অর্থঃ
মুফতী তাকী উসমানী
এবং (তারপর এই ঘটল যে,) তার সম্প্রদায় তার সাথে হুজ্জত শুরু করে দিল। ৩৫ ইবরাহীম (তাদেরকে) বলল, তোমরা কি আল্লাহ সম্পর্কে আমার সঙ্গে হুজ্জত করছ, অথচ তিনি আমাকে হিদায়াত দান করেছেন? তোমরা যে সকল জিনিসকে (আল্লাহর) শরীক সাব্যস্ত করছ, (তারা আমার কোন ক্ষতি সাধন করার ক্ষমতা রাখে না। তাই) আমি তাদেরকে ভয় করি না। অবশ্য আমার প্রতিপালক যদি (আমার) কোন (ক্ষতি সাধন) করতে চান (তবে সর্বাবস্থায়ই তা সাধিত হবে)। আমার প্রতিপালকের জ্ঞান সবকিছু পরিবেষ্টন করে রেখেছে। এতদসত্ত্বেও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ
৩৫. পূর্বাপর অবস্থা দ্বারা বোঝা যায়, হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামের সম্প্রদায় তার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয়ে দু’টি কথা বলেছিল। (এক) আমরা যুগ-যুগ ধরে আমাদের বাপ-দাদাদেরকে প্রতিমা ও নক্ষত্রের পূজা করতে দেখছি। তাদের সকলকে পথভ্রষ্ট মনে করার সাধ্য আমাদের নেই। হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম প্রথম বাক্যে এর উত্তর দিয়েছেন যে, ওই বাপ-দাদাদের কাছে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে কোন ওহী আসেনি। অথচ আমার কাছে উপরে বর্ণিত যুক্তি-প্রমাণ ছাড়া আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ওহীও এসেছে। সুতরাং আল্লাহ প্রদত্ত হিদায়াতের পর শিরককে কিভাবে সঠিক বলে স্বীকার করতে পারি? (দুই) তাঁর সম্প্রদায় সম্ভবত বলেছিল, তুমি যদি আমাদের প্রতিমাসমূহ ও নক্ষত্রদের ঈশ্বরত্ব অস্বীকার কর, তবে তারা তোমাকে ধ্বংস করে দেবে। এর উত্তরে তিনি বলেন, আমি ওসব ভিত্তিহীন দেবতাদের ভয় করি না। কারণ কারও কোন ক্ষতি করার ক্ষমতাই ওদের নেই। বরং ভয় তো তোমাদেরই করা উচিত। কেননা তোমরা ওইসব ভিত্তিহীন দেবতাদেরকে আল্লাহ তাআলার শরীক সাব্যস্ত করে মহা অপরাধ করছ। এজন্য তোমাদেরকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। কাউকে শাস্তিদান ও কারও ক্ষতিসাধনের পূর্ণ ক্ষমতা আল্লাহ তা‘আলারই আছে, অন্য কারও নয়। যারা তাঁর তাওহীদে বিশ্বাস করে, তিনি তাদেরকে স্বস্তি ও নিরাপত্তা দান করেন। কাজেই তাঁর পক্ষ হতে তাদের অনিষ্টের কোন ভয় নেই।