আল আনআম

সূরা নং: ৬, আয়াত নং: ৪১

তাফসীর
بَلۡ اِیَّاہُ تَدۡعُوۡنَ فَیَکۡشِفُ مَا تَدۡعُوۡنَ اِلَیۡہِ اِنۡ شَآءَ وَتَنۡسَوۡنَ مَا تُشۡرِکُوۡنَ ٪

উচ্চারণ

বাল ইয়্যা-হু তাদ‘ঊনা ফাইয়াকশিফুমা-তাদ‘ঊনা ইলাইহি ইন শাআ ওয়া তানছাওনা মাতুশরিকূন ।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

বরং তাকেই ডাকবে। অতঃপর যে দুর্দশার জন্য তাকে ডাক, তিনি চাইলে তা দূর করবেন; আর যাদেরকে (দেবতাদেরকে) তোমরা (আল্লাহর) শরীক সাব্যস্ত করছ, (তখন) তাদেরকে ভুলে যাবে। ১৮

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

১৮. আরব মুশরিকগণ আল্লাহ তাআলাকেই জগতের স্রষ্টা বলে স্বীকার করত, কিন্তু সেই সঙ্গে তাদের বিশ্বাস ছিল, বহু দেব-দেবী তাঁর সঙ্গে এভাবে শরীক যে, তাদের হাতেও অনেক কিছুর এখতিয়ার আছে। এ কারণেই তারা তাদেরকে খুশী রাখার জন্য তাদের পূজা-অর্চনা করত। কিন্তু আকস্মিক কোনও বিপদ এসে পড়লে সে সকল দেব-দেবীকে ছেড়ে আল্লাহ তাআলাকেই ডাকত, যেমন সামুদ্রিক সফরে যখন ঝড়ের কবলে পড়ে পর্বত-প্রমাণ তরঙ্গ রাশির ভেতর পরিবেষ্টিত হয়ে যেত, তখন এ রকমই করত। এখানে তাদের সে কর্মপন্থার উল্লেখপূর্বক প্রশ্ন করা হচ্ছে যে, দুনিয়ার এসব বিপদ-আপদে যখন তোমরা আল্লাহ তাআলাকেই ডাক, তখন বড় কোন আযাব এসে পড়লে কিংবা কিয়ামত ঘটে গেলে যে আল্লাহ তাআলাকেই ডাকবে তাতে সন্দেহ কি?
﴾﴿