আলফিয়্যাতুল হাদীস

বিতরের রাকাত সংখ্যা -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সুনানে আবু দাউদ

হাদীস নং:১৩৬২
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৬২
৩২১. রাতের (তাহাজ্জুদ) নামায সম্পর্কে।
১৩৬২. আহমাদ ইবনে সালেহ (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবনে আবু কায়েস (রাহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি আয়িশা (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাত্রিতে বিতর সহ কত রাকআত নামায আদায় করতেন? তিনি বলেনঃ তিনি চার রাকআত ও তিন রাকআত বিতর আদায় করতেন এবং কখনও ছয় রাক'আত ও তিন রাকআত ও বিতর আদায় করতেন এবং কখনও আট রাকআত আদায় করতেন এবং (কোন কোন সময়) তিনি মোট তের রাকআত নামায আদায় করতেন। তবে সাধারণতঃ তিনি সাত রাকআতের কম এবং তের রাকআতের অধিক নামায আদায় করতেন না। তিনি ফজরের সুন্নত কোন সময় ত্যাগ করতেন না - এটা রাবী আহমদের বর্ণনা। রাবী আহমাদের বর্ণনায় ছয় এবং তিন রাকআতের কথা উল্লেখ নাই।
باب فِي صَلاَةِ اللَّيْلِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ الْمُرَادِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَيْسٍ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ رضى الله عنها : بِكَمْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُوتِرُ قَالَتْ : كَانَ يُوتِرُ بِأَرْبَعٍ وَثَلاَثٍ، وَسِتٍّ وَثَلاَثٍ، وَثَمَانٍ وَثَلاَثٍ، وَعَشْرٍ وَثَلاَثٍ، وَلَمْ يَكُنْ يُوتِرُ بِأَنْقَصَ مِنْ سَبْعٍ، وَلاَ بِأَكْثَرَ مِنْ ثَلاَثَ عَشْرَةَ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ زَادَ أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ : وَلَمْ يَكُنْ يُوتِرُ بِرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْفَجْرِ . قُلْتُ : مَا يُوتِرُ قَالَتْ : لَمْ يَكُنْ يَدَعُ ذَلِكَ . وَلَمْ يَذْكُرْ أَحْمَدُ : وَسِتٍّ وَثَلاَثٍ .

জামে' তিরমিযী

হাদীস নং:৪৬০
আন্তর্জাতিক নং: ৪৬০
বিতর তিন রাকআত।
৪৬০. হান্নাদ (রাহঃ) .... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল (ﷺ) তিন রাকআত বিতর করতেন। এতে তিনি ‘মুফসসাল’ এর নয়টি সূরা তিলাওয়াত করতেন। প্রতি রাকআতে পড়তেন তিনটি করে। শেষ সূরাটি হতো (সূরা ইখলাস)। এই বিষয়ে ইমরান ইবনে হুসাইন, আয়িশা, ইবনে আব্বাস, আবু আইয়ুব, উবাই ইবনে কা’ব, আব্দুর রহমান ইবনে আবযা (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আব্দুর রহমান ইবনে আব্যা (রাযিঃ) সূত্রে সরাসরি রাসূল (ﷺ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। কোন কোন রাবী এই ধরনের রিওয়ায়াত করেছেন। তারা মাঝে উবাই ইবনে কা’ব (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেননি। আর কোন কোন রাবী উবাই (রাযিঃ)-এর নাম মাঝে উল্লেখ করেছেন। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ সাহাবী ও পরবর্তী যুগের বহু আলিম এই হাদীস অনুসারে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেনঃ বিতর হল তিন রাকআত। সুফিয়ান (রাহঃ) বলেনঃ ইচ্ছা করলে পাঁচ রাকআত, ইচ্ছা করলে তিন রাকআত বা এক রাকআতও বিতর হিসাবে পড়া যায়। তবে আমরা নিকট পছন্দনীয় হল তিন রাকআত বা এক রাকআতও বিতর হিসাবে পড়া যায়। তবে আমার নিকট পছন্দনীয় হল তিন রাকআত পড়া। এ হল ইবনে মুবারক ও কূফাবাসী ফকীহগণেরও অভিমত। সাঈদ ইবনে ইয়াকুব আত্-তালেকানী (রাহঃ) মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ তারা (সাহাবী ও তাবি’ঈগণ) পাঁচ বা তিন বা এক রাকআত বিতর আদায় করা যায় বলে মনে করতেন এবং এর সব কটিকেই ভাল বলে জানতেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْوِتْرِ بِثَلاَثٍ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْحَارِثِ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُوتِرُ بِثَلاَثٍ يَقْرَأُ فِيهِنَّ بِتِسْعِ سُوَرٍ مِنَ الْمُفَصَّلِ يَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ بِثَلاَثِ سُوَرٍ آخِرُهُنَّْ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَعَائِشَةَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَأَبِي أَيُّوبَ . وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبْزَى عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ وَيُرْوَى أَيْضًا عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . هَكَذَا رَوَى بَعْضُهُمْ فَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنْ أُبَىٍّ وَذَكَرَ بَعْضُهُمْ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبْزَى عَنْ أُبَىٍّ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ ذَهَبَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ إِلَى هَذَا وَرَأَوْا أَنْ يُوتِرَ الرَّجُلُ بِثَلاَثٍ . قَالَ سُفْيَانُ إِنْ شِئْتَ أَوْتَرْتَ بِخَمْسٍ وَإِنْ شِئْتَ أَوْتَرْتَ بِثَلاَثٍ وَإِنْ شِئْتَ أَوْتَرْتَ بِرَكْعَةٍ . قَالَ سُفْيَانُ وَالَّذِي أَسْتَحِبُّ أَنْ أُوتِرَ بِثَلاَثِ رَكَعَاتٍ . وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ وَأَهْلِ الْكُوفَةِ . حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ يَعْقُوبَ الطَّالْقَانِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ كَانُوا يُوتِرُونَ بِخَمْسٍ وَبِثَلاَثٍ وَبِرَكْعَةٍ وَيَرَوْنَ كُلَّ ذَلِكَ حَسَنًا .