৬. আল আনআম ( আয়াত নং - ৭৩ )

bookmark
وَہُوَ الَّذِیۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ بِالۡحَقِّ ؕ وَیَوۡمَ یَقُوۡلُ کُنۡ فَیَکُوۡنُ ۬ؕ قَوۡلُہُ الۡحَقُّ ؕ وَلَہُ الۡمُلۡکُ یَوۡمَ یُنۡفَخُ فِی الصُّوۡرِ ؕ عٰلِمُ الۡغَیۡبِ وَالشَّہَادَۃِ ؕ وَہُوَ الۡحَکِیۡمُ الۡخَبِیۡرُ
ওয়া হুওয়াল্লাযী খালাকাছছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা বিলহাক্কি ওয়া ইয়াওমা ইয়াকূলুকুন ফাইয়াকূনু কাওলুহুল হাক্কু ওয়া লাহুল মুলকুইয়াওমা ইউনফাখু ফিসসূরি ‘আ-লিমুল গাইবি ওয়াশ শাহা-দাতি ওয়া হুওয়াল হাকীমুল খাবীর।

অর্থঃ

মুফতী তাকী উসমানী

তিনিই সেই সত্তা, যিনি আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন যথোচিত ৩২ এবং যে দিন তিনি (কিয়ামতকে) বলবেন, ‘হয়ে যাও’, তা হয়ে যাবে। তার কথা সত্যই। যে দিন শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে, সে দিন রাজত্ব হবে তাঁরই। ৩৩ তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্য সব কিছুই জানেন। তিনিই মহা প্রাজ্ঞ ও সর্ব বিষয়ে অবহিত।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ

৩২. অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি জগতকে এক সঠিক উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন। সে উদ্দেশ্য এই যে, যারা এখানে ভালো কাজ করবে তাদেরকে পুরস্কৃত করা এবং যারা অনাচারী ও অত্যাচারী হবে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া। এ উদ্দেশ্য তখনই পূরণ হতে পারে, যখন পার্থিব জীবনের পর আরেকটি জীবন আসবে, যে জীবনে পুরস্কার ও শাস্তি দানের এ উদ্দেশ্য পূরণ করা হবে। সামনে বলা হয়েছে যে, এ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কিয়ামতে মানুষকে পুনরুজ্জীবিত করা আল্লাহ তাআলার পক্ষে কিছু কঠিন কাজ নয়। যখন তিনি ইচ্ছা করবেন কিয়ামতকে অস্তিত্বে আসার হুকুম দেবেন। সঙ্গে সঙ্গে তা অস্তিত্বমান হয়ে যাবে। আর তিনি যেহেতু অদৃশ্য ও দৃশ্যমান সব কিছুই জানেন তাই মৃত্যুর পর মানুষকে একত্র করাও তার পক্ষে কঠিন হবে না। অবশ্য হিকমতওয়ালা হওয়ার কারণে তিনি কিয়ামত সংঘটিত করবেন কেবল তখনই, যখন তাঁর হিকমত তা দাবী করবে।