অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
তারা ছিল এমন লোক, যাদেরকে আমি কিতাব, হিকমত ও নবুওয়াত দান করেছিলাম। ৩৭ সুতরাং এসব লোক (মক্কার মুশরিকগণ) যদি এটা (নবুওয়াত) প্রত্যাখ্যান করে, তবে (তার কোনও পরওয়া করো না। কেননা) এর (অনুসরণের) জন্য আমি এমন লোক নির্দিষ্ট করেছি, যারা এর অস্বীকারকারী নয়। ৩৮
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ
৩৭. আরব মুশরিকগণ নবুয়াত ও রিসালাতকে অস্বীকার করত, তাদের জবাবে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তার আওলাদের মধ্যে যারা নবুওয়াত লাভ করেছিলেন তাদের বরাত দেওয়া হয়েছে। হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে তো আরবের পৌত্তলিকগণও স্বীকার করত। তাদেরকে বলা হচ্ছে, তিনি যদি নবী হতে পারেন এবং তাঁর বংশধরদের মধ্যে যদি নবুওয়াতের ধারা চালু থাকতে পারে, তবে নবুওয়াত কোনও জিনিসই নয়’ এরূপ মন্তব্য করা কিভাবে বৈধ হতে পারে? এবং কি করেই বা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রাসূল বানিয়ে পাঠানোটা আপত্তির বিষয় হতে পারে, বিশেষত যখন তার নবুওয়াতের দলীল-প্রমাণ দিবালোকের মত সুস্পষ্ট হয়ে গেছে?