আল মায়িদাহ

সূরা নং: ৫, আয়াত নং: ৯৭

তাফসীর
جَعَلَ اللّٰہُ الۡکَعۡبَۃَ الۡبَیۡتَ الۡحَرَامَ قِیٰمًا لِّلنَّاسِ وَالشَّہۡرَ الۡحَرَامَ وَالۡہَدۡیَ وَالۡقَلَآئِدَ ؕ ذٰلِکَ لِتَعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ یَعۡلَمُ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الۡاَرۡضِ وَاَنَّ اللّٰہَ بِکُلِّ شَیۡءٍ عَلِیۡمٌ

উচ্চারণ

জা‘আলাল্লা-হুল কা‘বাতাল বাইতাল হারা-মা কিয়া-মাল লিন্না-ছি ওয়াশশাহরাল হারা-মা ওয়াল হাদইয়া ওয়াল কালাইদা যা-লিকা লিতা‘লামূআন্নাল্লা-হা ইয়া‘লামুমাফিছছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদিওয়াআন্নাল্লা-হা বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।

অর্থ

মুফতী তাকী উসমানী

আল্লাহ কাবাকে যা অতি মর্যাদাপূর্ণ ঘর, মানুষের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম বানিয়েছেন। তাছাড়া মর্যাদাপূর্ণ মাসসমূহ, নজরানার পশু এবং (তাদের গলার) মালাসমূহকেও (নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম বানিয়েছেন), তা এজন্য ৭৪ যাতে তোমরা জানতে পার আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীতে যা-কিছু আছে আল্লাহ তা জানেন এবং আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।

তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী

৭৪. কাবা শরীফ ও মর্যাদাপূর্ণ মাসসমূহ যে শান্তি ও নিরাপত্তার ‘কারণ’, সেটা স্পষ্ট। যেহেতু এর ভেতর যুদ্ধ করা হারাম। যে পশু নজরানা হিসেবে হারামে নিয়ে যাওয়া হত, তার গলায় মালা পরিয়ে দেওয়া হত, যাতে দর্শক বুঝতে পারে এ পশু হারামে যাচ্ছে। ফলে কাফির, মুশরিক এমনকি দস্যুরাও তার পেছনে লাগত না। কাবা শরীফ যে নিরাপত্তার কারণ, মুফাসসিরগণ তার আরেকটি ব্যাখ্যা করেছেন এই যে, যত দিন কাবা শরীফ বিদ্যমান থাকবে, ততদিন কিয়ামত হবে না। এক সময় কাবা শরীফকে তুলে নেওয়া হবে এবং তারপরই কিয়ামত সংঘটিত হবে।
﴾﴿