আলফিয়্যাতুল হাদীস
কুরবানির তাৎপর্য ও তার প্রতিফল -এর বিষয়সমূহ
৪ টি হাদীস
সুনানে ইবনে মাজা
হাদীস নং:৩১২৭
আন্তর্জাতিক নং: ৩১২৭
কুরবানী সাওয়াব
৩১২৭। মুহাম্মাদ ইব্ন খালাফ আসকালীন (রাহঃ)....... যায়িদ ইব্ন আরকাম (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর সাহাবীগণ বলেন-ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)! এই কুরবানী কি? তিনি বলেন, তোমাদের পিতা ইবরাহীম (আ)-এর সুন্নত তারা পুনরায় জিজ্ঞাসা করেন, হে আল্লাহর রাসূল! এতে আমাদের জন্য কি (সাওয়াব) রয়েছে? তিনি বলেনঃ প্রতিটি পশমের বিনিময়ে একটি করে নেকী রয়েছে। তাঁরা বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! লোমশপশুদের পরিবর্তে কি হবে (এদের পশম তো অনেক বেশী)? তিনি বলেনঃ লোমশপশুর প্রতিটি পশমের বিনিময়ে ও একটি করে নেকী রয়েছে।
بَاب ثَوَابِ الْأُضْحِيَّةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَلَفٍ الْعَسْقَلاَنِيُّ، حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا سَلاَّمُ بْنُ مِسْكِينٍ، حَدَّثَنَا عَائِذُ اللَّهِ، عَنْ أَبِي دَاوُدَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ قَالَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا هَذِهِ الأَضَاحِيُّ قَالَ " سُنَّةُ أَبِيكُمْ إِبْرَاهِيمَ " . قَالُوا فَمَا لَنَا فِيهَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " بِكُلِّ شَعَرَةٍ حَسَنَةٌ " . قَالُوا فَالصُّوفُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " بِكُلِّ شَعَرَةٍ مِنَ الصُّوفِ حَسَنَةٌ " .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:১৪৭০
৪৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৭০। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেন কোরবানীর দিনে বনী আদম এমন কোন কাজ করিতে পারে না যাহা আল্লাহর নিকট রক্ত প্রবাহিত করা (অর্থাৎ, কোরবানী করা) অপেক্ষা প্রিয়তর হইতে পারে। কোরবানীর পশুসকল—উহাদের শিং, উহাদের পশম ও উহাদের খুরসহ কেয়ামতের দিন (কোরবানীকারীর পাল্লায়) আসিয়া হাযির হইবে। এবং কোরবানীর পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বেই আল্লাহর নিকট সম্মানের স্থানে পৌঁছিয়া যায়। সুতরাং তোমরা প্রফুল্লচিত্তে কোরবানী করিবে। — তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا عَمِلَ ابْنُ آدَمَ مِنْ عَمَلٍ يَوْمَ النَّحْرِ أَحَبَّ إِلَى اللَّهِ مِنْ إِهْرَاقِ الدَّمِ وَإِنَّهُ لَيُؤْتَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِقُرُونِهَا وَأَشْعَارِهَا وَأَظْلَافِهَا وَإِنَّ الدَّمَ لَيَقَعُ مِنَ الله بمَكَان قبل أَن يَقع بِالْأَرْضِ فيطيبوا بهَا نفسا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
জামে' তিরমিযী
হাদীস নং:১৫০৭
আন্তর্জাতিক নং: ১৫০৭
শিরোনামবিহীন পরিচ্ছেদ।
১৫১৩। আহমাদ ইবনে মানী‘ ও হান্নাদ (রাহঃ) ......... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মদীনায় দশ বছর অবস্থান করেছেন এবং তিনি (প্রতিবছর) কুরবানীও করেছেন।
ইমাম আবু ঈসা (রাহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَهَنَّادٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْمَدِينَةِ عَشْرَ سِنِينَ يُضَحِّي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ
হাদীস নং:১৪৬১
৪৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কুরবানী
১৪৬১।হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) এক কোরবানীর দিনে দুইটি ধূসর রংয়ের শিংওয়ালা খাসী দুম্বা যবাহ্ করিলেন এবং যখন উহাদের কেবলামুখী করিলেন, বলিলেনঃ “আমি আমার চেহারাকে ফিরাইলাম তাঁহার দিকে যিনি আসমানসমূহ ও যমীনকে সৃষ্টি করিয়াছেন, সকল দিক হইতে বিমুখ হইয়া এবং নিজকে ইবরাহীমের দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত করিয়া; আর আমি মুশরিকদের অন্তর্গত নহি (যাহারা দেব-দেবীর নামে যবাহ্ করিয়া থাকে)। উপরন্তু আমার নামায, আমার কোরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ সবই বিশ্বমণ্ডলের পালনকর্তা আল্লাহর উদ্দেশ্যে। তাঁহার কোন শরীক নাই। আমি ইহারই জন্য আদিষ্ট হইয়াছি এবং আমি মুসলমানদের (আত্মসমর্পণকারীদের) অন্তর্গত। হে খোদা! তোমার পক্ষ হইতেই প্রাপ্ত এবং তোমারই জন্য উৎসর্গিত। তুমি কবুল কর মুহাম্মাদের পক্ষ হইতে এবং তাহার উম্মতগণের পক্ষ হইতে।” অতঃপর হুযূর ‘বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবর' বলিয়া যবাহ্ করিলেন। —আমদ, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ্ ও দারেমী। কিন্তু আহমদ, আবু দাউদ ও তিরমিযী বর্ণনা করিয়াছেন, আপন হাতে যবাহ্ করিলেন এবং বলিলেন, "বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবর' হে আল্লাহ্! ইহা আমার পক্ষে এবং আমার উম্মতগণের মধ্যে যাহারা কোরবানী করিতে পারে নাই তাহাদের পক্ষে কবূল কর!
عَنْ جَابِرٍ قَالَ: ذَبَحَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الذَّبْحِ كَبْشَيْنِ أَقْرَنَيْنِ أَمْلَحَيْنِ موجئين فَلَمَّا وجههما قَالَ: «إِنِّي وجهت وَجْهي للَّذي فطر السَّمَوَات وَالْأَرْضَ عَلَى مِلَّةِ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لَا شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أَمَرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ مِنْكَ وَلَكَ عَنْ مُحَمَّدٍ وَأُمَّتِهِ بِسْمِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ ثُمَّ ذَبَحَ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ وَفِي رِوَايَةٍ لِأَحْمَدَ وَأَبِي دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيِّ: ذَبَحَ بِيَدِهِ وَقَالَ: «بِسْمِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُمَّ هَذَا عَنِّي وَعَمَّنْ لَمْ يُضَحِّ من أمتِي»

তাহকীক:
তাহকীক চলমান