لِّئَلَّا یَعۡلَمَ اَہۡلُ الۡکِتٰبِ اَلَّا یَقۡدِرُوۡنَ عَلٰی شَیۡءٍ مِّنۡ فَضۡلِ اللّٰہِ وَاَنَّ الۡفَضۡلَ بِیَدِ اللّٰہِ یُؤۡتِیۡہِ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَاللّٰہُ ذُو الۡفَضۡلِ الۡعَظِیۡمِ ٪
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৩১. কিতাবীদের সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে এ বাক্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি ইশারা করা হয়েছে। (এক) যে সকল ইয়াহুদী বা খ্রিস্টান মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর ঈমান আনেনি, তাদের মধ্যে একটা বড় অংশের ঈমান না আনার কারণ ছিল কেবলই ঈর্ষাকাতরতা। তাদের কথা ছিল শেষ নবী বনী ইসরাঈলদের মধ্যে না এসে হযরত ইসমাঈল আলাইহিস সালামের বংশে কেন আসবেন? তাদেরকে বলা হচ্ছে, নবুওয়াত আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ। এ অনুগ্রহ তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। এটা তোমাদের এখতিয়ারাধীন বিষয় নয় যে, তোমরা যাকে ইচ্ছা কর তাকেই দিতে হবে।
(দুই) খ্রিস্টানদের মধ্যে এক সময় রেওয়াজ হয়ে গিয়েছিল যে, তাদের পাদ্রী অর্থের বিনিময়ে পাপ থেকে মানুষের মুক্তিপত্র লিখে দিত। মৃত্যুর পর সেই ব্যক্তির সঙ্গে তা কবরে দাফন করে দেওয়া হত। মনে করা হত, পাদ্রীর দেওয়া মুক্তিপত্রের কারণে সেই ব্যক্তির পাপ মোচন হয়ে গেছে। কাজেই আল্লাহ তাআলার কাছে সে ক্ষমা পাবে। এ আয়াত বলছে, আল্লাহ তাআলার করুণা কেবলই তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। এতে কোন বান্দার কিছুমাত্র এখতিয়ার নেই। আল্লাহ তাআলা কাকে ক্ষমা করবেন, কে তাঁর রহমত-øাত হবে আর কে তার ক্ষমা ও রহমত থেকে বঞ্চিত হয়ে শাস্তিপ্রাপ্ত হবে একচ্ছত্রভাবে সে ফায়সালা তিনিই করবেন।