یٰۤاَیُّہَا النَّبِیُّ قُلۡ لِّمَنۡ فِیۡۤ اَیۡدِیۡکُمۡ مِّنَ الۡاَسۡرٰۤی ۙ اِنۡ یَّعۡلَمِ اللّٰہُ فِیۡ قُلُوۡبِکُمۡ خَیۡرًا یُّؤۡتِکُمۡ خَیۡرًا مِّمَّاۤ اُخِذَ مِنۡکُمۡ وَیَغۡفِرۡ لَکُمۡ ؕ وَاللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৫২. ভালো কিছু দেখার অর্থ যারা ইসলাম গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, তাদের অন্তরে ইখলাস ও নিষ্ঠা থাকা, দূরভিসন্ধিমূলকভাবে ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা না দেওয়া। এ অবস্থায় তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে যে, তারা নিজেদের মুক্তির জন্য যে অর্থ ব্যয় করেছে, দুনিয়া বা আখিরাতে তাদেরকে তার চেয়ে উত্তম বদলা দেওয়া হবে। সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চাচা হযরত আব্বাস (রাযি.), যিনি তখনও পর্যন্ত ইসলাম গ্রহণ করেননি এবং বদরের যুদ্ধে বন্দী হয়েছিলেন, তিনি আরয করেছিলেন, আমি ইসলাম গ্রহণের ইচ্ছা করেছিলাম, কিন্তু আমার গোত্রের লোকেরা আমাকে যুদ্ধে আসতে বাধ্য করেছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সে যাই হোক, ফিদয়া দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত স্থির হয়ে গেছে, আপনাকেও তা দিতে হবে। সেই সঙ্গে আপনার ভাতিজা আকীল ও নাওফালের ফিদয়াও আপনিই দেবেন। তিনি বললেন, এতটা অর্থ আমি কোথায় পাব? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আপনি আপনার স্ত্রী উম্মুল ফযলের কাছে গোপনে যে অর্থ রেখে এসেছেন তার কী হল? এ কথা শুনে হযরত আব্বাস (রাযি.) স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। কেননা তিনি ও তাঁর স্ত্রী ছাড়া আর কারও এ কথা জানা ছিল না। তৎক্ষণাৎ তিনি বলে উঠলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আপনি আল্লাহর রাসূল। পরবর্তীকালে হযরত আব্বাস (রাযি.) বলতেন, ফিদয়া হিসেবে আমি যা দিয়েছিলাম, আল্লাহ তাআলা আমাকে তার চেয়ে ঢের বেশি দিয়েছেন।