আলফিয়্যাতুল হাদীস

ঋণের ব্যাপারে শরীয়তের কঠোরতা -এর বিষয়সমূহ

টি হাদীস

সহীহ মুসলিম

হাদীস নং:৪৭৩০
৩২. ঋণ ছাড়া শহীদদের সকল গুনাহ মাফ
৪৭৩০। যাকারিয়া ইবনে ইয়াহয়া ইবনে সালিহ মিসরী (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ ঋণ ছাড়া শহীদের সকল গুনাহই মাফ করে দেওয়া হবে।
باب مَنْ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ كُفِّرَتْ خَطَايَاهُ إِلاَّ الدَّيْنَ
حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ بْنُ يَحْيَى بْنِ صَالِحٍ الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ، - يَعْنِي ابْنَ فَضَالَةَ - عَنْ عَيَّاشٍ، - وَهُوَ ابْنُ عَبَّاسٍ الْقِتْبَانِيُّ - عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يُغْفَرُ لِلشَّهِيدِ كُلُّ ذَنْبٍ إِلاَّ الدَّيْنَ " .

মিশকাতুল মাসাবীহ

হাদীস নং:২৯২৯
৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - দেউলিয়া (দারিদ্র্য) হওয়া এবং ঋণীকে অবকাশ দান
২৯২৯। হযরত মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে জাহশ (রাঃ) বলেন, একদা আমরা মসজিদের সম্মুখস্থ খোলা জায়গায় বসা ছিলাম, যথায় জানাযা রাখা হইত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)ও আমাদের মধ্যে উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি আকাশপানে চোখ উঠাইলেন এবং তাকাইলেন; অতঃপর দৃষ্টিকে অবনত করিয়া ললাটের উপর হাত রাখিলেন এবং বলিলেন, সোবহানাল্লাহ্! সোবহানাল্লাহ্! কী কঠোরতা অবতীর্ণ হইল! বর্ণনাকারী বলেন, আমরা একদিন এক রাত্র চুপই রহিলাম; এই সময়ের মধ্যে (কোন মন্দ দেখিলাম না) সব ভালই দেখিলাম। মুহাম্মাদ বলেন, পরবর্তী দিন ভোর হইলে আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করিলাম, কি কঠোরতা অবতীর্ণ হইয়াছে? তিনি বলিলেন, ঋণ সম্পর্কে কঠোরতা (ওহী মারফত) অবতীর্ণ হইয়াছে! ঐ খোদার কসম যাঁহার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ। কোন ব্যক্তি আল্লাহর পথে শহীদ হইয়া পুনরায় (দুনিয়ার) জীবন লাভ করিয়াছে, আবার শহীদ হইয়া পুনরায় জীবন লাভ করিয়াছে, আবার শহীদ হইয়া (পরকালের জন্য) পুনরুজ্জীবিত হইয়াছে এবং তাহার উপর ঋণ ছিল, সে বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারিবে না, যাবৎ না তাহার ঋণ পরিশোধ করা হয়। —আহমদ ও শরহে সুন্নাহ্
وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَحْشٍ قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا بِفِنَاءِ الْمَسْجِدِ حَيْثُ يُوضَعُ الْجَنَائِز وَرَسُول الله جَالِسٌ بَيْنَ ظَهْرَيْنَا فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَصَره قبل السَّمَاء فَنظر ثُمَّ طَأْطَأَ بَصَرَهُ وَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى جَبْهَتِهِ قَالَ: «سُبْحَانَ الله سُبْحَانَ الله مَا نَزَلَ مِنَ التَّشْدِيدِ؟» قَالَ: فَسَكَتْنَا يَوْمَنَا وَلَيْلَتَنَا فَلَمْ نَرَ إِلَّا خَيْرًا حَتَّى أَصْبَحْنَا قَالَ مُحَمَّدٌ: فَسَأَلْتُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا التَّشْدِيدُ الَّذِي نَزَلَ؟ قَالَ: «فِي الدَّيْنِ وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ رَجُلًا قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ عَاشَ ثُمَّ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ عَاشَ ثُمَّ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ عَاشَ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ مَا دَخَلَ الْجَنَّةَ حَتَّى يُقْضَى دَيْنُهُ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَفِي شَرْحِ السُّنَّةِ نَحْوَهُ
tahqiq

তাহকীক:

তাহকীক চলমান