আত তাহরীম

সূরা নং: ৬৬, আয়াত নং: ১১

তাফসীর
وَضَرَبَ اللّٰہُ مَثَلًا لِّلَّذِیۡنَ اٰمَنُوا امۡرَاَتَ فِرۡعَوۡنَ ۘ  اِذۡ قَالَتۡ رَبِّ ابۡنِ لِیۡ عِنۡدَکَ بَیۡتًا فِی الۡجَنَّۃِ وَنَجِّنِیۡ مِنۡ فِرۡعَوۡنَ وَعَمَلِہٖ وَنَجِّنِیۡ مِنَ الۡقَوۡمِ الظّٰلِمِیۡنَ ۙ

উচ্চারণ

ওয়া দারাবাল্লা-হু মাছালালিলল্লাযীনা আ-মানুমরাআতা ফির‘আওনা । ইযকা-লাত রাব্ব্বিনি লী ‘ইনদাকা বাইতান ফিল জান্নাতি ওয়া নাজ্জিনী মিন ফির‘আওনা ওয়া ‘আমালিহী ওয়া নাজ্জিনী মিনাল কাওমিজ্জা-লিমীন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

আর আল্লাহ মুমিনদের জন্য পেশ করছেন ফির‘আউন-পত্নীর দৃষ্টান্ত, ১২ যখন সে বলেছিল, হে আমার প্রতিপালক! আমার জন্য আপনার কাছে জান্নাতে একটি ঘর তৈরি করুন এবং আমাকে ফির‘আউন ও তার কর্ম হতে মুক্তি দিন। আর আমাকে নাজাত দিন জালেম সম্প্রদায় হতে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১২. ফির‘আউনের স্ত্রীর নাম ছিল আসিয়া। আল্লাহ তাআলা যখন হযরত মূসা আলাইহিস সালামকে যাদুকরদের বিরুদ্ধে জয়যুক্ত করেছিলেন, তখন যাদুকরদের সঙ্গে তিনিও হযরত মূসা আলাইহিস সালামের উপর ঈমান এনেছিলেন। এ কারণে ফির‘আউন তার উপর অনেক নিপীড়ন চালিয়েছিল। সেই নিপীড়ন ভোগ কালেই তিনি এই দুআ করেছিলেন। কোন কোন বর্ণনায় আছে, ফির‘আউন তার হাত-পায়ে পেরেক গেঁথে উপর থেকে পাথর নিক্ষেপে উদ্যত হয়েছিল, কিন্তু তার আগে-আগেই আল্লাহ তাআলা তাঁকে মৃত্যু দান করেন (রূহুল মাআনী)। [এ দৃষ্টান্ত দ্বারা বোঝানো হচ্ছে নিজে ঈমানদার হলে স্বামী বা অন্য কোনও প্রিয়জনের কুফরীর কারণে আখিরাতে তার কোনো ক্ষতি হবে না। -অনুবাদক]
﴾﴿