অতঃপর আমি তাকে হীনতাগ্রস্তদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা হীনতম অবস্থায় পৌঁছিয়ে দেই। ২
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
২. এর একাধিক ব্যাখ্যা হতে পারে। (এক) যারা ঈমান আনেনি, তারা দুনিয়ায় যত সুন্দর ও সুশ্রীই হোক, আখেরাতে তারা চরম কদর্য অবস্থায় পৌঁছে যাবে, যেহেতু তারা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। এ কারণেই পরের আয়াতে মুমিনদেরকে এর ব্যতিক্রম বলা হয়েছে। কেননা তারা ঈমান ও সৎকর্মের বদৌলতে জান্নাত লাভ করবে।
(দুই) অধিকাংশ তাফসীরবিদ এর ব্যাখ্যা করেছেন যে, যৌবনে যত সুন্দরই হোক না কেন, বার্ধক্যে প্রতিটি মানুষ অত্যন্ত হীন অবস্থায় পৌঁছে যায় ও শ্রীহীন হয়ে পড়ে। তার সব রূপ-লাবণ্য লোপ পেয়ে যায়। শক্তি-সামর্থ্যও খতম হয়ে যায়। আর কাফেরগণ পরবর্তীতে কখনও এসব ফিরে পাবে সেই আশাও তাদের থাকে না। কেননা তারা তো আখেরাতকে বিশ্বাসই করে না। কিন্তু মুমিন-মুসলিমগণ বৃদ্ধকালে জরাজীর্ণ হয়ে পড়লেও তাদের এই বিশ্বাস থাকে যে, এ জীর্ণ দশা সম্পূর্ণ সাময়িক। কেননা মৃত্যুর পর তারা যে দ্বিতীয় জীবন লাভ করবে, তখন ইনশাআল্লাহ তারা আরও অনেক উৎকৃষ্ট নি‘আমত লাভ করবে। তখন এ সাময়িক কষ্ট শেষ হয়ে যাবে। দুনিয়ার রূপ ও সৌন্দর্য অপেক্ষা আরও অনেক ভালো রূপ ও সৌন্দর্য সেখানে দেওয়া হবে। এই অনুভূতির কারণে মুমিনদের বার্ধক্যের কষ্টও অনেক হালকা হয়ে যায়।