৬. আল আনআম ( আয়াত নং - ৪৪ )

bookmark
فَلَمَّا نَسُوۡا مَا ذُکِّرُوۡا بِہٖ فَتَحۡنَا عَلَیۡہِمۡ اَبۡوَابَ کُلِّ شَیۡءٍ ؕ حَتّٰۤی اِذَا فَرِحُوۡا بِمَاۤ اُوۡتُوۡۤا اَخَذۡنٰہُمۡ بَغۡتَۃً فَاِذَا ہُمۡ مُّبۡلِسُوۡنَ
ফালাম্মা-নাছূমা-যুককিরূ বিহী ফাতাহনা- ‘আলাইহিম আবওয়া-বা কুল্লি শাইয়িন হাত্তাইযা-ফারিহূবিমাঊতূআখাযনা-হুম বাগতাতান ফাইযা-হুম মুবলিছূন।

অর্থঃ

মুফতী তাকী উসমানী

তাদেরকে যে উপদেশ দেওয়া হয়েছিল তারা যখন তা ভুলে গেল, তখন আমি তাদের জন্য সমস্ত কিছুর দুয়ার খুলে দিলাম। ১৯ অবশেষে তাদেরকে যা দেওয়া হয়েছিল যখন তাতে তারা উল্লসিত হল, তখন আমি অকস্মাৎ তাদেরকে ধরলাম। ফলে তারা সম্পূর্ণ নিরাশ হয়ে গেল।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানীঃ

১৯. পূর্ববর্তী জাতিসমূহের সাথে আল্লাহ তাআলার নীতি ছিল এই যে, তাদেরকে সতর্ক করার জন্য কখনও কখনও দুঃখ-কষ্টে ফেলতেন, যাতে বিপদে পড়লে যাদের মন নরম হয়, তারা চিন্তা-ভাবনা করার প্রতি ঝোঁকে। তারপর আবার তাদেরকে সুখণ্ডসাচ্ছন্দ্য দান করতেন, যাতে সুখণ্ডসাচ্ছন্দ্যের সময় যারা সত্য গ্রহণের যোগ্যতা রাখে তারা কিছুটা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। যারা উভয় অবস্থায় গোমরাহীকেই আঁকড়ে ধরত, পরিশেষে তাদের উপর আযাব নাযিল করা হত। সূরা আরাফেও (৭ : ৯৪-৯৫) এ বিষয়টা বর্ণিত হয়েছে।