یٰۤاَیُّہَا الرَّسُوۡلُ بَلِّغۡ مَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡکَ مِنۡ رَّبِّکَ ؕ وَاِنۡ لَّمۡ تَفۡعَلۡ فَمَا بَلَّغۡتَ رِسَالَتَہٗ ؕ وَاللّٰہُ یَعۡصِمُکَ مِنَ النَّاسِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ لَا یَہۡدِی الۡقَوۡمَ الۡکٰفِرِیۡنَ
তাফসীরে মুফতি তাকি উসমানী
৫৩. অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ আয়াত। এতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে তাঁর সর্বাপেক্ষা মর্যাদাপূর্ণ ‘অভিধা’ ‘রাসূল’ শব্দ দ্বারা সম্বোধন করে তাঁর পদমর্যাদাগত দায়িত্বের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং সে দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে যত্নবান থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর তাঁকে আশ্বস্ত করা হযেছে যে, এ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে যত বড় বাধাই আসুক বিরোধী শক্তি যত হুমকি-ধমকিই দিক কিংবা ষড়যন্ত্রের পথ অবলম্বন করুক, আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য সর্বাবস্থায় তাঁর সঙ্গে থাকবে। কাজেই তিনি যেন নির্ভীক চিত্তে ও আপোসহীনভাবে আপন দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর থাকেন। সবশেষে দেওয়া হয়েছে হতাশামুক্তির দাওয়াই। জানানো হয়েছে, রাসূলের কাজ কেবল দাওয়াত দেওয়া, হিদায়াত দান আল্লাহর কাজ। কাজেই কেউ যদি দাওয়াতে সাড়া না দেয় এবং আপাতদৃষ্টিতে দাওয়াতের সুফল চোখে না পড়ে, তাতে হতাশার কোন কারণ নেই। পূর্ণোদ্যমে প্রচারকার্য চালিয়ে যেতে হবে। দায়িত্ব পালন করাটাই আসল সফলতা। সুতরাং (ক) মূল্যবোধ ও দায়িত্ব সচেতনতা, (খ) দায়িত্ব পালনে নির্ভীক ও আপোসহীন থাকা এবং (গ) কোন রকম হতাশাকে প্রশ্রয় না দেওয়া এ তিনটিই ছিল তাঁর দাওয়াতী কাজের প্রাণবস্তু। ওফাত পর্যন্ত তিনি এভাবেই দায়িত্ব পালন করে গেছেন, বিদায় হজ্জে লক্ষাধিক সাহাবী সমস্বরে যার সাক্ষ্য দিয়েছেন। -অনুবাদক