আলফিয়্যাতুল হাদীস
সূরা ফাতেহা পাঠের বিধান -এর বিষয়সমূহ
৩ টি হাদীস
সহীহ বুখারী
হাদীস নং:৭২০
আন্তর্জাতিক নং: ৭৫৬
৪৮৭. সব নামাযেই ইমাম ও মুক্তাদীর কিরাআত পড়া জরুরী, মুকীম অবস্থায় হোক বা সফরে, সশব্দ কিরাআতের নামায হোক বা নিঃশব্দের...
৭২০। আলী ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) ......... উবাদা ইবনে সামিত (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযে সূরা ফাতিহা পড়ল না তার নামায হল না।*
*এ হাদীস দ্বারা বাহ্যত বুঝা যায়, সূরা ফাতিহা পড়া ছাড়া নামায় হয় না। সুতরাং যে কেউ নামায আদায় করবে, তাকে অবশ্যই সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। তবে কুরআনে কারীম ও অন্যান্য বহু সহীহ হাদীসের বিস্তারিত দলীল-প্রমাণ দ্বারা সাব্যস্ত হয় যে, জামা'আতের নামাযে ইমামের ফাতিহা পাঠ দ্বারা মুক্তাদীর পড়া হয়ে যায়। উদাহরণত- এক. কুরআন মজীদে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন : “যখন কুরআন পড়া হয়, তোমরা মনোযোগের সাথে তা শুনবে এবং নীরব থাকবে। এতে তোমাদের উপর রহমত বর্ষিত হবে” (সূরা আরাফঃ ২০৪) । এ আয়াতে ইমাম ও মুক্তাদীর দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ইমামের কাজ কুরআন পড়া আর মুক্তাদীর কাজ নীরবে তা শোনা। ইমামের সাথে মুক্তাদীও যদি পড়তে থাকে তবে তা এ নির্দেশের পরিপন্থি হবে। নিম্নোক্ত হাদীসে বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে । যেমন, নবী (ﷺ) ইরশাদ করেন, "যার ইমাম থাকে তখন ইমামের কিরাআতই তার কিরাআত" হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত। (মুসনাদে আহমদ-১৪৬৪৩; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা- ৩৮২৩; মুয়াত্তা মুহাম্মাদ- ৯৮)।
باب وُجُوبِ الْقِرَاءَةِ لِلإِمَامِ وَالْمَأْمُومِ فِي الصَّلَوَاتِ كُلِّهَا فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ وَمَا يُجْهَرُ فِيهَا وَمَا يُخَافَتُ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ ".
সুনানে আবু দাউদ
হাদীস নং:৮২৩
আন্তর্জাতিক নং: ৮২৩
১৪২. কোন ব্যক্তি নামাযে (সূরা ফাতিহা অথবা) কিরাত পাঠ ত্যাগ করলে।
৮২৩. আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুহাম্মাদ .... উবাদা ইবনুস সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে ফজরের নামাযের জামাআতে শরীক ছিলাম। নামাযে কুরআন পাঠের সময় তার পাঠ তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। নামায শেষে তিনি বলেন, সম্ভবতঃ তোমরা ইমামের পিছনে কিরাআত পাঠ করেছ। আমরা বলি, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন তিনি বলেন, তোমরা সূরা ফাতিহা ব্যতীত অন্য কিছু পাঠ করবে না। কেননা যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পড়বে না, তার নামায হবে না।
باب مَنْ تَرَكَ الْقِرَاءَةَ فِي صَلاَتِهِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ مَحْمُودِ بْنِ الرَّبِيعِ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، قَالَ كُنَّا خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ فَقَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَثَقُلَتْ عَلَيْهِ الْقِرَاءَةُ فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ " لَعَلَّكُمْ تَقْرَءُونَ خَلْفَ إِمَامِكُمْ " . قُلْنَا نَعَمْ هَذَا يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " لاَ تَفْعَلُوا إِلاَّ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَإِنَّهُ لاَ صَلاَةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِهَا " .
সহীহ মুসলিম
হাদীস নং:৭৬৬
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৫ - ৩
১১. প্রতি রাক’আতে সূরা ফাতিহা পড়া জরুরী, যে ফাতিহা ভালো করে জানে না এবং তা শিক্ষা করাও তার পক্ষে সম্ভব নয়, সে তার জন্য যা সহজ তাই পাঠ করবে
৭৬৬। আহমাদ ইবনে জা’ফর আল মা’কিরী (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নামায আদায় করল (অথচ) তাতে ফাতিহাতুল কিতাব পাঠ করল না সে নামায অসম্পূর্ণ। তিনি তিনবার এ বাক্যটি বললেন, উপরের বর্ণনাকারীদের হাদীসের অনুরূপ।
باب وُجُوبِ قِرَاءَةِ الْفَاتِحَةِ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ وَإِنَّهُ إِذَا لَمْ يُحْسِنِ الْفَاتِحَةَ وَلاَ أَمْكَنَهُ تَعَلُّمُهَا قَرَأَ مَا تَيَسَّرَ لَهُ مِنْ غَيْرِهَا
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَعْقِرِيُّ، حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُوَيْسٍ، أَخْبَرَنِي الْعَلاَءُ، قَالَ سَمِعْتُ مِنْ أَبِي وَمِنْ أَبِي السَّائِبِ، وَكَانَا، جَلِيسَىْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالاَ قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَهْىَ خِدَاجٌ " . يَقُولُهَا ثَلاَثًا بِمِثْلِ حَدِيثِهِمْ .

তাহকীক:
তাহকীক চলমান