আল আনআম

সূরা নং: ৬, আয়াত নং: ১২৪

তাফসীর
وَاِذَا جَآءَتۡہُمۡ اٰیَۃٌ قَالُوۡا لَنۡ نُّؤۡمِنَ حَتّٰی نُؤۡتٰی مِثۡلَ مَاۤ اُوۡتِیَ رُسُلُ اللّٰہِ ؕۘؔ اَللّٰہُ اَعۡلَمُ حَیۡثُ یَجۡعَلُ رِسَالَتَہٗ ؕ سَیُصِیۡبُ الَّذِیۡنَ اَجۡرَمُوۡا صَغَارٌ عِنۡدَ اللّٰہِ وَعَذَابٌ شَدِیۡدٌۢ بِمَا کَانُوۡا یَمۡکُرُوۡنَ

উচ্চারণ

ওয়া ইযা-জাআতহুম আ-য়াতুন কা-লূলান নু’মিনা হাত্তা-নু’তা-মিছলা মা-ঊতিয়া রুছুলুল্লা-হ । আল্লা-হু আ‘লামুহাইছুইয়াজ‘আলুরিছা-লাতাহূ ছাইউসীবুল্লাযীনা আজরামূসাগা-রুন ‘ইনদাল্লা-হি ওয়া ‘আযা-বুন শাদীদুম বিমা-কা-নূইয়ামকুরূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

যখন তাদের (অর্থাৎ মক্কাবাসীদের) কাছে (কুরআনের) কোন আয়াত আসে, তখন বলে, আল্লাহর রাসূলগণকে যা দেওয়া হয়েছিল, সে রকম জিনিস আমাদেরকে যতক্ষণ পর্যন্ত না দেওয়া হবে, ৬৫ ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কিছুতেই ঈমান আনব না। অথচ আল্লাহই ভালো জানেন, তিনি তাঁর রিসালাত কার উপর ন্যস্ত করবেন। যারা (এ জাতীয়) অন্যায় উক্তি করেছে, তাদেরকে তাদের ষড়যন্ত্রের প্রতিফল হিসেবে আল্লাহর কাছে (গিয়ে) লাঞ্ছনা ও কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৬৫. অর্থাৎ নবীগণের প্রতি যেমন ওহী নাযিল করা হয়েছিল যতক্ষণ পর্যন্ত তেমনি ওহী আমাদের উপর নাযিল না করা হবে এবং তাদেরকে যেমন মুজিযা দেওয়া হয়েছিল সে রকম মুজিযা যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদেরকে না দেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা ঈমান আনব না। সারকথা এই যে, তাদের দাবী ছিল, তাদের প্রত্যেককে পরিপূর্ণ নবুওয়াত দান করতে হবে। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা এর উত্তর দিয়েছেন যে, নবুওয়াত কাকে দান করা হবে তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন।
﴾﴿