আল আনআম

সূরা নং: ৬, আয়াত নং: ১১২

তাফসীর
وَکَذٰلِکَ جَعَلۡنَا لِکُلِّ نَبِیٍّ عَدُوًّا شَیٰطِیۡنَ الۡاِنۡسِ وَالۡجِنِّ یُوۡحِیۡ بَعۡضُہُمۡ اِلٰی بَعۡضٍ زُخۡرُفَ الۡقَوۡلِ غُرُوۡرًا ؕ وَلَوۡ شَآءَ رَبُّکَ مَا فَعَلُوۡہُ فَذَرۡہُمۡ وَمَا یَفۡتَرُوۡنَ

উচ্চারণ

ওয়া কাযা-লিকা জা‘আলনা-লিকুল্লি নাবিইয়িন ‘আদুওওয়ান শাইয়া-তীনাল ইনছি ওয়াল জিন্নি ইঊহী বা‘দুহুম ইলা-বা‘দিন ঝুখরুফাল কাওলি গুরূরাওঁ ওয়ালাওশাআ রাব্বুকা মা-ফা‘আলূহু ফাযারহুম ওয়া মা-ইয়াফতারূন।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

এবং (তারা যেমন আমার নবীর সাথে শত্রুতা করছে) এভাবেই আমি (পূর্ববর্তী) প্রত্যেক নবীর জন্য কোনও না কোনও শত্রুর জন্ম দিয়েছি অর্থাৎ মানব ও জিনদের মধ্য হতে শয়তান কিসিমের লোকদেরকে, যারা ধোঁকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে একে অন্যকে বড় চমৎকার কথা শেখাত। আল্লাহ চাইলে তারা এরূপ করতে পারত না। ৬০ সুতরাং তাদেরকে তাদের মিথ্যা রচনার কাজে পড়ে থাকতে দাও।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৬০. এ স্থলে পুনরায় সেই কথাই বলা হচ্ছে যে, আল্লাহ তাআলা চাইলে শয়তানদেরকে এ ক্ষমতা নাও দিতে পারতেন এবং মানুষকে জোরপূর্বক ঈমান আনতে বাধ্য করতেন, কিন্তু উদ্দেশ্য যেহেতু পরীক্ষা করা, তাই তিনি এরূপ করছেন না।
﴾﴿