اٰمِنُوۡا بِاللّٰہِ وَرَسُوۡلِہٖ وَاَنۡفِقُوۡا مِمَّا جَعَلَکُمۡ مُّسۡتَخۡلَفِیۡنَ فِیۡہِ ؕ فَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مِنۡکُمۡ وَاَنۡفَقُوۡا لَہُمۡ اَجۡرٌ کَبِیۡرٌ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৫. ধন-দৌলতে মানুষকে প্রতিনিধি বানানোর কথা বলে দু’টি মহা সত্যের দিকে ইশারা করা হয়েছে। (এক) ধন-দৌলত যা-ই হোক না কেন, তার প্রকৃত মালিক আল্লাহ তাআলাই। তিনিই তা সৃষ্টি করেছেন। তিনি মানুষকে তা দান করেছেন তাদের প্রয়োজন পূরণ করার জন্য। তাই মানুষ এর মালিকানায় আল্লাহ তাআলার প্রতিনিধি। মানুষ যখন এক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার প্রতিনিধি তখন তার কর্তব্য আল্লাহ তাআলার ইচ্ছা ও হুকুম মোতাবেক তা ব্যয় করা।
(দুই) মানুষ যে সম্পদই অর্জন করে, তা তার আগে অন্য কারও মালিকানায় থাকে। সেখান থেকে ক্রয়, উপহার বা উত্তরাধিকার সূত্রে তা তার কাছে এসেছে। এ হিসেবে সে তাতে তার প্রাক্তন মালিকের স্থলাভিষিক্ত। এর দ্বারা বোঝানো হচ্ছে, এ সম্পদ যেমন তোমার পূর্ববর্তী মালিকের কাছে স্থায়ী হয়ে থাকেনি, বরং তার কাছ থেকে তোমার কাছে চলে এসেছে, তেমনি তোমার কাছেও তা চিরদিন থাকবে না; বরং অন্য কারও হাতে চলে যাবে। যখন এ সম্পদ চিরকাল তোমার কাছে থাকার নয়, অন্য কারও না কারও কাছে অবশ্যই চলে যাবে, তখন তোমার উচিত এমন কারও কাছেই তা হস্তান্তর করা, যাকে তা দেওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলা হুকুম করেছেন।