي أَنْ لَا يَسْأَلَ النَّاسَ شَيْئًا فَأَتَكَفَّلَ لَهُ بِالْجَنَّةِ؟» فَقَالَ ثَوْبَانُ: أَنَا فَكَانَ لَا يَسْأَلُ أَحَدًا شَيْئا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
