وَہُوَ الَّذِیۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ بِالۡحَقِّ ؕ وَیَوۡمَ یَقُوۡلُ کُنۡ فَیَکُوۡنُ ۬ؕ قَوۡلُہُ الۡحَقُّ ؕ وَلَہُ الۡمُلۡکُ یَوۡمَ یُنۡفَخُ فِی الصُّوۡرِ ؕ عٰلِمُ الۡغَیۡبِ وَالشَّہَادَۃِ ؕ وَہُوَ الۡحَکِیۡمُ الۡخَبِیۡرُ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৩২. অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি জগতকে এক সঠিক উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন। সে উদ্দেশ্য এই যে, যারা এখানে ভালো কাজ করবে তাদেরকে পুরস্কৃত করা এবং যারা অনাচারী ও অত্যাচারী হবে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া। এ উদ্দেশ্য তখনই পূরণ হতে পারে, যখন পার্থিব জীবনের পর আরেকটি জীবন আসবে, যে জীবনে পুরস্কার ও শাস্তি দানের এ উদ্দেশ্য পূরণ করা হবে। সামনে বলা হয়েছে যে, এ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কিয়ামতে মানুষকে পুনরুজ্জীবিত করা আল্লাহ তাআলার পক্ষে কিছু কঠিন কাজ নয়। যখন তিনি ইচ্ছা করবেন কিয়ামতকে অস্তিত্বে আসার হুকুম দেবেন। সঙ্গে সঙ্গে তা অস্তিত্বমান হয়ে যাবে। আর তিনি যেহেতু অদৃশ্য ও দৃশ্যমান সব কিছুই জানেন তাই মৃত্যুর পর মানুষকে একত্র করাও তার পক্ষে কঠিন হবে না। অবশ্য হিকমতওয়ালা হওয়ার কারণে তিনি কিয়ামত সংঘটিত করবেন কেবল তখনই, যখন তাঁর হিকমত তা দাবী করবে।