আল আনআম

সূরা নং: ৬, আয়াত নং: ১২০

তাফসীর
وَذَرُوۡا ظَاہِرَ الۡاِثۡمِ وَبَاطِنَہٗ ؕ اِنَّ الَّذِیۡنَ یَکۡسِبُوۡنَ الۡاِثۡمَ سَیُجۡزَوۡنَ بِمَا کَانُوۡا یَقۡتَرِفُوۡنَ

উচ্চারণ

ওয়া যারূ জা-হিরাল ইছমি ওয়া বা-তিনাহূ ইন্নাল্লাযীনা ইয়াকছিবূনাল ইছমা ছাইউজঝাওনা বিমা-কা-নূইয়াকতারিফূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

তোমরা প্রকাশ্য ও গুপ্ত উভয় প্রকার পাপ ছেড়ে দাও। ৬২ নিশ্চয়ই যারা পাপ কামাই করে, তাদেরকে শীঘ্রই সেই সমস্ত অপরাধের শাস্তি দেওয়া হবে, যাতে তারা লিপ্ত হয়।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৬২. প্রকাশ্য গুনাহ হল সেইগুলো যা মানুষ তার বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দ্বারা করে, যেমন মিথ্যা বলা, গীবত করা, ধোঁকা দেওয়া, ঘুষ খাওয়া, মদ পান করা, ব্যভিচার করা ইত্যাদি। আর গোপনগুনাহ হল সেইগুলি যা অন্তরের সাথে সম্পৃক্ত, যেমন হিংসা, বিদ্বেষ, রিয়া, অহংকার, অন্যের অনিষ্ট কামনা ইত্যাদি। প্রথম প্রকার গুনাহের আলোচনা করা হয় ফিকহের কিতাবে এবং ফুকাহায়ে কিরাম থেকে তার শিক্ষা লাভ করতে হয়। আর দ্বিতীয় প্রকার গুনাহ সম্পর্কে আলোচনা হয় তাসাওউফ ও ইহসানের কিতাবে এবং তার শিক্ষা-দীক্ষার জন্য মাশায়েখে কিরামের শরণাপন্ন হতে হয়। নিজের অন্তর্জগতকে গুপ্ত গুনাহ হতে মুক্ত রাখার লক্ষ্যে কোন দিশারীর সাথে সম্পর্ক স্থাপনই হল তাসাওউফের মূল কথা। কিন্তু আফসোস! বহু লোক তাসাওউফের এই হাকীকত ভুলে গিয়ে একরাশ বিদআত ও বেহুদা কাজের নাম রেখে দিয়েছে তাসাওউফ। হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রহ.) তাঁর বিভিন্ন রচনায় এ বিষয়টা পরিষ্কার করেছেন। তাসাওউফ কী ও কেন, তা সহজে বোঝার জন্য হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ শফী (রহ.) রচিত ‘দিল কী দুনিয়া’ পুস্তিকাখানি পড়ুন। [এর বঙ্গানুবাদ “আত্মশুদ্ধি” নামে মাকতাবাতুল আশরাফ থেকে প্রকাশিত হয়েছে।]
﴾﴿